Featured Post
কবিতাগুচ্ছ: সান্ত্বনা চ্যাটার্জি
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
গরম ভাতে ঘি
মা কোথায় তুমি ! বড্ড খিদে
গরম ভাতে ঘি
গরম ভাতে ঘি
আর একটা কাঁচা লঙ্কা
একটু সবুর করো মনি
একটা আলু মেখে দি .
আমার মা গরম ভাতে ঘি এখনো
আছেন আমার মেয়ের দিম্মা ;
তবু যেন অনেক দূরের কেউ
অনেক অচেনা !
মা তোমার হাতে মাখা গরম ভাতে ঘি
খেতে আর মন চায়না
.....
বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে দিন কেটে যায় ,
মনের চোখের সামনে কত কিছু ঝাপসা হয়ে আসে
ছেলে মেয়ে জীবনের আসল জমানো ধন
দরকারে কাছে এসে পিছন এ দাঁড়ায়
তাদের কর্ত্যব্য জ্ঞানে জল মিশে নেই ;
মন বড় একা হয়ে গেছে
জীবনের শেষে এসে পিছনে
তাকালে মনে পরে
কত কিছু নেই !
দিনে গেছি , রাতে ও ,
প্রভাতে সন্ধ্যাকালে
কিছু বাকি রাখিনি প্রয়াশ ,
তবু দেখা পাইনি বন্ধু ।
কার দেখা চাস !
শন শন বাতাসের গায়ে
জলন্ত চিতাভস্ম ওড়ে
আকাশের অনন্ত জিজ্ঞাসায় ।
মন্দির মসজিদ গির্জা বা
গুরুদ্বার নয় ;
এ মহা শ্মশান আসি যাই
একবার যদি দেখা পাই বন্ধু ,
পারবি কি !
মৃত্যু ডেকে বলে আমায় ;
তোর চিতা জ্বলে সম্মুখে,
রক্ত মাংস চামরা পোড়া
মাথা হাড় ফাটা
দর্শন!
পারবি কি , মনে হয় !
তবুত্ত বলছি আমি
সত্য দেখতে চাই-
মৃত্যু কি শেষ সত্য ?
জীবনটা মিথ্যা ?
কি করে বলছ এ কথা ।
আমি যদি মিথ্যা হই
তুমি ও যে মিথ্যা হবে ।
বার বার আসি মহাকাল বেয়ে
তবু কেন পাই না তোমার ,
দেখা মৃত্যু আমার।
জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি রাস্তা বয়ে যায়
কত রকম গাড়ি , কেউ বা রিক্সায়
চলার নাম জীবন - সময় দাঁড়ায় না -
জিততে যদি চাস জীবন এগিয়ে চলে যা
আমিও চলি .. পা চলেনা .. মন
হওয়ায় ওড়ে মেঘের কোলে যথেচ্ছা ভ্রমন
মেঘের সাথে জয় কে দেখি
কেমন চলে যায় ...কালির সাথে মন চলে তার ... পাতায় পাতায়
জয় কে ? আরে তাও জানোনা - কবি সে গোস্বামী,
আমার সাথে তার তুলনা হয় না? আমি জানি !
তবু ও ভাবি ..রাস্তা কেন ..চলতে যদি হয়
এমন ভাবে ই কলম কালির হোক না পরিচয়
জীবনের দিন শেষের পথে ..অনেক হলো চলা
জমে জমে পাথর হোলো অনেক না-বলা
সে সব কথা ছন্দে চলে ..তাল মিলিয়ে পা
হোক শুরু আজ ... মন রে আমার যা এগিয়ে যা.
Sent from my iPhone
একটু সবুর করো মনি
একটা আলু মেখে দি .
আমার মা গরম ভাতে ঘি এখনো
আছেন আমার মেয়ের দিম্মা ;
তবু যেন অনেক দূরের কেউ
অনেক অচেনা !
মা তোমার হাতে মাখা গরম ভাতে ঘি
খেতে আর মন চায়না
.....
বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে দিন কেটে যায় ,
মনের চোখের সামনে কত কিছু ঝাপসা হয়ে আসে
ছেলে মেয়ে জীবনের আসল জমানো ধন
দরকারে কাছে এসে পিছন এ দাঁড়ায়
তাদের কর্ত্যব্য জ্ঞানে জল মিশে নেই ;
মন বড় একা হয়ে গেছে
জীবনের শেষে এসে পিছনে
তাকালে মনে পরে
কত কিছু নেই !
