Featured Post
ভৌতিক গল্প: দেবব্রত সেন
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
দিনুদির ভূত অভিজ্ঞতা
গল্পটা! ভূতের। দিনুমনিদির জীবনে ফেলে আসা, সেই অতিতের ঘটে যাওয়া একটা সত্য ঘটনা। আমি আর কি! তার ছেলেমেয়েদের টিউশন পড়াই, দিদিই একদিন ডেকে বলেছিল, এই সুমিত ইউনিভার্সিটিতে পড়ছিস তাই না, আমি বললাম, হুম দি! দিদি বলল, ফাকা সময় এদিক সেদিক না ঘুরে আমার ছেলেমেয়ে দুটোকে পড়ালেই তো পারিস?, তাতে তোর হাত খরচাটাও হবে, বাপমা 'র কাছে আর কত চেয়ে বসবি বল? তাই আর কি! দিনুদির কথায় সায় দিলাম, ভাবলাম ঠিকই তো বাপমা'য়ের ঘারে বসে আর কত চাইবো?
একদিন বিকেলবেলা টিউশন পড়াচ্ছি, বাতাস নেই, খালি খালি আঙিনায় একটা আম গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ল হুরমুড়িয়ে। আমি বললাম, এ আবার কি হল? হাওয়া বাতাস কিছুই তো নাই?আর অমনি অমনি তরতাজা ডালটা পড়ল? সন্দেহ লাগছে আমারও। দিদি তখন আমার জন্য চা তৈরী করছিল, কিচেনে থেকেও দিদির কানে ডাল পড়ার শব্দটা গেল, কিচেন থেকে বেরিয়ে এসে দেখেই দিদি বলল, ওমা,মগডালটাই ভেঙ্গেছে। বাপরে বাপরে কোন বেটা মহারাজা ভূত এলো আমার বাড়িতে? নইলে শুধু শুধু ডালটা ভেঙ্গে পড়লো কি করে বলত ভাই? এই বলে দিদি চায়ের কাপটা একটা প্লেটে করে কয়েকটা বিস্কুট সমেত দিয়ে গেল, আমায় বলল, অবাক হচ্ছিস নাকি ভাই? তবে দাঁড়া আমি আমার চায়ের কাপটা নিয়ে আসি, তারপর বলছি আমার জীবনে ভূতের একটা কান্ড।
চায়ের কাপে চুমু দিতে দিতেই দিদি বলল, আচ্ছা ভাই তুই ভূতে বিশ্বাস করিস? তুই হ্যাঁ বললে বলছি, না বললে আর বলছি না।
আমি বললাম, হ্যাঁ দিদি, বিশ্বাস করি আর কি! ওই ওঝা আর তান্ত্রিকদের কাছেই যতটা শুনেছি, তবে চোখ কোনো দিন দেখিনি! সে যাইহোক, ভাবছি আসলেই আমি ভূতে তেমন বিশ্বাস করিই না! শুধু দিদির কথা শুনব বলেই হ্যাঁ বলে দিলাম। আর কি অন্যকোনো লোক হলে হয়তো অন্য গল্পে মোড় ঘুড়িয়ে দিতাম কখনই! দিদি বলছে তাই, শুনি, তাছাড়া আমার তো দিদি নেই, দিনুদিকে দিদি বলে সাদ মেটাই! মানেও একদম আপন ভাইয়ের মতো, কার্তিকে ভাই ফোটাও দেয়, রাখি পড়ায়। সে বলত আমারও একটা ভাই ছিল কিন্তু ছোটোবেলায় পুকুরে পড়ে মৃত্যু হয়েছে, এখন তো নেই, তোমরাই আমার ভাই।
কি বলব! শুনবি তো? আমি বললাম, হুম দি একদম। দিদি বলা শুরু করল, আজ থেকে সাতআট বছর আগের ঘটনা ভাই, তোর ভাগনা ভাগ্নি দুটোর বয়স তখন পাঁচ আর সাত'বছর চলছে! জৈষ্ঠ মাস,গরমকাল!ভরখর আমাবস্যা চলছে তখন, আমি ঠিক জানিই না যে সেদিন আমাবস্যা চলছে, পরে সব কারও শুনেছি। যাইহোক তুই জানিসই তো সেময় আম কাঠাল পাঁকার দিন। সেদিন খাওয়া দাওয়া হল রাত ন'টার মধ্যে। ছেলে তখন খুব বিরক্ত করছে, তাই ভাবলাম থালা বাসন গুলো একটু পরে মেজেনিই, আগে ছেলেটাকে ঘুম পাড়াই, ছেলে ঘুমিয়ে গেল মেয়েও ঘুমিয়ে গেল তোর জামাই বাবু ও। ওর শরীরটা তেমন ভালো ছিল না সেদিন, আসলে সারাদিন খাটাখাটুনি । আমি তখন কুপির আলোয় থালাবাসন নিয়ে গেলাম কুয়োর পাড়ে, তখনও আমাদের গ্রামে তো ইলেক্ট্রিক আসেনি! এখন না সব হয়েছে! তাই তখন কুপির ব্যাবহার।
