পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

তন্ময় সিংহ রায়ের অণু প্রবন্ধ ও অণুগল্প

আত্মকেন্দ্রিক বাঁচা ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦ ভাপা ইলিশ অথবা মাটন বিরিয়ানির গন্ধে আমাদের লালারস ক্ষরিত হয় কিন্তু দুর্নীতির গন্ধ খুব সহজেই আমরা উপেক্ষা করি কারণ জীবন একটাই। ভগৎ সিং আর ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের বীজ বুনে সমাজে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করে বেড়াবো কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবো মূক ও বধির রূপে, সুযোগ পেলে চুপিচুপি কমেই ছেড়ে দেবো মনুষ্যত্বটাও। সমাজটা কোমায় যায় যাক, পরিবারসহ নিজেরা ফার্স্ট ক্লাস এসিতে একবার হলেও কাশ্মীরে যাবো। দিনের শুরুতে চায়ের পেয়ালায় সুখচুম্বনসহ খবরের পাতায় অসামাজিক বিশ্লেষণে চোখ রাখবো আর ব্যক্তিত্বপপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপিত আস্ত শরীরে কৃত্রিম হুঙ্কারে সিংহকেও হার মানাবো... "কি হচ্ছে মশাই এসব, ছি! ছি! ছি!... এদের মেরে ফেলা উচিৎ, জেল হওয়া উচিৎ... সমাজটা শেষ হয়ে গেলো।" গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবে মনুষ্যত্ব শুকিয়ে কখন যে আমসত্ত্বে পরিণত হয়েছে তা ঠিক বোঝা যায়নি। মাতঙ্গিনী হাজরায় অনুপ্রাণিত মন সংখ্যায় কমে হু হু করে নিলামে দাম চড়ছে ক্যাটরিনার সৌন্দর্য। ঈর্ষ্বা আর হিংসার রোষানলে সমাজে জ্বলছে দাবানলের আগুন, সে জীবন্ত চি

মৈনাক চক্রবর্ত্তীর কবিতা

বিষাক্ত হেমন্তের দিন এই হেমন্তের বাতাস বড্ড বেশী বিষাক্ত.. এলোমেলো হাওয়ার স্রোতে স্থিরতা নেই বয়ে চলছে এক গুচ্ছ বিষাক্ত চঞ্চলতা.. বিষ ছড়াচ্ছে রঙীন ফুলের পাপড়ি থেকে। ভরা দুপুরের ছিনিমিনি রৌদ্র স্নান শেষে পরিযায়ী পাখিদের পালক উজ্জ্বল হয়েছে সেই ওজ্জল্যে ঘনিষ্ট হচ্ছে একজন অন্যতে সেই ঘনিষ্ঠতাতেও বিষ ছড়াচ্ছে থেকে থেকে। মাঠে হলদে ধান কিনবা শিশির মাখা ঘাষ নেই আছে এক কাস্তে তেড়ে আসা বিষাক্ত থাবা সেই বিষাক্ত আলিঙ্গনে উষ্ণতা নেই, নেই সান্নিধ্য আছে এক নদী বিষাক্ত রক্ত মাখা স্রোত। ==========================

বুদ্ধদেব দাসের অণুগল্প

লাইক তুই কি আর ফোন করার সময় পাস না -- স্মিতা রেগে গিয়ে দুম করে ফোনটা কেটে দিল। কয়েকদিন ধরে স্মিতার মেজাজটা যেন খিটখিটে। অস্বাভাবিক লাগছে স্মিতাকে। স্মিতাতো ওরকম মেয়ে নয়। হাসিখুশি এক পুতুল পুতুল মেয়ে। কেন যে এরকম হল কে জানে? কি হয়েছে রে তোর আজকাল? একটুতে রেগে যাস! - মা রান্নাঘর থেকে হাঁক দিলেন। কে ফোন করেছিল কে? - মা এবার উত্তর না পেয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। তখনো একমনে মাথা গুঁজে ফোন ঘেঁটে চলেছে। এখন এরকমই চলে প্রায় রাত দুটো আড়াইটা পর্যন্ত। কি যে করে কি জানি। মা জিজ্ঞাসা করলে মুখের উপর বলে - তোমার জেনে লাভ নেই। সত্যি বলতে কি মেয়েটা এরকম ছিল না। দিন কে দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। মায়েরও চিন্তা হয়। কিন্তু কিছুই বলতে পারে না। মেয়ে বড় হয়েছে। কোন কিছু যদি করে বসে। ওর বন্ধু বান্ধবীরা বলে ও নাকি ভালো কবিতা লিখতে পারে। ও নাকি একদিন বড় কবি হবে। - কিরে কে ফোন করেছিল বললি নাতো? - কে আবার? রনি ফোন করেছিল। - ফোন ধরলি না? - দেখছ তো, আমি এখন কাজ করছি। - কি যে কাজ করিস দিনরাত। জানিনা বাপু। - তুমি জানবে না। এখন তুমি যাও তো। মা আবার রান্নাঘরে চলে গেলেন। কি যে হয়েছে হাসিখুশ

জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি কবিতা

ছবি
সেই মোষটা ঘটনাটা আমার ছেলেবেলার না, ঠিক ছেলেবেলার নয়। ছেলেবেলাটাকে একটু টেনে টুনে বাড়িয়ে নিলে যা হয় আর কী, ওই যখন হাঁটার চেয়ে দৌড়ানোটাই পথ চলা মনে হতো ঠিকঠাক সিঁড়িভাঙা অঙ্ক কষতে না পারলেও, দু'তিনটে সিঁড়ি টপকে টপকে উঠে গেছি উপরে, আবার নিচে। অবশ্য সিঁড়ির চেয়ে তখন সুরুৎ ছিল বেশি প্রিয় গাছের ডালে পা'দুটোকে আটকে দিয়ে দোল দোল বা ফেলে রাখা বালি, কুটুড়িতে মাথা বাজি রেখে ডিগ। ধুলো আর কাদা মেখে ভুত হতে যখন সায় দিতো শরীর ও মন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই হোক বা টায়ার পিটিয়ে ছুট্। দৌড়টাই ছিল যেন সে বেলার খেলাঘোর ঠিক সেইসময়ই মৃত্যুর মতো হাজির হয়েছিল একটা মোষ। আমি এখন তার কথাই বলবো। মোষটা ছিল স্বপনদাদের। স্বপন ঘোষ আমাদের বাড়ির কাছেই বাড়ি স্বপনদাদের। তখন আমি পুরনো বাড়িতে, মানে আদি বাড়িতে। মোষটা ছিল মাদী। বাচ্চা টাচ্চা ছিল কী? হয়তো ছিল আমি আর মৌ'দি বসে আছি স্বপনদার বাড়ির দরজায়। এই মৌ'দি আমার দিদি মৌ নয়। এখন এ্যামেরিকায় থাকে। গৌতমদার বৌ (বউ) হঠাৎ ডানপাশ থেকে উঠে এলো মৃত্যুদূত। খুব দ্রুত। ভয়ংকর। দূরত্বটাও ছিল সামান্য। তবু কীভাবে বেঁচে গেছিলাম জানি না। স্বপনদা

জগবন্ধু হালদারের কবিতা

গোপন অসুখ জগবন্ধু হালদার টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে মেঘলা বিকেল একলা ছাদে তখন থেকেই ঝুঁকে কাল দুপুরে তার সাথে হঠাৎ চোখাচোখি ভুলে যাওয়া তানপুরাটায় আগুন দিল উঁকি । জ্যান্ত হলো ক্লান্ত নদী, শপিং মল আর অটো তার আঙুলে বেয়ে বেড়াই, কাঁপলো মৃদু ঠোঁটও ফিরতি পথে নৌকাডুবি অবশ দিশেহারা তারও কী আয়না ভেজে রাত্রে গোপনধারায় ? টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে একটি শালিখ ডানা মোছে রাতদুপুরে ধুঁকে । একটি বালিশ সবই জানে তুলোয় চাপা হিস্ট্রি সঙ্গী ছিল টিউশনে কে বাংলা না কেমিস্ট্রি ? মন কী মানে ঘড়ির কাঁটা কিংবা নদীর স্রোত ? কালের হিসেব থোড়াই রাখে উল্টে কালির দো'ত কোন ফাগুনে আবীর ছিল বাসন্তী বা সবজে ? কোন বোশেখে রৌদ্র প্রখর, শ্রাবন ভাসায় সব যে টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে তুমি আমার গোপন অসুখ খুবলে খাচ্ছ সুখে । .......................

সম্পা পালের কবিতা

স্বপ্নহীন জানালা জানালায় আজ কোনো মোহ নেই তবু খুলেছি স্বপ্নহীন জানালা । বাইরে শীতের মেঘলা সকাল । শিশু গাছটা একলা দাঁড়িয়ে । আশেপাশের গাছগুলো কেঁটে নিয়ে গেছে প্রোমোটাররা এবার কোনো একদিন ওর পালা । জানালাটা অসহায়ভাবে ওদিকেই তাঁকিয়ে । অপলক পাতায় ফিকে হয়ে আসা স্বপ্ন । জানালার খবর কেউ নিল না। অথচ জানালা দিয়েইতো পৃথিবীকে দেখা ! সম্পা পাল , শিলিগুড়ি ।

উৎপলকুমার ধারার কিশোর কবিতা

॥ সকল পাওয়ার দেশ ॥ আকাশটাকে কেউ পেতে চায় হাতে কারো রাজার-রাজা হওয়ার সাধ কেউ চাইছে উড়তে মেঘের সাথে চায় ধরতে কেউ আকাশের চাঁদ ! আলাদিনের প্রদীপটা চায় কেউ কেউ চাইছে সুখের জীয়নকাঠি কেউ খেতে চায় সাতসাগরের ঢেউ চায় পেতে কেউ সোনার পাথরবাটি ! কেউ উড়তে চাইছে পক্ষীরাজে কারোর চাওয়া একটা সুখের বাসা কেউ হাসি চায় হাজার সুখের মাঝে চাইছে রে কেউ একটু ভালোবাসা ! চায় কেউ কেউ সুস্থ পরিবেশ কেউ হতে চায় সত্যি ভালো ছেলে চাইছি আমি এমন একটা দেশ যে দেশটাতে সকল চাওয়াই মেলে ! ! ----------------------------------------------------------------- From : Utpal Kumar Dhara , Purba Nischintapur , Kolkata - 700138 ________________________________________

সুপ্রীতি বর্মনের কবিতাগুচ্ছ

১. বিদ্যায় বানভাসি সংসার সমুদ্র তুমি গুনী তুমি বিদ্যালঙ্কার, শৌর্যের আস্ফালন আত্ম-অহংকার, বাচালতায় বাকপটু, শিক্ষনীয় আদর্শের চাটুকারিতা। বিনা প্রয়োগে অসারের তর্জন গর্জন সার। অল্প বিদ্যা ভয়ংকারী উচ্ছাসে আত্মগোপন চাতক পাখি।সম্মুখে হায় সাগর শুকায়ে যায়। বালতি ভরে জল ট্যাঙ্ক ভর্তি, চোখে মুখে আত্মভরি জৌলুসে চকচক, চকচক করলেই সোনা হয় না। উপমায় মার্জিত উচ্চাশায় বুক বাঁধা স্বপ্ন। ব্যতিক্রমী চালচলন প্রশয়ে পক্ষপাতিত্ব। সিলেবাসের ঐকান্তিক ইন্দ্রজালের আটপ্রহরে গুটিয়ে নিরাশ্রয় মুর্খ, কথায় কথায় হেয় হীনমন্ন্যতার আত্মগ্লানি। শ্বাসরোধে জীবনি শক্তি ওষ্ঠাগত।নুন আনতে পান্তা ফুরায়, ভাতের পূর্ন থালা স্বপ্ন। চোখে আঁচড়ে রক্ত জল শিরানালী শুকায়। ঘুমিয়ে অতীত গুমড়ে থাকা চাহিদা দিনপ্রতিদিন, হাহাকার ছেঁড়া বইয়ের পাতা। হাড়জিরজিরে আঙুল বুলাতে থাকে অপদার্থের আদ্যাক্ষর। সাঁকোর ওপারে শস্যশ্যামলা ক্ষেতে ঝকঝকে মডেল স্কুল। হাতছানি বিলাসিতা বৈভব, শৈশবের হাত ধরাধরি আগামী প্রজন্ম। ঠাটবাট কলার ঝোলানো টাই ইংরেজ সন্তান। মাতৃভাষায় পরজীবি শোষনে ইংরেজী আধিক্য। আদব কায়দায় দেশী অপ্রচলিত বস্তাপচা। গড়গড় ইংরেজী ন

বহ্নি মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ওদের কথা আমি কি তোমাকে আঘাত করেছি গায়ে বসিয়েছি থাবা? জানোনা, আমার অরণ‍্যে নেই আজ একটুও খাবার? বন নেই তাই বন‍্যেরা আজ রাস্তায় ভিক্ষুক খান্ডবদাহী আগুনের মত লোভী তোমাদের মুখ। দেয়ালে কেমন ঝুলিয়েছ আহা আমার শৃঙ্গ, চর্ম আমার দন্তে বোধহীন শোভা কীবা শিকারির কর্ম! আমার ধর্ম ক্ষুধা মেটানোর তোমার ধর্ম কি? তোমার শঠতা, নিষ্ঠুরতাকে আমরাও বলি, ছিঃ!

পিয়াঙ্কি মুখার্জির কবিতা

ছবি
মায়া তেলচিটে মাথার বালিশ , চৌকির উত্তর-পূর্ব কোণে আটকানো মশারি টাঙ্গানোর হুক , সকালের অ্যালোভেরা জুসের দুশো এম এল -এর বোতল... হাতছানি দেয় আদরবাসা লোভের ! বাঁ পা চৌকাঠ ডিঙ্গোবে এমন সময় উনুনে বসানো ভাতের হাঁড়িতে উপচে পড়ে ফ্যান , তরকারি পোড়ার গন্ধে ঘরের বাতাসে ফিরে আসে ধুনোর সুবাস ! একশো দশ টা ঘর নিয়ে শুরু হওয়া সোয়েটারের উল-কাঁটার রণনীতি রিপ অবধি এগোনোর পর পরিশ্রান্ত হয়ে প্রাপ্তির আশা ত্যাগ করে । স্থান নেয় রঙ্গীন পলিথিনে ,,, ওদের একত্রিত বিষ নজর সংসারকে দগ্ধ করে রোজ সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোআগুনে ! দীঘির ঠান্ডা কালচে জলে পড়ন্ত গোধূলির লালচে আলোবাষ্প মরণকে প্রত্যয়ী করে প্রতিমুহূর্তে... জীবন সৃষ্টির নির্বাচিত সংলাপের ধারাভাষ্যকার হয়ে ! ==================== Piyanki Mukherjee C/o Balaram Mukherjee p.o Nawabganj Bankimnagar Ichhapur pin 743144 24 pgs ( n)

শেখ সামসুল হক এর একগুচ্ছ কবিতা

মিলিত চোখ দুরালাপনীর সেই রাগত কণ্ঠ ভেসে ওঠার কথা ভুলিনি, ভুলা যায় না, কী করে ভুলি সে কথা ? অনেক বছর হয়ে গেছে, তাই না - কি বলো ? পেছনে তাকাতে আমি আর চাইনা আজকে সামনে যাবার মানুষ, অতীতে অনেক কিছুই ছিলো কি ছিলো না থাকতে পারে কি পারে না সে কথা ভাবলে অবাক হবার নানান ঘটনা আসবে এসব ঘটনা বিহীন আমাকে খুঁজলে পাবে না যাকগে পেছনে দোরের সাজোয়া নিকট নগর এবার বলছি তোমাকে দেখতে যাইনি তা নয়! উদার আকাশ আর জাগর নদীর তীর হৃদয় অতলে নিয়ে, সামনে নজর ঢেলে বড়ই একা চুপচাপ হেঁটে গেছি আমি - সেদিন কোথায় ছিলে তুমি খুব কাছাকাছি না কি এক হাজার মাইল দূরে ? ভোর চলে যাবার মিলিত চোখ হাসির খোয়াব হঠাৎ হারিয়ে ফেলছিলো শুধু মোহন রাতের গোলাপ খুনের ভাষা ভুলে গিয়ে। পরিপূর্ণ তুমি ডুবে যাচ্ছি নাতো, ঠাঁই কোথায় ? দূরে না কাছে ময়ূর পঙ্খী নাও, ভীষণ দুলছে দুঘন্টি পালে দমকা হাওয়া খেলছে দারুণ খেলা এরপর আরো আছে ঢেউয়ের মাতলামী ঠাঁই কি নেই তাহলে আজকে আমার আপৎকালীন আশ্রয়ের পারাপারে আপন বলতে এক নাম জানি সে আর কেউ নয় আশায় ভালোবাসায় সেতো তুমি তুমি ছাড়া এ দুর্মর ক্ষণে কারো কথা কোন স্মৃতি মনোভূমি আলোকিত ক

দেবপ্রসাদ মুখার্জী

অভিব্যক্তির ব্যস্তানুপাত মিউজিয়ামে রাখা কালো পাথরের মূর্তিতে আমি আজও দেখি কিছু , কিছু ঝুলজমা অন্ধ কোটরে লুকিয়ে থাকা ছাপোষা আর্তনাদ , যেটা শ্রাবনের প্রথম বৃষ্টিফোঁটার সোহাগে সজীব হয়ে ওঠে বন্দী কীটের পিছনে ধাবমান ক্ষুধার্ত মাকড়সার মতো । যে খোদাই চোখের আড়ালে আজও সূর্যোদয় হয় , সূর্যাস্ত হয় , যে খসে যাওয়া ভ্রুয়ের ভেতর আজও সপ্তম রিপুর লীলা বর্তমান , যে টকটকে জিভ আজও স্বাদ নিতে চায় লবনাক্ত শরীরের , সেই জীবিত শবদেহ আজ শীতের শিহরণে কম্পমান । আমরা শুধুই হলোগ্রাম দেওয়া অভিব্যক্তি খুঁজে যাই রাতের পর রাত তার শরীরে । নীল বসন্তেও যখন খুঁজে পাইনা সমীকরণের সমাধান , লেজ গুটিয়ে ফিরি নিরাশ শান্তনীড়ে , একরাশ হাহাকার নিয়ে । মূর্তি পড়ে থাকে তার মতোই ব্ল্যাক হোলের গভীর অন্ধকারে একমুঠো সুপ্ত অভিব্যক্তি নিয়ে , নির্জীবতার ভোকাল কর্ডে ।

শুভদীপ পাপলুর গুচ্ছকবিতা

ছবি
১। হত্যাকারী ********* আলজিভের চৌকাঠে আহত শৈশব- 'হরতালে আপ্লুত এ কোন পরব-উৎসব, কেন এত উচ্ছৃংখল নর-নারী?' রক্তের স্বরলিপি একমাত্র জানে-কারা হত্যাকারী! কার জন্যে ঘুম ভাঙে নৈঋতে কে-ই বা সধবা হয় মকর সংক্রান্তি'তে, কেন মূল্যবান ক্ষতি,হয় অপূরণীয়? বলতে পারো,কোন কোন শরীর অপ্রয়োজনীয় কোন কোন পাখি শোনায় মৃত্যুর শিষ! বর্ণমালা'য় জাগ্রত আজ গান্ধারী'র নালিশ। মুক্তমঞ্চের মুখোশে প্রযোজিত,সমস্ত কুশীলব- 'হাততালির সাথে ভাসছে নক্ষত্রের কলরব, ওতপ্রোত মিশে আছে সাধু ও ঘোরতর সংসারী, রক্তের স্বরলিপি একমাত্র জানে-কারা হত্যাকারী! ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ ২। প্রতিকৃতি ******** গুপ্ত শিবিরে কোন শব্দের ভিড়?বা সেই প্রেক্ষাপটে বাজিমাৎ হওয়া সমস্ত গণতন্ত্র,হতে পেরেছে সফল! অথচ,শারীরিক সাক্ষাতে বহু কবিতা'র বদনাম রটে এবং পিয়ানোর মজ্জা শুষে ঘন হয় সুরেলা জঙ্গল। আদৌ তো হয়নি হরন,বস্ত্র;মহাকাব্যে,কৌরব দ্বারা- উচ্চতর শৃঙ্গ হতে সংকোচে উচ্চারণের বিবৃতি একা বীরাঙ্গনা;কিন্তু সে চোখে যারা দিচ্ছে পাহারা, তারাই কোলাহলে দুঃশাসন,তারাই বিপক্ষে নৃপতি। বন্ধু-প

শুক্লা মালাকারের কবিতা

*মরুপ্রান্তর* সোনালী বালির ঢেউ থেকে উঠে এল আগুনের মতো উজ্জ্বল এক মরু তরুনী সারা শরীরে মৃত প্রজাপতির পাখা মনে পড়ে গেল তোমার অনল মাখা চোখ আমাদের জ্বলে যাওয়া চন্দনবন ফারাও খুফুর মতো তুমিও কি ভেবেছিলে যাপনের মমির জন্য বানাবে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য পিরামিড! তাই কি অজানা মরুতে হারিয়ে যেতে চেয়ে মরীচিকা হয়ে গেলে! সেই থেকে অনিশ্চিত সুগন্ধ বুকে নিয়ে এই নির্মম মরুপ্রান্তরে বালুকণা হয়ে আছি। *সৈনিক* ভাঙাচোরা অন্ধকার দ্বীপ থেকে রোজ সে বেরোয় হাতে লাঠি চোখে কালো চশমা চারপাশে ছুটন্ত জীবন তার দিগ্বলয় নিশানাহীন তবু সে চলে দৃপ্ত অবহেলা কিংবা সমবেদনার মতো ফুরফুরে ব্যাবহার সে ঘৃণা করে তার নৌকোর মাস্তুলের ডগায় শুধুই আত্মবিশ্বাস ছঘন্টার খাটুনি শেষে রেল বস্তির বাচ্চাদের শোনায় গল্প কবিতা, শেখায় জেগে ওঠা রাতের বিশ্রামে লেখে তার প্রতিবাদ কেয়ার করে না শহর তাকে কি দিল কলমের ডগায় ছড়িয়ে চলে শিরদাঁড়া তার উপকূল জুড়ে কেবল লড়াই। -------------------------------------

পারভেজ মল্লিকের কবিতা

এক অনভিজ্ঞের লেখা রাস্তার মোড়ে যেখানে করতালি কিনতে পাওয়া যায়। সেখানে বেঁধেছি সভার শামিয়ানা। ইচ্ছে শুধু একটাই। যেন প্রশংসার খামতি না ঘটে। ভাবি। পেশ করি। কখনও বা বুঝি না। বেমালুম। অর্থহীন শব্দের তীক্ষ্ণ ফলা ওদের কানে আঘাত করে। বিচারাধীন কিছু সরল বাক্য জটিল হয় জনমতে। যেটুকু প্রাপ্য বেলাশেষে। সে আমার নয়। অভিজ্ঞতার। নিঃশর্ত অধিকার লঙ্ঘন। স্পটলাইটের একচেটিয়া স্বত্তাধিকার বলে আর কতদিন চলবে এভাবে? সময় পরিশ্রান্ত। বয়স হয়েছে শতাধিক। তদানীন্তন। যে ভাষা বোধগম্য। সে ভাষায় ডাক দিও। শমন পাঠিও ফুরাবো যখন কুর্নিশের অভাবে। ============================== পারভেজ মল্লিক ৬/১৮ মহিস্কাপুর রোড, দুর্গাপুর- ৭১৩২০৫

সৌরভ ঘোষের কবিতা

টিউব বোমা বাবা খেয়ে নে এভাবে মুখের সামনে খাবার ফেলে রাখতে নেই কেক যে খুব ভালোবাসিস। আগের বছর,তুই তখন সাত সকালে সারা পাড়া ঘুরে মোটা মাসুরী চালের ভাত। কেকের জন্যে অনেক কেঁদেছিলিস সেদিন একটা কেক জোটাতে পারিনি আজ এনেছি খা বাবা,স্পেশাল চকলেট কেক। রাগ করে আছিস এখনো? এভাবেই তাকিয়ে থাকবি? দেখ তোর প্রিয় হলুদ সরবত,পুরো এক গ্লাস তোর প্রিয় সবুজ চিপস। উফ ধুপের ধোঁয়াটাও না, দাঁড়া ধোঁয়া সরিয়ে দিই। সে দিনের মতো যেদিন টিউব বোমের শব্দে কেঁপে উঠেছিল বস্তি কলোনি। ধোঁয়া কেটে কেটে, তোর ছড়ানো ছেটানো ছোট ছোট আঙুল, কান, হাত, পা খুঁজেছি... তারপর একটা বড় গাড়ি এল তার পেছনে ছোট হাতি কালো মত লোকটা তোকে বস্তায় পুরে ছোট হাতির খোলা ডিকিতে ছুঁড়ে ফেলে দিল, উফ্! আঃ বলেছিলিস, স্পষ্ট শুনেছি... রাঙা ধুলো ধুয়ে দিল বড় জলের গাড়িটা। আতস কাঁচ আর হাতে প্লাস্টিক পড়ে কারা সব এল কিচ্ছু পায়নি,আতস কাঁচ হতাশ। ওরা ফিরে গেল, কয়েকটা পোড়া পাতা নিয়ে বড্ড ছোট তুই কি পাপ করেছিলি বাবা,কেন হল বলতো? খেয়ে নে তোকে নিজে হাতে খাওয়াতে পারলে... জানি, আমার চোখে জল দেখলে তোর কষ্ট হয়, খালিপেটে থাকার থেকেও বে

ফিরোজ আখতারের কবিতা

ছবি
হৃদয় প্রতিস্থাপন ........................... হৃদয় প্রতিস্থাপন করা'র আগে বিশল্যকরণী-দ্রবণে ধুয়ে নিও একবার । ডায়ানামিক মেমরি'র মতো-ই রিফ্রেশ হয়ে যাবে ভাইরাস ক্ষতগুলো ৷ দেখবে, ভালোবাসা'র জন্য কত জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে ৷ লজ্জিত হবে না তখন । লজ্জিত হবে না ভালোবাসতে গিয়ে, লজ্জিত হবে না একটু ভালোবাসা আপলোড করতে গিয়ে ৷ ====================== ফিরোজ আখতার ঠিকানা - ১৮ই জায়গীর ঘাট রোড, ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা - ৭০০o৬৩

অদিতি বসুর কলম

সদ্য বিবাহিতা মেয়েদের ইচ্ছের কোনো দাম থাকেনা, তাই তো বাড়ির ইচ্ছাতে আর নিজের অনিচ্ছাতে বিয়ে টা করে নিতে হল আমায়। কোনো আড়ম্বর ছিলনা সেরম,লোকজন জানাজানি ও ছিলনা। শুধু ছিল একটা ছাতনাতলা, সাত পাক,ফুলের গন্ধ,অগ্নিসাক্ষী আর সিঁদুর। নিজের ইচ্ছে গুলোকে দুমড়ে মুছড়ে শেষ করে ফেলেছি একপ্রকার। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন,টাকা রোজগার করে অনাথ বাচ্চা দের খাওয়ানোর স্বপ্ন সব। শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠে পা রাখতেই বুঝেছিলাম এ সংসারের যোগ্য পুত্রবধু হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তা এই দু চারদিনে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে হ্যাঁ আমিই ঠিক। পূজো করতে দেরী হলে শাশুড়ি মার চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়িনা আমি, চায়ে চিনি বেশি হলে শ্বশুর মশাই চা টাই আর খান না,স্বামীর জামার ইস্ত্রি ঠিক মত না হলে আবার আমায় সেই জামাটা কেচে ইস্ত্রি করতে হয়। যে হাতে রোজ সিঁথি রাঙাবো ভেবেছিলাম সেই সিঁথিতেই আজ চিরুনির পিছনে সিঁদুর লাগিয়ে পরে নিতে হয় আমায়। আসলে ও চায়নি এত তাড়াতাড়ি সব হোক। এসটাবলিস্ট হতে চায় আগে। তাই আজ আমি অন্য কারোর অর্ধাঙ্গিনী। জানাইনি ওকে। তবুও ভালোবাসি এখনও। ওর দেওয়া শুকনো গোলাপ বুকে টেনে বাঁচতে শিখছি। স্ব

অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতা

তিনটি কবিতা ----------------------------------------- ১ ধূতরা ফুল এই অগোছালো উঠোনে পরম্পারার তুলসীমঞ্চের গায়ে ক্রমশ হেলান দিয়েছে শরণার্থী ঘাস, অতিথি জারবেরার দুধ-আলতা ঠোঁটের সঙ্গে যখনই করি আলাপ, বাঁশী হারানো রাখালের মতো সাদা ধূতরার আনত মুখ তখনই হুতাশ কে যেন আদর চেয়েছিল অযত্ন কুঁড়ির কোঠরে, কাকে এড়িয়ে পেরিয়ে গেছে প্রত্যেক পরিচর্যার হাত পাশাপাশি পংক্তিতে দাঁড়াবার শব্দমালা গেঁথে রেখেছিল কারা, হায়! নি:শব্দ সৌরদিন সকল পরিশীলিত ভাব আমার কবেকার অনুশীলনের কাছে এখনও পরাধীন... ২ দুপুর এখন দুপুরবেলা গোলাকার সূর্যের সোজা হয়ে পড়েছে রোদ্দুর হৃদয়ে, এখন আসপাশে কোনও ছায়া নেই ব্রক্ষ্মতালু ধারণ করেছে সব উত্তাপ, দূরে হেঁটে যায় ঘোলাটে বিকেল সকাল এখান থেকে তামার মতো লাগে, একটাও ফুল ফোটে না এখন এখন ফুলবনে না যাবার সময় আ-মাস্তুল ভিজে একশেষ পথে এ দুপুরে হঠাৎ মেঘ করে এলে মাথায়, শুধু পায়ে পায়ে পথ পেরোবার কথা দিগন্ত শুধু প্রান্তর এই বেলা--- ক্রমশ ফাঁকা হওয়া নদী পারে একা ডিঙি ভরসার ধূসর দ্বিপ্রহরে । ৩ ফেরিওয়ালা সমস্ত নালা ভরা বৃষ্টির পুণ্য জল স্

অমিত পাটোয়ারী কবিতা

ছবি
 নির্মিত অহং আলগোছে রচিত হই এই শেষ সন্ধ্যেবেলায় যে ওর পাতা ভরে দিয়ে এলো গানে তার আবরণ মুক্ত করুক ষোড়শ সপ্তাহ তুমি এই দেয়াল ভেঙে ফ্যালো , অনামিকা। আমাদের স্বচ্ছ - সেলোফেন কোনো কবিতায় পল্লীর তালগাছ হোক প্রিয়নাম জসীম সাহেব। ==========

সুনন্দ মন্ডলের কবিতা

নবান্ন ঘরে ঘরে নতুন অন্ন হৈমন্তিক উৎসব। বাংলা ও বাঙালি সুখ বিলাসী যতই থাকুক অভাব। নতুন চালের পায়েসে 'ম-ম' আকাশ প্রতিটা হেঁসেলের সুবাস বাতাসেতে ভাসে। নিলু-বিলু-লিলুরা সব পাত পেরেছে চিড়ে-দইও বাদ যায়নি, ভাত-মাছ-ডাল পাছে আসে। দারিদ্র্যতা মূল্যহীন আজ মূলে শুধুই খুশির মেজাজ। আপ্যায়নে সেবা অতিথি-নারায়নে কোলাকুলি বর্ষমাঝ। ‎ ----------------- সুনন্দ মন্ডল কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

তমোঘ্ন নস্করের কবিতা

চেরাপঞ্জির শীতঘুম এখনো কয়েক মেঘ ঘুম বাকি, এই শালবনের ছায়ায় ছায়ায় পেরিয়ে যাওয়াই ভালো, রোদ উঠলেই বাঁচতে ইচ্ছে হয় আর স্বপ্নের গায়ে তাপ লাগে... তারপর আবার একটা মায়াবী সন্ধ্যা নিয়ে যাবে ঠিক মদীরাতে, কাঁচের গ্লাসে মদ আমার নাড়ী গুলোকে রতি ভোগে ডাকবে জানি নিজেকে উন্মাদ করবে বুক জলসাঘরে তুমি প্রদীপ ঘেরা ঘোমটা পরে পায়ে নূপুরখানি জড়ালে..... ভোর ভোর ঘুম কাঁচা চোখের জ্বালায় হয়তো নিয়ে যাবে মাছ বাজারে ,কিংবা অফিসের পাশের গলিতে বিপ্লব যেথায় মাথা থেকে দেয়ালে নিয়েছে ঠাঁই..... কিংবা ধরো বাচ্ছা- বুড়োর চায়ের ঠেকে..... আবার নতুন করে গল্প লিখতে হবে ঠিক তার চেয়ে মানে মানে কেটে পড়াই নিরাপদ এই চেরাপঞ্জির মেঘের আড়ালে সূর্য ওঠার আগেই...

স্বপনকুমার বিজলীর ছড়া

বাবা  বাব মানে ঝড়ের দিনে ঠিক টেনে নেয় বুকে বাবা মানে বাড়ির সবাই আমরা থাকি সুখে । বাবাই শুধু স্রোতের দিকে ঠিকই দেবে ঠেলে বাবার ছোঁয়ায় ঘর উঠোনে খুশির বাতাস মেলে। বাবার কথায় ভয় থাকেনা পাহাড় কিংবা জলে ভাঙা সাঁকো পার হওয়া যায় তারই সাহস বলে। বাবা হোল বটের ছায়া দুঃখ ও সুখ জানাাই আঁধার রাতে মনের ঘরে খান সাহেবের সানাই । ================================= . ------------------স্বপনকুমার বিজলী মগরাহাট M. 8298020646.

সুমন নস্করের ছড়া

বাঁচাও বাঁচাও প্রাণটা চড়তে বাইক বেশতো মজা চলছে ভাল রেশ তো, সাবধানেতে বাইক চালাও নইলে যে প্রাণ শেষ তো ! আস্তে চালাও মোটর-বাইক নইলে বিপদ ঘটবে, রঙ লাইনে গেলে পরে ট্রাফিক পুলিশ চটবে ৷ চড়তে বাইক বেশ তো মজা দুই চাকার এই যান যে, থাকলে বাইক মুখ্যু লোকের একটু বাড়ে মান যে ৷ বলছি তবু একটু শোনো বাইক যখন চড়বে, হেলমেটটা মাথায় রেখো নইলে পুলিশ ধরবে ৷ মোটর বাইক আস্তে চালাও রাখো নিজের মানটা, নিজের এবং পথিক জনের বাঁচাও বাঁচাও প্রাণটা ৷ ==================== সুমন নস্কর গ্রাম+পোষ্ট- বনসুন্দরিয়া থানা- মগরাহাট জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা পিন-৭৪৩৩৭২

প্রণব কুমার চক্রবর্তী

অামার ঘর-বাড়ি এক অদ্ভুত কৌণিক উলম্বতলে দাঁড়িয়ে অাছে অামি এবং অামাদের ঘর-বাড়ি .... দমবদ্ধ অাকাশের কার্ণিশে হাঁটা চলা করতে করতে দেখে ফেলছি নীচে ছড়িয়ে থাকা মাটির যাবতীয় ঘর-সংসার.... স্বপ্নের রঙে রাঙানো সব একস্তরীয় , দ্বি-স্তরীয় কাঁচা এবং পাকা দালান কোটা নির্বাক নিথর অামাদের ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে সারাক্ষন হাবুডুবু খাচ্ছে অামাদের সব সকাল বিকাল এবং সন্ধ্যা শুকনো এলোমেলো বাতাস সারাক্ষন চেষ্টা করে চলেছে ভালবাসার যাবতীয় স্পেস ভেঙে গুঁড়িয়ে এক বিরাট শন্যতা তৈরি করতে ..... ============================ ঠিকানা : প্রণব কুমার চক্রবর্তী , ৩৭/১ , স্বামী শিবানন্দ রোড , চৌধুরীপাড়া , বারাসাত , কোলকাতা - ৭০০ ১২৪

জিত কুমার মল্লিকের কবিতা

ছবি
আঁচড়... চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন... ইশারায় গভীরতা ছিল কিন্তু ভালোবাসা ছিল না। তোমার চুলের সুবাসে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেষ্টা করলাম... কিন্তু ভালোবাসা পেলাম না। হাতে হাত রেখে প্রতিশ্রুতির মালা গাঁথলাম ঠিক ই... কিন্তু ভালোবাসা ছিল না। তোমার ঠোঁটে আবার ও আমার ঠোঁট... চুম্বন এ গভীরতা ছিল,কিন্তু ভালোবাসা ছিলনা। তোমাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের জ্বালা মেটালাম... কিন্তু ভালোবাসা আলিঙ্গন করল না। তোমাকে বিবস্ত্র করে শরীরের উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিলাম... কিন্তু ভালোবাসা খুঁজে পাইনি। সেদিন ও আবছা আলোয় তোমার উলঙ্গ দেহটা দেখার নেশা টা ছিল.. কিন্তু ভালোবাসা ছিল না। তোমার নরম মাংসপিণ্ডে শিকারির মতো থাবা মারলাম... কিন্তু ভালোবাসা হাত এ ধরা পড়ল না। সেদিন তোমার উচ্চস্বরে ওই গোঙানিতে আমি অনেক ঘাম ঝরালাম... কিন্তু ভালোবাসা পাইনি... আমি কি সত্যিই ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছিনা??? কিন্তু কেন?? আসলে কয়েকটা নখের দাগ... তোমার সারা শরীরে অজস্র নখের দাগ... তুমি হয়তো ভাবতে পারো কই কোনো দাগ তো ছিলনা... নাঃ... এ দাগ দেখতে পাওয়া যাবে না... এ দাগ বিশ্বাস এর ওই নরম মাটিটাই দাগ ক

রণবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

অমর বাণী আরে কেন মরিস তুই কেঁদে - ভেবেছিলি কি থাকবো আমি , তোর কাছে চিরদিন তোরই সাথে ঘর বেঁধে ।। থাকতে হবেই একসাথে - কে দিলো বল দিব্বি মাথার , উঠতে হবে তোর কথায় শুতেও হবে তোরই সাথে ।। রাখবো সব জানলা বন্ধ - থাকবো আমি অনুগত , পোষা ডোবারম্যান হয়ে কেবল তোরই প্রেমে অন্ধ ।। বল দেখি এই সময়ে - কে মরছে তোর ওই প্রমিস রাখার দায়ে , আদর্শ প্রেম নিয়ে ।। ইচ্ছা যা হয় করবো তাই - থাকলে থাকিস নইলে ভাগিস , করিস না ঘ্যানঘ্যান বলিসনা ন্যাকা তুই যাচ্ছেতাই ।। শোন বলি আধুনিক বড়ো আমার প্রেমের ডেফিনিশন - মানলে মানো নয়তো কাটো , করলে করো নয়তো মরো ।। থাক বিন্দাস ফুল উদাস - শোনাই অমর বাণী , ফ্যাল মুছে চোখ যুগের হাওয়ায় ভাস ।। তাই বলছি কেমন করে ভাবলি আমায় রাখবি কাছে ? আমার সাথে থাকবি বেঁচে রাখবি শুধু তোরই করে ।। =====================

কান্তিলাল দাসের কবিতা

এসেছ হেমন্ত  এসেছ হেমন্ত তবে বনে বনে ঝরিয়েছ পাতা এ বাংলার ঋতুযানে তুমি যেন নম্র উদ্গাতা ! বিমল আকাশ তুমি যেন প্রাক শীতে আর মধুমাস ! ফলেছে ধানের ক্ষেতে আমাদের স্বপ্ন সাধ সব দেবে তুমি আকাঙ্খিত ফসলের নবান্ন উৎসব । তোমার দুয়ারে দেখি আলোকের ঝর্ণাধারা এসে আঁধার মুছিয়ে যায় দীপাবলী রাত ভালবেসে। আকাশ প্রদীপ তারাদের সাথে বুঝি কথা কয় অনিমিখ। পাণকৌড়িটিও তোমার আসার কথা জেনেছে কি প্রিয় ? ডোবে জলে, উঠে ঝাড়ে ডানা এ রোদের ঘ্রাণ তার পরিচিত বিলক্ষণ জানা ! পেচকেরা প্রতি রাতে জাগে জোর দেখি মরশুম এল তারা জেনে গেছে সে কী ! লক্ষ্মী আসে ঘরে হেমন্ত তোমার ওই পদচিহ্ন ধরে ; দেবী কালিকাও ঝলসিত খড়্গে দেখি তাঁর হৈমন্তী রাতে কাটেন তীব্র অন্ধকার ! এখনো শিউলি ফোটে এখনো ছাতিম কুয়াশায় মৃদু হিমে গন্ধ ঢালে কী অপরিসীম ! জেগে থাকে চাঁদ যেন পদ্ম নীলসায়রের, জাগে সারারাত ! কে জাগেরে কে জাগেরে, জাগে কোজাগরী পূর্ণিমা চরাচর ভাসিয়েছে মোহময়ী লাগে ! ওই শুনি ব্রতকথা লক্ষীর পাঁচালি,উলু, শঙ্খধ্বনি ঐশ্বর্যের দেবী সবে এলেন এখনি ! এসেছ হেমন্ত যদি থাকো কিছুকাল এত কেন করো যাই যাই পারুল বোনের হাত

তপন কুমার মাজির কবিতা

ছবি
বিনিময় রেখাটাকে ডিঙোতে পারলে তোকে উপহার দিতে পারি একটা রঙিন পৃথিবী একটা আকাশও দিতে পারি যদি আমার বুকে এঁকে দিস একটা চাঁদের ছবি। তোকে দিতে পারি একটা অরণ্য দিতে পারি নীলকণ্ঠের একঝাঁক অব্যক্ত ভাষা আমায় দিতে পারিস তুই যদি তোর নির্ভেজাল ইচ্ছেদের একচিলতে আশা। জ্যোৎস্না ছড়াতে পারিস যদি কখনো তোর ঘুমিয়ে থাকা চাঁদের গোধূলি উঠোনে পরাগ ছড়িয়ে আমিও তবে ফুটিয়ে দিতে পারি শতদল তোর উপোসী বনে। আর যদি আঁধার সাঁতরে মাথা রাখতে পারিস কখনো ভোরের কোলে বিনিময়ে চোখে চোখ রেখে আমিও ঢেকে নিতে পারি নিজেকে তোর রূপোলী আঁচলে। -------------------------------------------------------------- Tapan Kumar Maji, Courtmore, Hindusthanpark, Asansol-- 713304, Burdwan (W), 03/11/18, -------------------------------------------------------------

তরুনার্ক লাহার লিমেরিকগুচ্ছ

ছবি
লিমেরিক ১ ------------ মহাদেবের ষন্ড এসে বলল মাগো দুর্গা চারটি দিনের খাবার খোঁজে গিয়েছিলাম গুর গাঁ সেথায় শুধু ডাল ও লুচি বাবার তাতে নেই তো রুচি শেষে পেলাম গাঁজা ও ভাং তাগড়া কচি মুরগা। *** লিমেরিক ২ ------------- দিল্লী থেকে বিল্লি এসে বলল সে যে আমায় সেথায় নাকি আলকাৎরা মাখে যে লোকে জামায় রাতের বেলায় লালকেল্লায় সুর করে সব লোক চিল্লায় কেউ বা আবার সুযোগ পেলেই মুখ ঘসে ইঁট ঝামায়। *** লিমেরিক ৩ ------------- সরোজকান্ত দন্ত মাজে সকাল থেকে সন্ধ্যে তবু যে তার ঘর পরিবার নাকাল দাঁতের গন্ধে তারপরে এক বৃদ্ধ সন্ত তুলল যে তার তিরিশ দন্ত রোজ সকালে ফোকলা সরোজ মুগ্ধ ব্রাসের ছন্দে। *** লিমেরিক ৪ ------------- ময়ষাসুরের শ্বশুর যে অসুর ভালো ভীষণ সেই সুবাদে ইন্দ্র দিলেন পদ্মবিভূষণ পদক পেয়ে দারুন খুশী ফোকলা মুখে চওড়া হাসি চারটি দিনের জন্য ব্রম্ভা ছাড়েন সিংহাসন । *** লিমেরিক ৫ ------------- কে বলেছে পিসি আমার ব্যাকরণে কাঁচা ক্রিয়াপদের বিপদ জেনে আনল কিনে খাঁচা বিশেষণে ভীষণ জ্বালা কান করে তার ঝালাপালা কর্তা এবং কর্ম মিলে করল শুরু নাচা। *** তরুনার্ক লাহা

সঞ্জীব সেনের কবিতা

যৌবন হারানো হেমবর্ণ কথারা  কথারা যৌবন হারালে শ্রুতিনাটকে জেগে থাকে সেইসব হেমবর্ণ কথারা শোকে নয় মজে থাকে উলঙ্গ মশকরায় কলোনিয়ান সন্ধ্যায় কলতালায় জড়ো হয় সেইসব নারীরা দুহাতের আড়ালে নারীর গোপন নগ্নতা ভালবাসে তারা বৈরতায় হলুদ চাঁদ হারালে মনে পরে কেউ বলেছিল কোনদিন এভাবে লজ্জ্যাহীনা হলে তবেই বলবে হৃদয়ের গোপন কথাটা সেইসব যৌবনবতী কথারা তখন অশালীন কবিতা পাঠ করে ওরা জানে, একদিন কথার গায়ে ডানা এভাবেই উড়ে যাবে মন্দিরের কার্নিসে বৈরতায় হলুদ চাঁদ হারালে সেদিনের সেই অঙ্গনা নারীটি ও সন্ধ্যা হওয়ার আগে ডেকে নেবে হলুদ ঠোঁটের হাসটিকে , আমি নেমে দেখব মোহিনী চোখের সেই কুসুম একা বসে পুকুর ঘাটে নির্জনে । ===================== সঞ্জীব সেন পানিহাটী গৌরাঙ্গ ঘাট রোড কলকাতা 114

অরবিন্দ পুরকাইতের কবিতা

সে আমায় ভোলেনি তখনও এ বছর কোনো জমিতে ধানচাষ করিনি আমি শহরে আসার পর এই প্রথম এখান থেকে ধেয়েবয়ে গিয়ে... হিসেবে পোষায়নি বলে চাষে দিইওনি কাউকে অর্থাৎ এ বছর যাকে বলে হাটে-গোলা আমার । শেষ শরতের এক মায়া-বিকেলে মাঠে বেরিয়েছি দূর থেকে চোখ পড়তেই বুকে মোচড় ঢলঢল গরবিনী আশপাশ কেবল কী রিক্ত বহুদিনের তলাপেড়েটা আমার - পুরো সত্ত্ব খেয়ে ঝাড় ঝাড় নধর আগাছা কেবল ! নিজের দ্বিতীয় কোনো জমির দিকে পা ওঠে না আর অধোবদন ফিরছি – মৃদু ডাক এক ভেড়ি থেকে নেমে কাছে গেলাম খুশি-ঝলমল ঝাড়গুলিতে অর্ঘ্য নিবেদনের ভঙ্গি ! স্তব্ধ বিস্ময়ে দেখি ঝাড়গুলিতে থোড় আসছে ধানের ! * * * অরবিন্দ পুরকাইত গ্রাম ও ডাক – গোকর্ণী, থানা – মগরাহাট, জেলা – দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,

সুদীপ্ত বিশ্বাস

লক্ষ্যভ্রষ্ট  পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে ঠিক যেভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে! মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে; সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে। টুনটুনিটার মতই সরল, আমার হাতে রাখল সে হাত তারপরে তো আপন হল, নদীর সে গান, জলপ্রপাত। ছপ-ছপা-ছপ সাঁতরে শুধু ডুব-সাঁতারে, চিৎ-সাঁতারে যাচ্ছি ডুবে উঠছি ভেসে কুল না পেয়ে সেই পাথারে। এরপরে তো হঠাৎ করে সেই ফোয়ারা উথলে ওঠে এমনি করেই ঝলমলিয়ে বাগানজুড়ে গোলাপ ফোটে। গেলাম ভুলে পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে বন্দী আমি আটকে গেছি, আটকে গেছি তোমার কাছে! নদী ও প্রেমিক পাহাড়ের বুক চিরে ঝর্ণাটা নামে অনেক না বলা কথা আছে নীলখামে। ঝর্ণারা মিলেমিশে হয়ে যায় নদী শুনবে নদীর গান, কান পাতো যদি। ও নদী কোথায় যাও? ছলছল তানে? দাও নদী দাও বলে, জীবনের মানে। ঘন্টার ঠুনঠুন, আজানের সুর; নদী জলে মিশে যায় সোনারোদ্দুর। ছোটছোট ঢেউ তুলে নেচেনেচে যায় সব মেয়ে তাই বুঝি নদী হতে চায়? ও নদী চলেছ বয়ে, নদী তুমি কার? প্রেমিকটা প্রাণপণ কা

চিরকুট এর কবিতা

বিপরীত মেরু একটা বিন্দু বড় হতে হতে শূন্যে মিলিয়ে গেল ফানুসের মতো ঠিক যেমন আমরা স্বপ্ন দেখি । একের ওপর আরেক লাল নীল সাদা পৃথিবী এখন শুধু জোনাকির একফালি আশা ; তোমার আমার বিচ্ছেদের গোধূলি ভোররাতেই দেখেছিলাম । কেউ দেখেও দেখলো না – আমি শুককীটের মতো এগোচ্ছি অতল ঘুরপথে । তোমার ঘরে ভালোবাসা অবহেলায় ঘোরে আমি রাণী আর রাজপুত্তুর নিয়ে বেশ আছি । দুইবেলা আধপেটা খাওয়া কিন্তু রাত্তিরে গভীর ভালোবাসা ।

বিকাশ চক্রবর্তীর কবিতা

 ঘূর্ণাবর্ত  জীবনের পরিচয় কোনো আহ্ণিক গতি বা বার্ষিক গতিতে নির্ধারিত কিনা তা জানা নেই ! তবে, বোঝাযায় ভূমধ্যসাগরীয় চেতনা শুধুই ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি করে।। ****************************************** বিকাশ চক্রবর্তী 54 কলুপুকুর চৌধুরীবাগান, পো : চন্দননগর, জেলা : হুগলি

তুষার আচার্য্যের কবিতা

নীল রঙ রক্তাক্ত হাতে বাগানের নীল ডালিয়া কেটে গোলাপ চারা লাগিয়েছি। ডালিয়া কোন দিনই প্রিয় ছিল না আমার, প্রিয় ছিল তাঁর নীল রঙ। এই রঙটার জন্যই তাঁর আগমন আমার বাগানে। ইদানিং রঙটা কেমন ফ্যাঁকাসে হয়ে গেছে, তাই সরিয়ে দিলাম বাগান থেকে। তখন মনে পড়ছিল, পোকার হাত থেকে বাঁচাবার জন্য দিয়েছিলাম সার, কত যত্ন করে মাটি তৈরি করেছিলাম, পাশের বাড়ীর ছোট্ট তুতু জল ঢেলে দিয়েছিল, খুব রাগ হয়েছিল আমার। বাচ্চা না হয়ে বড় হলে খুব পেটাতাম ওকে। আবার মাটি তৈরি করে ডালিয়া পুঁতলাম। কাকা বলেছিল পনের দিন পরে ফুল ফুটবে। ক্যালেন্ডার গুণে গুণে ঠিক পনের দিন পর মাঝ রাতে টর্স জ্বালিয়ে দেখেছিলাম ডালিয়ার ছোট্ট কুঁড়িকে, আমার নীল রঙকে। পরেন দিন খুব আনন্দ পেয়েছিলাম, ফুলটা নীল বলে। ফুলটা ধীরে ধীরে বড় হল, আমার ছোট্ট চোখে ফুলের রঙ আর ধরে না, চোখ বড় করে দেখেছিলাম সেদিন। কত লোকের ছোঁয়া থেকে বাঁচিয়েছি নীল ডালিয়াকে। আজ নিজের হাতেই সরিয়ে দিলাম, লোকের ইচ্ছাকে এড়িয়ে। আজ গোলাপ লাগিয়েছি, কাল সবাই দেখতে আসবে। হয়ত কেউ শুধাবে না, নীল ডালিয়ার কথা, তাঁদের প্রিয় ফুলের কথা। কিন্তু মনে থাকবে আমার ডালিয়ার কথা, নীল বলে। না

সায়ন মোহন্তর কবিতা

আলো ঢাকে আলোকে আলোর চাদরে আলো ঢাকে ছায়ার তখন সর্ষে ক্ষেতে শ্বাস ওঠে কালো পোশাকে লেগে থাকে আলোর ফুলেরা। নব জাতকের নীল মুখ তখনও লেগে থাকে মায়ের স্তনের সাথে ! অপুষ্ট নীল হাত স্পর্শ ক'রে থাকে সদ্য তন্দ্রা যাওয়াআলোকে । ওপাশের বেডে শিশুটার মুখে লেগে মায়ের দুধ হাত স্পর্শ ক'রে থাকে মায়ের তৃপ্ত আঙ্গুলকে, যার একটা চোখ অন্ধ । আনন্দাশ্রুর নোনা জলের দাগ দু'গালে- আলো ঢেকে রাখে আলোর ছায়াকে । ঠিকানা : সায়ন মোহন্ত চাষা পাড়া কৃষ্ণনগর,নদিয়া-৭৪১১০১

সুবীর হালদারের কবিতা

অন্যগত --------------------------------- প্রবীণ গলির বাঁক ভগ্ন দেওয়ালে ঝিঝির ডাক দূর হতে মনে হয়--- চেনা সে মুখ খানি কাছে যেতেই নির্ভুল অনুমান আত্মপ্রকাশ চারি নয়ন ছলছল স্তব্ধে একে অপরের পাশফিরে চলা দুটি ছায়ার আজও মিলন ঘটেছে অন্তর তৃষ্ণার কিছু বীনাশ হয়েছে কৃষ্ণা দ্বাদর্শী জ্যোৎস্নায় উজ্জ্বল তাঁর রাঙা সীথি খানি আমার প্রণয় স্মৃতিকে স্মরণ করিয়েছে সোহাগি শাঁখা-পলার মধু সুর মোহ ভাঙিয়ে জানিয়েছে সে 'অন্যের'. ============================== নাম - সুবীর হালদার ঠিকানা- নাজিরা পাড়া ( দাস পাড়া লেন ) পোষ্ট অফিস- কৃষ্ণনগর জেলা- নদীয়া

অমৃতা বিশ্বাস সরকারের কবিতা

স্বপ্নের পালাবদল নামকরণেই কৌতুকরসের উদ্রেক -আবেশ , নাকি বাস্তব প্রতিচ্ছবির অভিঘাত । দ্বিতীয়টিই কাম্য ,প্রথমের স্বীকৃতি নৈব নৈব চ । বয়স থেমে থাকে না , কিছুটা জানান দিয়ে ,কিছুটা চুপিসারে সে এগিয়েই চলে । তার প্রতিটি বাঁকে বদলে যায় আকাঙ্খার আদলে দেখা দু -চোখের স্বপ্নগুলোও । শিশুর চোখে থাকে রাতারাতি বড়ো হয়ে যাওয়ার আকাশ -কুসুম স্বপ্ন । তাহলেই হয়তো পড়াশোনার থেকে নিষ্কৃতি , আর স্বস্বাধীনতার রসাস্বাদনের মুক্তি । কৈশোর চায় আত্মপ্রতিষ্ঠার সহজলভ্য পদ্ধতি । যৌবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চায় এক লহমায় নস্যাৎ করে দিতে সমস্ত যুক্তি তর্কের বেড়াজাল । মায়াবিষ্ট এক মোহময় দুনিয়ায় বিভোর তার আত্মতুষ্টি । ক্রমে জীবনের চড়াই -উতরাই আনে শত অভিজ্ঞতার সমাবেশ । ঠিক -ভুলের মানদন্ডে নিজেকে শুধরে নেওয়ার স্বপ্ন বাস করে তার পলকে । প্রৌঢ়ত্বের চৌকাঠে এসে ঠেকে জীবন । ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার উৎকণ্ঠায় স্বপ্নের জাল বোনে । চিন্তার আতিশয্যে রোমন্থন করে শৈশবের সেই সারল্য পরিপূর্ণ স্মৃতির ভান্ডার । মানুষ স্বপ্ন দেখে -সেই পুরোনো দিনগুলো আবার ফিরে পাওয়ার ॥ অমৃতা বিশ্বাস সরকার ভাদুল ,বাঁকু

কৌশিক বড়ালের কবিতা

ঝড় ———————————— আয়লা, নার্গিস, তিতলি কতো কতো ঝড় আসে নিরাপত্তা ঘেরা বিজ্ঞানী মহলে নাম ঠিক হয় যারা নামকরণ করে ঝড় তাদের খুব ভয় পায় তাই তাদের ধারে কাছেও আসে না আর যারা তাদের নামকরণ তো দূর তাদের নামটাও শোনেনি কোনো কালে ঝড় তাদের উপর আছড়ায়, তাদের ভালোবাসে আমারও কতোগুলো ঝড় আছে, যাদের সাথে পরিচয় কয়েকটা বয়সে কোনোটা ছোট্টবেলায় সিড়িতে হোঁচট খেয়ে অথবা কোচিং ক্লাসের এক রমণীর প্রেমে পড়ে কোনোটা আবার দীর্ঘজীবী বেকারত্বে ঘেরা টোপে সেই ঝড় পাল্টে দিয়েছে আমার শহর যেখানে জাহাজ নেমেছে চোখের বন্দরে হয়তো কখনও ঝড় উঠে যায় মনখারাপের বিকেলে যখন সন্ধ্যা গড়ায় বুকের ভিতর মহানগরে ডিপ্রেশনের চাদরে ৷৷ —————— নাম:- কৌশিক বড়াল ঠিকানা:- কান্দী, মুর্শিদাবাদ

এম আরিফুল ইসলামের গল্প

"এক হাজার টাকা" "প্রিয় জিসান, কেমন আছিস জানিনা, তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় প্রার্থনা করি তুই যেন ভালো থাকিস। মনে কষ্ট রাখিস না বাবা তোর একটা ইচ্ছে পূরণ করতে পারলাম না। কি করবো বল, এই ছোট্ট একটা দোকানের আয় দিয়ে সংসার আর পড়াশোনার খরচ চালিয়ে তোদের সখগুলো পূরণ করতে আমি হিমশিম খেয়ে যেতাম। তবে চেষ্টা করেছি খুব। তোর মনে পড়ে, তোকে বলেছিলাম এসএসসি পাশ করলে একটা মোবাইল কিনে দেবো। আর ফোনটা যেদিন কিনেছিলাম তার কয়েকদিন আগে থেকে আমি খুব ভোরে বের হয়ে যেতাম। কেন জানিস? হেটে হেটে দোকানে যেতাম। ভাড়াগুলো জমিয়ে রাখতাম তোকে সুন্দর একটি মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য। তারপরেও যখন তুই সামান্য এক হাজার টাকার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলি তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তোর মা আর আমি খুব কেঁদেছিলাম। মনে হয়েছিলো আমার মতো হতভাগ্য বাবা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা! ইতি তোর হতভাগ্য পিতা " চিঠিটি পড়তে পড়তে দু'চোখের কোণ দিয়ে জলধারা প্রবাহিত হতে লাগলো জিসানের। মনে পড়ে গেলো সে দিনটির কথা- সেদিন ছিল কলেজে জিসানের প্রথম দিন। বাবা তাকে নতুন শার্ট, প্যান্ট, ব্যা

সোহিনী সামন্তর কবিতা

অভাগী জীবনের তৃণ যখন যৌবনের মুখ দেখতে আরম্ভ করেছে... তখনই ঘ্যানঘ্যানে সমাজের ইতিবৃত্ত আষ্টেপৃষ্ঠে যবনিকা ঘটায় ... বিয়ে ও কুলবিন্যাসের বিশিষ্ট পংক্তি বিস্তারের আলোচিত ঘনঘটায়... ঝড়ের দাপটে সুখের কেন্দ্রবিন্দুগুলি যেমন বন্ধুবান্ধবের কথোপকথন , নির্মুক্ত শৈশব ...যৌবনের উপবন ... আস্তে আস্তে ধুয়ে যায় ... দরিদ্রতার অ্ক্টোপাস গ্রাস করে ক্যারিয়ারের স্বপ্নের রত্ন সিঁড়িতে , প্রদীপ তার নিভে যায় ...বিবাহ হয় তার নিজজাতির এক মদ্যপ পাষণ্ডের সাথে...দিনরাতের নির্যাতন ...অবসন্নতা ... সহিষ্ণুতার পরিমাপ যত বারে ,তত বারে অত্যাচারের উগ্রতা ... জীবনের মধুর ধূপের বাতাস মিশে যায় বিষাক্ত হাওয়ায় ... নির্মম অভিশপ্ত নির্যাসে ...।। ============================= সোহিনী সামন্ত শ্যামনগর, উঃ ২৪ পরগণা

শুভাশিস দাশের কবিতা

ছবি
নবান্ন সোনার ধানে মাঠ গিয়েছে ভরে হেমন্তে আজ বার্তা আসে কিসের শিশির গুলো প্রভাত বেলা হলে সোহাগ করে পাকা ধানের শীষে ! নোতুন ধানে নবান্ন আজ হবে উঠোন জুড়ে খুশির হাওয়া দোলে গোলায় ভরা সোনার সে ধান দেখে কৃষাণ বধূ সমস্ত দুখ ভোলে ! তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বেলে নিয়ে ধান কুটে চাল বানায় পরান কাকী নবান্ন তো রাত পোহালেই হবে আয় না এদের সঙ্গে নিয়েই থাকি ! ---------------------------------------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা কোচবিহার

তরুণ কুমার মাঝির কবিতা

একটি গাছ অনেক প্রাণ আমি একটি গাছ, আমার আছে প্রাণ।। আমিই বাচাব তোমাদেরও প্রাণ। তবুও, তোমরা তো বোঝো না। আমাকে বাচিয়েও রাখ না। তোমরা শহর গড়ো,রাস্তা করো। আর আমাদের শুধু ধ্বংস করো সবুজ কে নষ্ট করতে জানো আর ক্ষরা বন্যাকে ডেকে আনো।। শুদ্ধ শ্বাস প্রশ্বাস নাও। তোমার জন্য আমাকে বাচাও। "একটি গাছ-একটি প্রাণ একটি বন্ধুর সমান"‌ আমাকে ধ্বংস করো না। পরিবেশ দূষণ করো না। তাই,গাছ লাগাই প্রাণ বাচাই আর এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার! ===================== তরুণ কুমার মাঝি মগরাহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

মোঃ মাসুদরানার গল্প

ছবি
ভয় ও ভুতুড়ে গল্প সেদিন ছিল অমাবশ্যার রাত। চারিদিকে এতটাই ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল যে নিজের হাত নিজেই দেখতে পারছিলাম না।একহাত সামনে কি জিনিস আছে সেটাও আন্দাজ করতে পারছিলাম না।কোন রাস্তায় হাটছিলাম সেটাও দেখা যায়না। তখন প্রায় রাত ১২ টা ১৩মিনিট। বাম হাতের ঘড়িতে আলো জ্বালিয়ে দেখলাম। ঠিক তখনই শিহরণে আমার শরীরের লোমগুলো আচমকাই নাড়া দিল। ধমকা হাওয়ার মতো মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেল। গলাটা হঠাৎই যেন শুকিয়ে গেলো। মনের মধ্যে নানান রকম চিন্তাভাবনা ভিড় করতে লাগলো।। এ রাস্তা দিয়ে অনেক রাত অবধি একা একা হেটেছি। আজ কেন যেন সবকিছু এলোমেলো লাগছে। চারদিকটা হঠাৎই অপরিচিত লাগছে। রাহুলের বার্থডে পার্টি শেষ করে একা একা আসা উচিত হয়নি। স্বপনকে সাথে নিয় আসার দরকার ছিল। ও নিজে থেকেও আসতে চেয়েছিল। আমি নিজেই নিয়ে আসলাম না। আসলে হয়তো এরকম সন্ধিক্ষণে একটু সাহস পাওয়া যেত। প্রতিদিন সাথে সিগারেট থাকতো। আজকে সিগারেটও খুঁজে পাচ্ছি না।ভয়ে সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে খোঁজাখুঁজির পর একটি ভাঙা সিগারেট পেলাম। সিগারেটটি পকেটে রাখার পর ভেঙে গেছে। আসার সময় স্বপন দিয়েছিল।কলেজে সেকেন্ড বর্ষে উঠার পর থেকেই বন্ধুদের সাথে

শ্যামল কুমার রায়ের কবিতা

ছবি
           উদ্দাম নৃত্য                     --------------  সুর, তাল, লয় - একাকার হয় ,  সুরের ঐ মুর্চ্ছনায় , শরীর দোলায়। শরীরী ভাষা যদিও বোঝা না যায় ,  সুরেরও ঝংকার আসে না কানে ,  তবুও মঞ্চে দু'জন ঐক্যতানে । চলো না একসাথে শরীর দোলাই ,  রক্ , জ্যাজ, পপ্ চেটে পুটে খাই । তুমি আমি দু'জনে ভেলায় ভেসে যাই । নাইবা হল আজ রাবেন্দ্রিক হওয়া!  খুশিতে ভেসে কি যায় না যাওয়া? পশ্চিমি ঐ কালচার আসুক না ধেয়ে!  প্রাচ্য , পাশ্চাত্য যে মেলাবে , মিলিবে । সংস্কৃতির এই মেল বন্ধন খুবই জরুরী,  বিশ্বনাগরিক হওয়ার দরকার, আছে বৈকি!       -------------------------------------- Shyamal Kumar Roy, Assistant Teacher in Nabagram MPB High School  ( HS ), Nabagram, East Burdwan, 

দীন মহাম্মদ সেখের কবিতা

"অস্তিত্ব" আস্তে আস্তে তুমিও মিলিয়ে যাবে একদিন জলবিন্দুর মতো গল্পপাতা সোনালী বিকেল ঠিক উবে যাবে। তবে ঘৃণা কেন ? ভালোবাসতে পারো তুমিও দু'হাত ভরে, চঞ্চুতে চঞ্চুতে। কাঁধে কাঁধ না রাখলে অনায়সে ফাটল ধরবে অস্তিত্বে লজ্জাবতীর মতোন গুটিয়ে যেতে হবে আর দু চার জনের মতো। তারপর সবশেষ। একটা গল্প লেখার ও জায়গা পাবে না। NAME--DINMOHAMMAD SEKH VILL-- DHAPARIA P.O-- MATCHPOTA P.S-- NAKASHIPARA DIST-- NADIA PIN--741124

সুশীল কুমার রায়ের কবিতা

পরকীয়তা আমার লাজ হোল শেয, নুতন পরকীয়তা আইন বেশ। সাত পাঁকে বাঁধা জন্ম জন্মান্তর, হিন্দু শাস্ত্রে নুতন রূপান্তর। স্বামী আজ অসহায় পরকীয়তায়, নিজের হাতে স্ত্রীকে দিচ্ছে বিদায়। আইন বড় নিষ্ঠূর পরম বেদনাদায়ক, মহান দেশের নাগরিক নির্বাক দর্শক। মহান দেশের মহান আইন প্রণেতা, শিশুর দায়িত্ব্যে থাকবে কোন বিধাতা। পশ্চিমী হাওয়া বইছে গঁঙ্গার দেশে, পবিএ পিন্ডদান তর্পণ নির্লিপ্ত অবশেষে। ======================= সাথী তোতাপাখি আতা গাছে তোতাপাখি, ফল খেয়ে করছে নাচানাচি, খোকন সোনা মেলে আঁখি, শুনছে বসে পাখির চেঁচামেচি। মা এসে বলল সোনা খোকা, গাছের ডালে বসে পাখি তোতা, শুনাবে মিষ্টি মধুর ভালো কথা, রোজ সকালে পাঠান বিধাতা। তোতা বলল যাচ্ছি খোকন উড়ে, ফিরে শোনাব মধুর সুরে গান, জলের তেষ্টায় ঠোঁটটা যাচ্ছে পুড়ে, ভয় পেয়ো না ছাড় অভিমান । তোতার কথা শুনে ছোট্ট খোকন , ভয় কান্না দূরে আহ্লাদে আটখানা, বলল খোকন রাখবো আতা দ্বিগুন, আমার সাথী হয়ে থাকো ষোলআনা। ===================== সুশীল কুমার রায়, রিষড়া,হুগলী।

দুলাল সুরের কবিতা

 একমুঠো ভাতের প্রত্যাশায় মন খারাপের বারতা লয়ে ফিরে আসে বার বার বিষণ্ণময় দিনগুলি..... নৈশব্দের পাহাড় ধেয়ে আসে গ্রহের ফেরে থেমে যায় বিজয় বিক্রম। উদভ্রান্ত হৃদয় অগোছালো ছন্নছাড়া দিশাহীন। শুধু বিশ্বাসের সোপান সাধ্যাতীত ভাবে চালিয়ে যায় সংগ্রাম। দিগন্ত ছেয়ে নিঃসঙ্গতা গ্রাস করে ভয়ংকর ক্ষুধায় পেটের নাড়িভুঁড়ি ওলটপালট করে, বুকের ওঠানামা ধুকপুকুনির ন্যায় প্রহর গোনে মৃত্যুই ভবিতব্য। মিথ্যা'র স্বপ্ন আঁকড়ে বেঁচে থাকা। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে মানুষ আজও কাঁদে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে শুধু .... একমুঠো ভাতের প্রত্যাশায়। ******************************* দুলাল সুর শ্রীনগর ১ নং, মধ্যমগ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, কোলকাতা – ৭০০১২৯

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