🌸🌸
মৃত্যু কতো কাছ দিয়ে
চলে গেলে
মৃত্যু কতো কাছ দিয়ে চলে গেলে
এখন ভাবলে মিথ্যা মনে হয়
মনে হয় আসনি তুমি
শুধু ছায়া ফেলে ছিলে
তবে কেন কেউ জীবন কে ধরে রাখে
মৃত্যু তুমি অসহনীয় যন্ত্রণা রূপে
ছুঁয়ে , জীবন কে মিথ্যা বলে গেলে,
তোমার ছুঁয়ে থাকা দন্ডে দন্ডে পলে পলে
তোমার হীম অশ্রুজলে
পিচ্ছল জীবন ,
বুঝে ও তবু না বোঝার ভাণ
জানি থাকবেনা
তবু আঁকড়ে রাখি প্রান
যতদিন আছে থাক
ডেকোনা আমায়
এখনো যে হয়নি সময়
এখনো অনেক বাকি
কতকিছু হলনা যে শুরু
শেষ দেখা বাকি আছে কতো
ফিরে যাও ফিরে যাও
জীবন কে ভালবাসতে দাও
আরো কিছু দিন
পূর্ণ করতে হবে প্রতিশ্রুতি কত
বাকি আছে ঋণ
দয়া করো আজ যাও
এসো পরে অন্য কোনো দিন
এখন ভাবলে মিথ্যা মনে হয়
মনে হয় আসনি তুমি
শুধু ছায়া ফেলে ছিলে
তবে কেন কেউ জীবন কে ধরে রাখে
মৃত্যু তুমি অসহনীয় যন্ত্রণা রূপে
ছুঁয়ে , জীবন কে মিথ্যা বলে গেলে,
তোমার ছুঁয়ে থাকা দন্ডে দন্ডে পলে পলে
তোমার হীম অশ্রুজলে
পিচ্ছল জীবন ,
বুঝে ও তবু না বোঝার ভাণ
জানি থাকবেনা
তবু আঁকড়ে রাখি প্রান
যতদিন আছে থাক
ডেকোনা আমায়
এখনো যে হয়নি সময়
এখনো অনেক বাকি
কতকিছু হলনা যে শুরু
শেষ দেখা বাকি আছে কতো
ফিরে যাও ফিরে যাও
জীবন কে ভালবাসতে দাও
আরো কিছু দিন
পূর্ণ করতে হবে প্রতিশ্রুতি কত
বাকি আছে ঋণ
দয়া করো আজ যাও
এসো পরে অন্য কোনো দিন
🌸🌸
সত্য-মিথ্যা
দিনে গেছি , রাতে ও ,
প্রভাতে সন্ধ্যাকালে
কিছু বাকি রাখিনি প্রয়াশ ,
তবু দেখা পাইনি বন্ধু ।
কার দেখা চাস !
শন শন বাতাসের গায়ে
জলন্ত চিতাভস্ম ওড়ে
আকাশের অনন্ত জিজ্ঞাসায় ।
মন্দির মসজিদ গির্জা বা
গুরুদ্বার নয় ;
এ মহা শ্মশান আসি যাই
একবার যদি দেখা পাই বন্ধু ,
পারবি কি !
মৃত্যু ডেকে বলে আমায় ;
তোর চিতা জ্বলে সম্মুখে,
রক্ত মাংস চামরা পোড়া
মাথা হাড় ফাটা
দর্শন!
পারবি কি , মনে হয় !
তবুত্ত বলছি আমি
সত্য দেখতে চাই-
মৃত্যু কি শেষ সত্য ?
জীবনটা মিথ্যা ?
কি করে বলছ এ কথা ।
আমি যদি মিথ্যা হই
তুমি ও যে মিথ্যা হবে ।
বার বার আসি মহাকাল বেয়ে
তবু কেন পাই না তোমার ,
দেখা মৃত্যু আমার।
🌸🌸
জয় গোস্বামীর জন্য
জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি রাস্তা বয়ে যায়
কত রকম গাড়ি , কেউ বা রিক্সায়
চলার নাম জীবন - সময় দাঁড়ায় না -
জিততে যদি চাস জীবন এগিয়ে চলে যা
আমিও চলি .. পা চলেনা .. মন
হওয়ায় ওড়ে মেঘের কোলে যথেচ্ছা ভ্রমন
মেঘের সাথে জয় কে দেখি
কেমন চলে যায় ...কালির সাথে মন চলে তার ... পাতায় পাতায়
জয় কে ? আরে তাও জানোনা - কবি সে গোস্বামী,
আমার সাথে তার তুলনা হয় না? আমি জানি !
তবু ও ভাবি ..রাস্তা কেন ..চলতে যদি হয়
এমন ভাবে ই কলম কালির হোক না পরিচয়
জীবনের দিন শেষের পথে ..অনেক হলো চলা
জমে জমে পাথর হোলো অনেক না-বলা
সে সব কথা ছন্দে চলে ..তাল মিলিয়ে পা
হোক শুরু আজ ... মন রে আমার যা এগিয়ে যা.
🌸🌸
তুমি আসবে চিরদিন
তুমি আসবে চির দিন
মরণের ওপাড় থেকে
অন্তহীন অনুপ্রেরনায়
তুমি আস ফিরে বারে বারে.
নিস্বরে কথা বলে যাও
তুমি আসনি শরীরে
তবু দেখিছি তোমায়
পূর্নিমার রাতে
নতুন প্রভাতে
আর গরীবের ভাতে
তুমি বলনি যে কথা.
রেখেছিলে মনে.
সে কথাও ছুঁয়েছে তার
হৃদয় বীনার
গোপনে গোপনে
তোমার বুক চিরে যত অশ্রু
নীল অক্ষরের স্রোতে করেছে পিছ্বল
আমার চলার পথ
কল্পনায় দেখেছি তোমায়
কবি তুমি আসবে
ফিরে
আসবে কালের গভীরে
আসবে বারে বার
দেহ নাই বা এলো
লেখনী তোমার কোনোদিন
হবে না কবর.
অন্তহীন অনুপ্রেরনায়
তুমি আস ফিরে বারে বারে.
নিস্বরে কথা বলে যাও
তুমি আসনি শরীরে
তবু দেখিছি তোমায়
পূর্নিমার রাতে
নতুন প্রভাতে
আর গরীবের ভাতে
তুমি বলনি যে কথা.
রেখেছিলে মনে.
সে কথাও ছুঁয়েছে তার
হৃদয় বীনার
গোপনে গোপনে
তোমার বুক চিরে যত অশ্রু
নীল অক্ষরের স্রোতে করেছে পিছ্বল
আমার চলার পথ
কল্পনায় দেখেছি তোমায়
কবি তুমি আসবে
ফিরে
আসবে কালের গভীরে
আসবে বারে বার
দেহ নাই বা এলো
লেখনী তোমার কোনোদিন
হবে না কবর.
🌸🌸
সন্ধ্যা নামছে দেখো ধীর পায়ে লজ্জা রাঙা ,আকাশের বুকে ,
তারা ঝিল মিল চোখ দুটি খুলে ও খোলেনা ,
শতবার বিদায় জানায় তাকে , ফিরে ফিরে চায় ,
পশ্চিম দিগন্তে সূর্য্য যায় অস্তাচলে
দিন শেষে পাখী যত ফেরে নীড়ে ,
বউ কথা কও বলে আর সে ডাকেনা ,
বড় চেনা পৃথিবী ছেড়ে আজ যাব চলে
একবার কাছে এসে বসো ,
দুটি কথা বলো তুলে আনত নয়ন মুখ পানে ,
আজ শেষ গানে বলে যাই
তোমায় কি চোখে যে দেখি , ডেকে বলে কবি ,
চেয়ে দেখো সন্ধ্যা নেমেছে সাথে তার
শেষ সে দিনের ছবি
ঝরা পাতাদের পথে গেছি যার খোঁজে ,
জীবনের আনন্দ সে পেয়েছে কি খুঁজে!
ভেবেছি বারংবার , কোন কথা
ব্যথা দিয়েছে আর কার সুরে গান গেয়েছে
হৃদয় তার , আকাশে বাতাসে কেবলি তো হাহাকার , জন্ম মৃত্যু কোথাও পাই না খুঁজে, হৃদয়ের চোখ বুঁজে , কান্নার মতো শুনি গান তার
আমার এ হৃদয় মাঝে ,
কোন দিশা পেলে বয়ে গেলে কার পানে
আমি বসে থাকি পথ চেয়ে. নির্জনে
যতবার শুনি গান চিনি তোকে বলে প্রাণ
সে গান আমায় পাকে পাকে বাঁধে -
এ প্রাণ আমার নাপাওয়ার শোকে কাঁদে
তারা ঝিল মিল চোখ দুটি খুলে ও খোলেনা ,
শতবার বিদায় জানায় তাকে , ফিরে ফিরে চায় ,
পশ্চিম দিগন্তে সূর্য্য যায় অস্তাচলে
দিন শেষে পাখী যত ফেরে নীড়ে ,
বউ কথা কও বলে আর সে ডাকেনা ,
বড় চেনা পৃথিবী ছেড়ে আজ যাব চলে
একবার কাছে এসে বসো ,
দুটি কথা বলো তুলে আনত নয়ন মুখ পানে ,
আজ শেষ গানে বলে যাই
তোমায় কি চোখে যে দেখি , ডেকে বলে কবি ,
চেয়ে দেখো সন্ধ্যা নেমেছে সাথে তার
শেষ সে দিনের ছবি
ঝরা পাতাদের পথে
ঝরা পাতাদের পথে গেছি যার খোঁজে ,
জীবনের আনন্দ সে পেয়েছে কি খুঁজে!
ভেবেছি বারংবার , কোন কথা
ব্যথা দিয়েছে আর কার সুরে গান গেয়েছে
হৃদয় তার , আকাশে বাতাসে কেবলি তো হাহাকার , জন্ম মৃত্যু কোথাও পাই না খুঁজে, হৃদয়ের চোখ বুঁজে , কান্নার মতো শুনি গান তার
আমার এ হৃদয় মাঝে ,
কোন দিশা পেলে বয়ে গেলে কার পানে
আমি বসে থাকি পথ চেয়ে. নির্জনে
যতবার শুনি গান চিনি তোকে বলে প্রাণ
সে গান আমায় পাকে পাকে বাঁধে -
এ প্রাণ আমার নাপাওয়ার শোকে কাঁদে
মধুরের সংগীতে
হৃদয় খুঁড়ে বেদনার বারি
খোঁজো তুমি- মরু ভুমি অন্তর,
তুমি পাওনি খবর,
কোথা জলাসয় বৃষ্টি বাদল,
মেঘপাখিদের দল,
কার চোখের তারায়
দৃষ্টি হারায় ,ভ্রু-ভংগিমায়
নাচে থরথর জগো চরাচর!
তবু কেন বৃথা এতো আয়োজন
কার প্রয়োযনে
করাঘাত করো,
কার ইচ্ছায় ডানা কাটা গাংচিল,
অসহায় ডোবে এক হাত জলে
হদয়ে নাড়ায় কড়া !
ভুলে গেছে মন
সেই মধুবন
আজো আসে চুপিসারে,
হৃদয়ের তারে ওঠে ঝংকার,
ফল্গু ধারায় ধুয়ে যায় যতো
বেদনর রঙ কালো ;
যতো দূর যাও যন্ত্রনা দাও
তবু ও পাবেনা ছুঁতে ,
বেদনার বারি
লুকিয়েছি আমি
মধুরের সংগীতে।
৩)কথা শুধু বলে যাই
সে কথা কেনযে ছাই
বেতাল বেসুরো কানে বাজে
ছন্দ মেলেনা তবু
মিল খুঁজে ফিরি শুধু
নতুন ও বিগতর মাঝে
কাল যত বয়ে যায়
প্রাণ করে হায় হায়
শুনলে না তুমি এই গান
প্রাণের ভিতরে বসে
"আমি" মৃদু মন্দ হাসে
আমাকে চিনবে কবে প্রাণ
লেখা-
কেন এত ভালবাসে লেখনী আমার
দেখা
যদি নাও পায় প্রশংষা তোমার
তবু-
নিজের পরিচয়
বহন সে করে সে যায়
ছেঁড়া কাগজের গায়,
আঁকা বাঁকা অক্ষরে,
সযত্নে রচিত এই কবিতা আমার ।
৪)
শূণ্য
সান্ত্বনা চ্যাটার্জি
কেন এমন অপূর্ণতা জীবন জুরে থাকে ;
খুঁজব কোথায় ;
কেমন করে পাব তাকে !
আকাশ ভরা সূর্য তারার ফাঁকে ফাঁকে
যে পূর্ণতার আভাস মেলে ,
সব ফেলে আজ তাকেই ডাকি ;
কেমন খেলা খেলছে হৃদয় ;
শূণ্যকে আজ পূর্র্ণ বলে হচ্ছে মনে ।
বনে বনে ,
পাতায় পাতায়,
ফুলে ফলে ,
কে যেন ডাক দিচ্ছে আকুল স্বরে !
শূণ্য কলস বিনা জলে
ভরল কেমন করে ।
আমি বর্ষা হয়ে যাই
তুমি বৃষ্টি ভালবাস তাই
আমি
আমিফোঁটাফোঁটাজলেজীবনডোবাই,
নোনতাচোখেরজলেস্বপ্নভাসাইআর
হৃদয়সাগরেডুবদিয়ে
স্মৃতিরমুক্তকুড়াই,
তুমিবৃষ্টিভালবাস,
আমিমেঘেরআড়ালেথেকে
ঝরণাহয়েযাই-
টাপুর-টুপুরগানেতোমাকেভোলাই,
তুমিবৃষ্টিভালবাসতাই
আমিঝরনা যাই।
কখোনোবাঘনকালোমেঘবেয়ে
প্রবলবর্ষণেপৃথিবীডোবাই,
তুমিবৃষ্টিভালবাস,
আমিবর্ষাহয়েযাই।
Sent from my iPhone
Santwana Chatterjee
Santwana Chatterjee
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে