" টর্নেডো "
আজব দুনিয়া আজব উন্নত মানুষ আমরা ,
অভিমান কেনা বেচার পাকা সওদাগর !
সম্পর্কে কখনো শৈত্য প্রবাহ কখনো সাবলীলতা,
অনেকটা পাখার রেগুলেটরের মতো বাড়ে কমে ,
সম্পর্কের গতি প্রকৃতির মতো ঘরের গরম বুঝে ।
এই তোমার মুখের হাসি ,গদ গদ ভাব মুহূর্তেই পাল্টে লু বয়াতে পারে ,গরমের হল্কায় ঝলসাতে
পিছুপা হয়না সম্পর্কের মধুরতা ।
ছোট বেলায় শুকনো গাছের পাতা জড়ো করে আগুনের ভেতরে আলু দিয়ে মজা পেতাম।
ধিকি ধিকি আগুনে সেদ্ধ আলু পোড়া খাবার
আনন্দে বিভোর হয়ে নিবে গেছে বলে
পোড়াপাতায় ছ্যাঁকাও খেয়েছি বহু বার ।
ঠিক বাইরের প্রাণবন্ত উচ্ছ্বল বিশ্বস্ত হাসি দেখে যখনই আপ্লুত হয়ে কাছে গেছি পেয়েছি শব্দ বানের জ্বলন্ত অঙ্গার, বিষাক্ত সাপের ছোবল । আড়ালে তৃপ্ততা এনে দেওয়া তোমার উল্লসিত হাসি,"আহ্ যা বলেছি না,!ভেবে বড়ো গা সওয়া।
চওড়া হয় তোমার বক্র মুখের হাসি আবার শকুন চোখে মৌনতায় খুঁজে বেড়াও অন্যের ফাঁক ফোকর,
ফোঁটা ফোঁটা জমতে থাকা হিংসা টর্নেডো হয়ে আছড়ে পরে বিরামহীন উগড়ে দেওয়া ঘৃণ্যতায়।
বছরের পর বছর নিজেকে না শুধরানো পাঁক কাদামাটি মেখে অন্যদের প্রতি তর্জনী হেলন
শিউরে ওঠায় ব্যবহৃত বাক্যবাণের ক্ষীপ্রতায় ।
নিজের ভালো থাকা ছাড়া সবকিছু বড়ো ফিকে, আপন সৃস্ট ঘৃণার পাহাড় বোঝা নিয়ে বেঁচে থাকো পরের জনকে কখন কথা শোনাবে সে হিংস্র অপেক্ষা।
বড়ো সাবলীল আপনজনদের এই ঘৃণ্য আচরণবিধি। অবাক হয়ো না , এর মধ্যেই নিহিত আছে দুর্বলের মাথা উঁচু করে বাঁচার রসদ ।
আঘাত পেতে পেতে দুর্বলের সবল হয়ে ওঠার সুদিনে আয়নাও তোমায় মুখ দেখাতে লজ্জা পাবে।