আমি থালাবাসন গুলো মাজতে মাজতে কুপির আলোয় দেখলাম আমার ছেলের সমান উচু একজন দাড়িয়ে আছে, আমি ভাবছি আমার ছেলেই ঘুম থেকে উঠে দাড়িয়ে আছে, আমি বকা শুরু করলাম, তোরা এত বিরক্ত করতে পারিস, এখুনিই তো ঘুমিয়ে দিয়ে এলাম, যা বিছানায় যা! ঘুমা গা। কিছুই বলছে না। আসলে আমিও লক্ষ্যই করিনি ছেলে না কে? একটা প্রতিচ্ছবি দেখছি! তবুও বকেই যাচ্ছি আর থালাবাসন মেজেই গেলাম। মাজা অবশ্য হল, রান্না ঘরে থালাবাসন রাখতে গেলাম সেও আমার আগে হেটে যাচ্ছে সেটা লক্ষ্য করছি।
যখন সব কাজ সেরে ঘরে যাচ্ছি, দেখলাম ছেলেটা ঘুমাচ্ছে আপন মনে, মেয়েটাও ঘুমাচ্ছে। গা শিহরিত হয়ে উঠল তখন। ভাবলাম, তাহলে আমি কি দেখলাম? ভয়ে ভয়ে তোর জামাইবাবুকে ডাকলাম! বললাম সব কথা খুলে, মানুষটা বিশ্বাসই করল না!প্রথমে একটু হাসল, হে - হে - হে করে । উল্টে আমায় বলল, ও তোর মনের ভুল। যাজ্ঞে ঘুমাও গে, মেলা রাইত হইছে। আমার শরীর তখন কাঁপছে থরথর করে, তবুও ভয়ে ভয়ে আবার কুপি নিয়ে কুয়োর পাড় অবধি যাচ্ছি, দেখা যাচ্ছে ঘরের দরজা থেকে একদম কুয়োর পাড় পর্যন্ত, আমার জুতো পায়ের ছাপের ঠিক পেছনে পেছনে গুটি গুটি ভেজা পায়ের ছাপ। এমনকি যে জায়গাটায় দাড়িয়েছিল সেখানে ভেজা আর ঠান্ডার আজ তখনও। তখন আর বেশি দেরি করলাম না, সোজাসুজি ঘরে এলাম।ভয়ে ভয়ে কাটল রাতটা। আমি একটু ঠাকুর বিষহরি মেনে চলি ভাই, পরের ভয় কাটানোর জন্য সব লেপা মোছা করে পুজো দিলাম, কেটে গেল কয়েক দিন! পনেরটা দিন বাদে পূর্ণিমা। সেই হল একটা কাল।
তারপর কিছু হয়েছে নাকি দিভাই? তারপর আর কি হবে রে ভাই? একদিন আরও সেই এরকমই ঘটনা! তবে সেটা ছিল একটু ফারাক।
আর সেই রাতেই ঘটল অঘটন। সেদিন দেখলাম একটা দাড়িওয়ালা মানুষ,বোঝা যাচ্ছে একটা পাঞ্জাবি পড়া! আকৃতি আর প্রতিচ্ছবি ঠিক আগের মতোই,আমি শুধু ওর ছায়া শরীর দেখলাম, একটু পর সব মিলিয়ে গেল, মনে মনে রাম নাম জপ করলাম, রাম রাম জয় রাম। কিছুক্ষন পর তখন নিশার রাত্রি, সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন,চারদিকে সারা শব্দ নেই সব যেন নিশ্চুপ। রাতের আধারে একটা ঘুঘু ডাক দিচ্ছে! ঘুঘু ঘুঘ কিসের দুঃখ, ঘুঘু ঘুঘ ব্যাঙের দুঃখ। মনে মনে ভাবছি এত রাতে ঘুঘু ডাকছে বিষয়টা ভালো ঠেকছে না, কিছু একটা হতে চলেছে। তবে হলই।
তার পর কি হতে চলল দিভাই! আমার কিন্তু গা শিহরে উঠছে। লোম থরথরে দাড়াচ্ছে!
----ভয় হচ্ছে না তো ভাই।
-----না না দিভাই, তুমি বলো, শুনিই পুরোটা।
তারপর সবাই ঘুমিয়েছি! সকাল হল। তোর জামাইবাবুকে দেখছি ঘরে নেই! খুজতে খুজতে পেলাম বাড়ির দক্ষিণ পাশে ঝোপটার কাছে শুয়ে আছে! আদুল গা য়ে, ঘাসের উপর। ডাকদিলাম কি গো ঘর ছেড়ে এখানে কোথায় ঘুমিয়েছো? তুমি কি পাগল হয়ে গেলে নাকি? তবুও সারা পেলাম না! হইচইয়ে অনেক লোকজন জরো হলো, সবাই ডাকছে তবুও সারা নেই। তখন দত্তবাড়ি বড় ছেলে, সে অবশ্য বেশ ডাকাবুকো চেহারার, বেজায় সাহস তার! সে একটা টলানি দিতেই উঠে পড়ল তোর জামাইবাবু, চোখ ঘষরাতে ঘষাঘষি করতে করতে বলল, এত লোক জন কিসের জন্য? তোমরা হইচই করছ কেন? যাও যাও বাড়ি যাও! এদিকে তার যে এরকম অবস্থা সেটা তার হুস হচ্ছে না। আমি তখন বললাম, তোমার জন্য সকলে এখানে আর তুমি বলছ এত লোকজন! হইচই করছ কেন?
------আরে দিনু কি হয়েছে ভালো করে বলত, শুনি।
------আঃ মরন! তুমি তো সারা রাত এখানে ঘুমিয়েছো,তাই তো এত সব!
------- কি বলছ? এটাই তো বাড়িটা। কি সুন্দর ঘুমালাম।
-------মাথা পুরো গেছে। চারদিক তাকিয়ে দেখ! বাড়ি না কি?
------- তখন চারদিক তাকাতেই, মাথাঘুরে উঠল তোর জামাইবাবু, পরে গেল মাটিতে।
-------ধরাধরি করে কয়েকজন ছেলে বাড়ির ভিতর দিয়ে গেল, জল দিলাম মাথায়। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরতেই হুস এল! বলতে শুরু করল ইয়া বড় টাকার সিন্ধুকটা, আমার কই গেল! আর ছটফট করতে লাগল সিন্ধুকের জন্য।। আমি বললাম, কই? সিন্ধুক আমাদের নেই। ও, বলতে শুরু করল, আরে কালকে রাতেই তো টাকা ভর্তি সিন্ধুকটা নারলাম। অনেক টাকা, অনেক। সোনার টাকা। হে-- হে-- হে আমি কোটি পতি! আমি কোটিপতি বলে চিৎকার শুরু করল। কি জানিস ভাই, আরও বলল, ওরা কই, ওরা? আমি বললাম, ওরা আবার কারা? তোর জামাইববাবু বলল, সাদা ধবধবে দুটো মানুষ, যে আমাকে বন্ধু করেছে, আরে ওরাই তো সিন্ধুকটা আমার কাছে এনেছে, আমাকে দেবে বলে আমাকে কথা দিল। আর সেই টাকা টাকা করেই তো লোকটা অসুখেই পড়ল!
শেষে চারপাশা গ্রামের সিদ্ধ সাধু ও তান্ত্রিক বাবাকে ডেকেপাঠিয়েছি,বাবা এসে বলল বাড়ির দক্ষিন কোনটা নাকি খুব খারাপ। সেখানে নাকি একটা।কবর রয়েছে! আর সেই কবরে রয়েছে একটা অতৃপ্ত আত্মা! সে ঘুরে বেড়ায় শনিবার ঠিক মধান্ন্য রাত দুপুরে, তোমরা বুজবে সেই সময়টা একটা নাই বাতাসের বাতাস বয়, ঠিক শীতল বাতাস। অবশ্য আমাবস্যা আর পূর্ণিমার সময়ও এই অতৃপ্ত আত্মা দৃষ্টান করে, যার পেছনে লাগে তার কিছু একটা তো হয়ই! আর এই অতৃপ্ত আত্মাটা যক্ষ হয়ে আছে! যে কাউ টাকা দেখিয়ে মারাতে চায়, আর যে নতুন আত্মা আসবে তাকে সেখানে রেখে সে মুক্তি হতে চায়।
তখন বাবা বলল, ভয় নেই মা। তোমরা বাস্তুভিটে পরিবর্তন কর,। বাস্তুটারও ওই দোষের ছায়া আছে। তারপর এইখানে জমি কিনে তারপর বাড়ি বানালাম। ওই তাতেই আমি ভূতে বিশ্বাস করি ভাই!না হলে আমি তোর মতো ভূতে তেমন বিশ্বাস করতাম না। এখন দেখছিস ভগবানের কৃপায় ভালো আছি।
এখন তোর জামাইবাবুকে বললে, সেই ভয়ংকর ঘটনাটা বলে ভালো করে। সেদিন পূর্ণিমার রাতে দুজন পালকি নিয়ে এসে ডাকল, এই রাজেশ, রাজেশ বাড়ি আছিস! সে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেই দেখে দুজন ভদ্র লোক, পালকি আর দিন দিন লাগছে।ওরা গম্ভীর গলায় বলল, চল আমাদের সঙ্গে কাজ আছে! তোর আর অভাব থাকবে না। পালকিতে করে নিয়ে গেল। ঝোপটার কাছে, সেখানেও বলে রাজেশ দেখতে শুধু বিশাল প্রাসাদ! ওরা প্রাসাদের ভিতর নিয়ে গিয়ে বসতে দিল চেয়ারে। তারপর একটা বিশাল লোহার সিন্ধুক নিয়ে এল,। বলল, এই বেটা রাজেশ কি দেখছিস? এই সোনার মোহর এগুলো সব তোর, আমরা আগে পাহারা দিতাম, এখন তোর হাতে ছেড়ে দিতে চাই! রাজেশের, লোভজমে গিয়েছে সিন্ধুকটার প্রতি, সে ভাবছে, এটা আমার হলে, আমি রাজার হালে যুগ পরাম্পরায় দিন কাটাতে পারব। আর জানতাম না ওরা ভূত। বিশাল প্রাসাদে থাকে ওরা। একটু পর দুজনের আসল চেহারা, মুখ যেন নেই, দাতের সারি আর কঙ্কাল স্বরূপ মাথা, দাত দুলো বেরিয়ে আসছে, হাতগুলো আমার দিকে বিশাল লম্বায় গলার কাছে আসছে, রক্ত মাংসহীন মাথায় চোখ দুটো আগুনের গোলার মতো জ্বলছে।আর গম্ভীর স্বরে বলছে, রাজেশ, আমরা আজকে যাচ্ছি হি হি হি, আমরা মুক্তি হি হি হি, তুই এখন এই সিন্ধুকটা নিবি, আয় আয়, ভালো করে দেখ। আমার শরীর জল জল হল, কাঁপছে থরথর করে কখন যে অজ্ঞাত হয়ে গেলাম বুজতেই পারলাম না। সকালবেলা হল, দেখলাম লোকজনের ভির আমি শুয়ে আছি আমার বাড়ির ঝোপের একদম সন্নিকটে । তারপর যা হওয়ার তাই। সেদিন বউটা ঠিকই দেখেছিল, আমি ওকে বিশ্বাস করিনি! এগুলোই তোমার জামাইবাবু সেদিনের স্মৃতি চারনায় বলে। আরও বলে যে আমার টাকার প্রয়োজন নাই ওরকম, পরিশ্রম করলে যা পাব সেই আমার ভালো।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে