Featured Post
গল্পঃ শান্তা কর রায়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ফেরত
সবুজ মেঘ পুষেছিল বাবা
ভালবেসেছিলো
একদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শেখালাম
উড়ে গেলো
এরপর বছরে একবার যখন পায়রা
ওড়ানোর ইচ্ছে হয়
মেঘটাকে ডাকি-- ঘুড়ি হয়ে ওড়ে!!
একইভাবে ও রাগ করলে কষ্ট হয়!!
ফেরাতে পারিনি কোনদিন, একের পর এক মেহগনি মেঘ আসে যায়
আমি অবাক -বসে থাকি দোরগোড়ায়!!
বসন্তসখ আমাকে বৃষ্টি হতে দেয়নি
বরং বমি পেয়েছে গরমে
কঠিন হতে শিখিয়েছে নরমে!!!-
ভাবছেন কবিতা কেন? আসলে আমার গল্পের নায়িকা এমিলিয়া কবি । ওর জন্ম নিউ জার্সিতে । বড়োলোক আর একটু এলোমেলো । ও বাবা ভক্ত। উনি রক্ষণশীল, তাই রাত ন' টার মধ্যে ঘরে ফিরতে হতো । এমির প্রেমে পড়েনি এমন কেউ ওর ক্লাসে ছিলনা। ফলে প্রায় প্রত্যেকদিনই ওর দেরি হতো,আর জুটতো মায়ের বকুনি । আর বাবাকে শুনতে হতো,'তোমার আদরে এমি উচ্ছন্নে গেছে '। এমির কাউকে পুরোপুরিভাবে ভালো লাগতো না,কারোর চোখ তো কারোর ঠোঁট সুন্দর । এভাবে চলছিল, ইউনিভারসিটি বাসে প্রতিদিন ওকে পাশে বসানো নিয়ে স্মার্ট ছেলেদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলতো । এমি ব্যাপারটা এনজয় করতো । একজন গরীব পড়ুয়া এমিকে দূর থেকে দেখতো,কেউ জানতে পারেনি ।
তিনদিনের জ্বরেরধাক্কা সহ্য করতে না পেরে হঠাৎ এমির মা চলে গেলেন, ছোটো ভাইকে দেখার জন্য এমির বাবাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে হয়। এরপরেই ওর খারাপ দিনের সুত্রপাত ।
এমি যখন লুকিয়ে কাঁদতো পিটার রুমাল এগিয়ে দিলো। ক্রমশ ওর ওঠাবসা সবকিছুর দখল নিলো । চাঁদ ওঠার মতোই নিঃস্ব মুহূর্তগুলো ভরিয়ে দিলো । সকাল হলেই দমবন্ধকরা পরিবেশ থেকে এমি সোজা পিটারের দোচালায় । ওর মায়ের হাতের বানে ( রুটি) নিজের মাকে ফিরে পেতে চাইতো, চোখের জল আনন্দে পূর্ণ হয়ে উঠলো । নিজের বিয়ের জন্য জমানো টাকায় পিটারের চাকরীর ফর্ম ভরতে শুরু করলো । অনেক ডালে বেরানো পাখি হঠাৎই পিটারকে নির্দ্বিধায় বিছানা দিলো, ভালবাসলো কখনো বর কখনো সন্তানের মতো । পিটারও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়লো না,নিংড়ে ছিবড়ে করে এমিকে ছুড়ে ফেলে দিলো । ততোদিনে সুধীমহলে রটে গেছে এমির নাকি বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি ঘটে গেছে। এতোটাই রটলো, যার সবটা এমিরও জানা ছিলনা । যাইহোক মুক্ত বিহঙ্গ এখন ডানাভাঙা পাখি । ওরদিকে কেউই এখন করুণা বা ঘৃণা ছাড়া কিছুই ছোড়েনা ।
আর যে ভ্রূণ ও বহন করেছিল, সর্বস্ব দিয়ে তাকে রক্ষা করতে পারলো না । নিরর্থক যাপনে এবার আছড়ে পড়ুক ঢেউ, এবার ও বুঝতে শিখুক নির্জন উপকূল সবার জন্য নয়। এবার ওর জানা হয়ে যাক অন্যের জন্মদিন পালনের জন্য নিজেকে নিঃস্ব করতে নেই । চামড়ায় অনেককিছু লেখা থাকে সেটা পড়তে শিখুক । পশুতুল্য অথবা পশুত্বর ওপর দাঁড়িয়ে থাকা জীব চিনতে শেখা, বা অতি আবেগ থেকে ধীরেসুস্থে সরে এলে আবেগ ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধবে ।
এমিলিয়া কাঁদতে ভুলে যায়, হাসতে ভুলে যায়, আর ভালবাসতে ভোলেনা । পিটার যার সংগে আছে সেও এমির ক্লাসমেট । ওকে উচ্চাভিলাষী করেছে এমি।সবথেকে বড়ো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে । আর প্রতিদিন গডের কাছে প্রে করেছে । নিজের জন্য নয় অন্যের জন্য বরাবর ওর ন্যাকামো, দেখলে মনে হবে মেগাসিরিয়াল চলছে ।
একদিন সূর্য উঠতে দেরি করলেও ও কিন্তু খাবার নিয়ে প্রস্তুত । এইভাবে চললো দীর্ঘ দশ বছর ।
ঘরে ঢোকার মুহূর্তে পিটার দুহাতের বন্ধনে তুলে এমিকে ছুড়ে দিতো বিছানায়।
অপ্রস্তত এমি জানতো এমন ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়,তবু বরাবরের মতো কপট রাগ দেখাতো।
ছাড়ো, মা রয়েছেন, ব্যাগ রাখতে দাও।
পিটারের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই,বরং ডাকাতের মতো স্বভাব, আদরে জড়িয়ে বলে,
আমার ভয় করছে এমি!
কিসের ভয়!
তোমাকে হারানোর ভয়,দুঃস্বপ্ন দেখেছি,
তাই! তাহলে তো ভালোই হয়,তোমার মতো ডাকাতের হাত থেকে মুক্তি পেতাম!
বলেই এমি ওর বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে উঠে বসে ।
চারদিকে বিষন্ন ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছে আজকাল, কেন,কিসের জন্য পিটার ওকে নিঃস্ব করে চলে গেলো!!
বেশি ভাবলেই বুকের বাঁদিক ব্যথা করে,কেমন অসহায় মনে হয়। এমির বাবা যে ওকে সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয় দেওয়ার কথা বলেছিল এতদিন সেও কেমন বদলে গেছে । এমি জানলা দিয়ে রামধনু দেখে, কিছুক্ষণ আগে একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো । এখানে চাঁদ উঠতে দেরি করে,এইসব বিকেল একসময় উচ্ছলতায় কাটিয়েছে । এখন সব পানসে মনে হচ্ছে।
পিটারের দেওয়া লাল চুনির দুলটা এমি পরেছে। লাল গাউনে পরীর মতো লাগছে । পিটারের মা সারাদিন রান্নাঘর থেকে বেরুতে পারেনি, পাঁচরকমের কেক বানিয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করেছে পিটার ফেরেনি, এমিকে ফোন করে জানতে চেয়েছে,
তোদের কি হয়েছে,বলতো?
তোমার ছেলের কাছে জানতে চেয়েছো কখনো? কেন আমাকে ছেড়ে----
আর বলতে পারেনা । দুজনের স্তব্ধতা ভেদ করে একটা পাখি অবেলায় ডাকে কর্কশ স্বরে ।
একবছর আগে এইদিনটাই ছিল একসংগে কাটানো শেষ দিন। সারাদিন মলে ঘুরে মার্কেটিং করেছে, বাইরে খেয়েছে, সিনেমা দেখেছে । তারপর বাড়ি ফিরে পিটারের জন্য যখন রান্না করেছে, পিটারের আবদারের অন্ত নেই।
আজ থেকে শুধু তুমিই আমার জন্মদিনের কেক বানাবে,
সেকি মা তো করে রেখেছেন,আমি শুধু ডেকোরেশন করবো, আর ডিনার।
নানা তা হবে না আজ আমাদের এনগেজমেন্ট তাই-- বলেই ঐ অবস্থায় মায়ের সামনেই আদরে আদরে ভরিয়ে দেয় ।
সারারাত এমিকে ঘুমাতে দেয়নি পিটার। পাশ ফিরতে দেয়নি ঘুমন্ত চাঁদ দেখার জন্য । সকালের দিকে এমির বমি হয়,সংগে সামান্য রক্ত পড়ে । বেসিন লাল দেখে প্রথমে আঁতকে ওঠে,পরে অবশ্য স্বাভাবিকভাবে কথা হয় ।
কি হয়েছে,ঠিক আছো তো?
হু,কদিন ধরেই বমি হচ্ছে মাঝেমধ্যে, মনে হয় তুমি বাবা হবে পিটার!
শক খাওয়ার মতো ছিটকে যায় পিটার,ওকে এভাবে সরে যেতে দেখে অবাক হয় এমি,কাছে এসে জড়িয়ে ধরে,বলে
কি হয়েছে,আমরা খুব তাড়াতাড়ি অফিসিয়াল বিয়ে করে নেবো!
না,ও কে পৃথিবীকে আসতে হবে না,আমি তোমাকে বোঝাতে পারছি না,আমি বাবা হতে চাইনা ।
বিরক্ত এমি উঠে বসে,
তুমি চাওনা! আমি চাই,ও আমাদের ভালবাসা --
কিছুতেই না,ও কে জন্ম দিতে হলে তুমি আমাকে হারাবে ।
বেশ, আমি কোনো যে মূল্যেই ও কে পৃথিবীতে আনবো ।
না আনা হয়নি,সেটা ইচ্ছে হয়নি কাউকে জানাতে,কুমারী মা হওয়ার সাধ না মিটলেও যন্ত্রণা পাঁচ মাস ভুগতে হয়েছিল। সবকিছুর জন্য যে দায়ী সেই পিটারকে দেখা করে শেষ অস্ত্রটা নিক্ষেপ করার ইচ্ছে এমির বাড়ছিল । মাথার চুল খাড়া হয়ে যাচ্ছিল । যুদ্ধংদেহি রূপে এমিকে দেখে এসময় সবাই ভয় পেতো । শুকনো দিনেও তীব্র স্রোত উপলব্ধি করেছিল এমি। ওর জীবনের এই ছিদ্রের ভিতর দিয়ে যারা ওকে বিব্রত করলো তাদের ক্ষমা করার কথা বলেছিল পিটারের মা। এমি এতোটা মহৎ হতে পারেনি, বরং কিছুদিন সাহসে দরজা ঠেলে যাদের ঢোকা বন্ধ ছিল তাদের জন্য মজুত রেখেছিল ভালো স্ন্যাক্স আর কফি ।
কাঁধেচাপা চাপা পড়েছিল অজ্ঞাত কোনো মৃতদেহ । ও কেন মেপে ওজনে ভালবাসেনি,ভাবতে বসলো, আর খেই হারিয়ে ফেললো এইভেবে পিটারের ব্যবহারে কোনো ফাঁক দেখতে পেলো না। জড়িয়ে ছিল স্মৃতিতে অদ্ভুত সেই অভিজ্ঞান ।
আগুনের শিখার মতো জ্বলছিল এমি। পিটারের মা দরজায় কড়া নাড়ছে । এমি বাবা তাড়িয়ে দিচ্ছে দেখে এগিয়ে এলো,
বলুন!
পিটারের চিঠি;
আমি কি করতে পারি, ওতো ভালো আছে খবর পেয়েছি ।
না,ভালো নেই ।
আমি জানতে চাইনা।
বেশ, এটা রাখো, না পড়তে চাইলে ফেলে দিও ।
উনি চলে যাওয়ার পর কতক্ষণ বসেছিল জানেনা, মেট এসে কফি দিয়ে গেলো । বুঝতে পারছেনা কি করা উচিৎ । হাতের মধ্যে দলা পাকিয়ে আছে মাকে লেখা পিটারের স্বীকারোক্তি ।
প্রথম সন্তান জন্ম না দিতে পারা বছর তেইশের এক মা অন্য মাকে লেখা চিঠির কোঁচকানো অংশ মেলে ধরল দিনের শেষ আলোয়,
মা,প্রণাম নিও। এতোদিন পরে টাকা পাঠাচ্ছি, জানি তুমি গ্রহণ করবেনা । এমি কেমন আছে মা! আর আমাদের সন্তান!
মা তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই,তুমি আর বাবাওতো ভালবেসে বিয়ে করেছিলে, হয়তো আনন্দেই ছিলে,আমি তোমাদের জীবনে আসার পর তোমরা সবসময় ঝগড়া করতে। আমার কষ্ট হতো খুব । তোমরা থামতেনা,যখন থামলে বুঝলাম আলাদা হতে চাও। তখন আমি তোমার সংগে আমার শিকড়, খেলনাপুতুল, প্রিয়বন্ধু বাবাকে ছেড়ে চলে এলাম । তোমার আত্মসম্মানবোধ আমাকে ভালো মানুষ করে গড়ে তুলতে গিয়ে ভালো বাবা হতে দিলো না। আমার কষ্টের দিনগুজরানো সময় ছিল ভীষণ যন্ত্রণার, আমি এর পুনরাবৃত্তি চাইনা । আমার সন্তানকে এমি ভালো রাখবে জানি,ও যাতে আমায় ভুলে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখো, তোমরা ভালো থেকো ।
চিঠিটা হাতের ওপর উপুড় হয়ে এমির স্পর্শ চায়,এমি ভারসাম্যহীন চোখ আকাশের দিকে মেলে ধরে ।
==================
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে