পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

সন্তু চ্যাটার্জির অনুগল্প

ছবি
ভুয়ো গ্রামের প্রবীণ মাস্টারমশাই প্রণববাবুর শিক্ষক দিবসের সকালটা একটু অন্য রকম ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। আর কাটবে নাই বা কেন ? এই ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তো তিনি কম ছাত্রছাত্রীর বৈতরণী পার করলেন না।আজ তারা নিজ নিজ জগতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।তাই আজকের দিনে তারা তাদের প্রিয় স্যার এর খোঁজ খবর নেবে, তার আশীর্বাদ ধন্য হতে চাইবে এতো খুব সহজ কথা।পূর্ণপরিতৃপ্ত প্রণব বাবুও পরমেশ্বর এর কাছে তার প্রাণাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান আত্মজ স্বরূপ ছাত্রছাত্রীদের সুভাশুভ কামনা করেন।মনে মনে ভাবেন, আর তো মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তিনিও যে প্রাক্তন । সকালের ব্যস্ততা কাটিয়ে, কোনো রকমে স্নান- খাওয়া সেরে ,সাদা ধূতির উপর পাঞ্জাবীটা চাপিয়ে প্রণব বাবু যথাসময়ে স্কুল এ হাজির হন। সমবেত ছাত্রছাত্রীদের প্রণামের পালা চুকলে, দোতলায় হেডস্যার এর ঘরে এসে জানতে পারেন, D.I. অফিস থেকে এক কমবয়সী অফিসার এসেছেন, তার অবসর কালীন কাগজপত্র নিয়ে কথা বলতে।হেড স্যার পরিচয় করিয়ে দিতেই অফিসার বলে ওঠেন "প্রণব বাবু আপনার B.ED degree টা তো দেখছি বৈধ নয় , কারণ আপনি যে কলেজ হতে B.ED করেছিলেন তার তো NCTE এর অনুমোদন নেই ,আপনি যে কি ভ

তপন কুমার মাজির গল্প

ছবি
"শিক্ষাগুরু" সেপ্টেম্বরের তিন তারিখ। সোমবার। ঘড়িতে তখন সকাল ১০:৫৫। মৃণালবাবু মানে মৃণালকান্তি চৌধুরী মহাশয় দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ক্লাসে ঢুকেছেন সবেমাত্র। চলছে রোলকল। এমন সময় একাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র-ছাত্রী দরজার সামনে এসে ভিড় করে দাঁড়ালো। --তোমরা কিছু বলবে ? --স্যার, নাটকের সংলাপগুলো একটু দেখে নিলে ভালো হতো। আর অভিনয়টাও কেমন হচ্ছে... একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রণিকের কথাটা শেষ হতে না হতেই মৃণালবাবু বললেন, --দেখছো না, এখন ক্লাস নিচ্ছি। তোমরা এখন ক্লাসে যাও। সেকেন্ড ক্লাসটা আমার অফ্ আছে। তখন না হয় দেখে নেব। রণিকরা মাস্টার মশায়ের কথার মান্যতা দিয়ে চলে গেল ক্লাসে। ঠিক একইরকমভাবে প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা পরপর কেউ গান, কেউ বা আবৃত্তির জন্য মৃণালবাবুর কাছে এসে অনুরোধ করতে শুরু করলো। আর তাদের একই কথা বলে প্রত্যেককেই একের পর এক ক্লাসে ফিরে যেতে বললেন। ঘটনা হোল সামনেই শিক্ষক দিবস। প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে নাচ বাদে সবগুলোরই হত্তা কত্তা বিধাতা--"সবে ধন নীলমণি" মৃণালবাবু। নাচটা শেখান অব

সৌরভ ঘোষের ছোটগল্প

 নিরাকার সকাল থেকেই হইচই শুরু করেছেন প্রভাত বাবু।পুরো নাম প্রভাত কুমার নস্কর,ছোটদাদু দিয়েছিলেন।প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে পার্কে প্রায় এক ঘন্টা শরীরচর্চা করেন। বাড়ি ফিরে, বাড়ির সামনের কাঠা দুয়েক জমিতে নিজের সবজি বাগানে কিছুক্ষণ সময় দেন তারপর চা- মুড়ি টিফিন করে বাজারে।প্রতিদিনের একই রুটিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করতেন প্রভাত বাবু।আগের বছর বসন্তে দখিনা হাওয়া গায়ে মেখে অশ্রু সজল চোখে বিদায় নিয়েছিলেন।সকলের প্রিয় আর মজার মানুষ।সাড়ে সাতাশ বছরের কর্মজীবনে কামাই কদিন গুনে বলা যাবে।সংসারের থেকেও বেশি স্কুলকে ভালোবাসতেন।স্কুল ছেড়ে চলে যাবার ভয়ে কর্ম জীবনের একমাত্র ইনক্রিমেন্ট, হেড মাস্টারের পদ পর্যন্ত অবলীলায় ত্যাগ করেছিলেন। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী'রাও স্যর বলতে অজ্ঞান। রাস্তায় দেখা হলে দাঁড়িয়ে কথা বলে,বাজারের ব্যাগ ভারি হলে কেউ এগিয়ে দেয়,ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে গেলেও তাই-লাইন দিতে হয় না।এক্ষেত্রে প্রভাত বাবুর আপত্তি থাকলেও,কে শোনে।কিছু কিছু ছাত্র বাইরে থাকে। বাড়িতে ফিরেই আগে স্যরের বাড়ি।বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রী'রাও বাপেরবাড়ি এলেই দেখা করতে আসে।কেমন যেন অদৃশ্য টান।প্রভাত বাবু মানু

কবি আর্যতীর্থএর কবিতা

। বিলুপ্ত। পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নিলেও অভিভাবকরা যাঁদের বলতেন বেশ করেছেন, পাশফেলের সাথে সাথে সেই মাস্টাররাও কেমন উধাও হয়ে গেলেন। যাঁদের ভয়াল চাউনি একক্লাস কোলাহলকে স্তব্ধ করে দিতো, পড়া না পারলে নিল ডাউন বা বেঞ্চে দাঁড় করাতেন যাঁরা নিয়মিত, যাঁরা ধুতি পাঞ্জাবী পরে স্বচ্ছন্দে পড়াতে পারতেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ টেনিসন, শেলী, হেমিংওয়ে, যাঁদের শাসনের মধ্যে স্নেহ থাকতো, যাঁরা চাইতেন গাধাগুলো ঘোড়া হোক বড় হয়ে, সেই সব মাস্টারমশাই আর দিদিমণিরা ক্রমেই বিলুপ্ত হলেন ডায়নোসরের মতো। যদিও এই পাশফেলহীন মারধোর ব্যতিরেকে সন্তান মানুষ করার যুগে, তাদের না থাকাটাই বোধহয় যুক্তিসঙ্গত। শুধু কি ধমকই সব, আদরও কি পাইনি ? অনাবিল কিছু পিঠচাপড়ানি কঠিন অংক সমাধানে, দশে আট দিয়ে সেই হেসে বলা এর থেকে বেশি আর দিই নি জীবনে, তিনদিন না এলে কোনো বন্ধুকে দিয়ে ছিলো খোঁজ করা নিয়মমাফিক, সেন্ট আপ হয়ে গেলে জড়িয়ে ধরাও ছিলো, বয়স্ক দুই চোখ জল চিক চিক। গুগলের মতো হয়ে যাবতীয় নোটস আর তথ্যের ভাণ্ডার কাঁচিয়েকুঁচিয়ে যাঁরা আনতেন তুলে, ভালো নম্বরের আগে ভালো মানুষ হও ,সে আজব কথা যাঁরা শেখাতেন স্কুলে, কোথায় পাঠালে তাঁদের নির্বাসনে,

তাপসী লাহার কবিতা

প্রিয় ছাত্রী ------------ নাহ তুমি চঞ্চল হলে না লক্ষীমন্ত ডগমগ লাবণ্য কি ভালো কি ভালো! নম্রবদনা এতো ঢালো ঢালো। কোনো প্রশ্ন নেই হরিণ দুটো চোখে, সিঁথি 'পরে শোভিত লাল, বয়স শুধু ষোলো। বাকক্ষম ঠোটে গায় স্বামী গুণগান, ক্লাস পড়া এসব এখন যে বড়ো ম্লান। আমার সাধের চারাগাছে তখন ধন্দের আকিবুকি, অসংযত অন্দরে আশংকা দ্রিমি দ্রিমি বাজে। প্রিয় ছাত্রী, আমার মন ভেঙে গেলো হ্রদয় বিষাদপুরে, সবার মতো কেনো হলে, নিজের মতো কেনো নয়! তাপসী লাহা

বটুকৃষ্ণ হালদারের কবিতা

বরুণ বিশ্বাস স্মরণে রোজ কার মত স্কুলের শেষে ট্রেন ধরে ঘরে ফেরা স্টেশনে নামতেই, হঠাৎ সজোরে একটা বুলেটের শব্দে সব শেষ স্টেশনের এক কোণে লুকিয়ে ছিল কাপুরুষ, স্বার্থlন্বেষী হায়নার দল.......... তুমি ছিলে সবার প্রিয় সুটিয়ার মাস্টার মশাই আছে বাজারের ব্যস্ততা, রাস্তা ঘাট, জন কোলা হল, আছে দূষিত বায়ু, নেকড়ে হায় নার দল নেই প্রতিবাদ, সাহসী, নির্ভীকদের অদম্য উচ্ছ্বাস সু সভ্য সমাজের অর্জুনরা আজ নির্বাক, দুর্বল মনোবল আজ শুধু তুমি নেই মাস্টার মশাই কি ছিল তোমার অপরাধ জিজ্ঞাসিছে বিদ্য জনে? দুঃস্থ, অসহায় দীন, দিশাহীন দের আশার আলো কত শত অসহায় কুমারী, নারী নির্ভয়ে, নীরবে কাটিয়েছে কতিপয় রাত...... নির্ভীক, দৃঢ়, স্বাধীন চেতা মনোবলে ভয় পেয়েছিল, কাপুরুষ, কসাইয়ের দল তুমি আজ নেই লেখনী তে,কবিতা কিংবা গানে তোমায় নিয়ে হয় নি আলোচনা, সম্প্রচার চুলচেরা বিশ্লেষণ দূরদর্শনে তুমি রয়ে গেছো কতিপয় হৃদয়ের আত্ম সংঙ্গপনে অসহায়, সম্বলহীন পিতা, মাতার আজও অশ্রুধারায় ভিজে যায় সুটিয়ার মাটি দুয়ারে দাঁড়িয়ে আজও গভীর নিঃসঙ্গতায় হাঁতড়ে বেড়ায় স্মৃতি তোমার শহীদ বেদীতে নিভূ নিভূ দীপ জ্বলে বিষন্নতার সাঁঝে তুমি আজ

পবিত্র দাসের কবিতা

প্রহসন আদর্শহীন ছাত্রসকল অনাদর্শী শিক্ষাগুরু, শিক্ষার নামে নীতি বেচে দিচ্ছে ক'রে ব্যবসা শুরু। শিক্ষক সবে ব্যাপারী আজ শিক্ষা তাদের পণ্য হ'ল, বিদ্যালয়ে দিব্যি ফাঁকি বিদ্যা বেচে লক্ষ্মী তোলো। লক্ষ্মী পিঠে সওয়ার হ'য়ে সরস্বতীর অন্বেষণে, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অনাচার চলছে হেথা অনুক্ষণে। সর্বপল্লী, বিদ্যাসাগর, ফেলছে তারা লুকিয়ে মুখ, মেরুদণ্ড ভাঙা জাতির লোভানলে সন্ধানে সুখ। যোগ্যতা সব থাক বা না থাক পকেট সবার উঠুক ভ'রে, আমার ছেলে পড়বে রে ভাই বঙ্গ থেকে অনেক দূরে। তাই তো ব'লি এই বাঙলাতে যোগ্য বেছে লাভ কি কাজে, কবিরা সব বেকার বকে লেখে সবই আজেবাজে। শিক্ষক আজি বন্দি থাকে দীর্ঘ সময় অফিস ঘরে, প্রভাববলে নানা ছুতোয় শিক্ষকদেরকে ঘেরাও করে। কটূভাষ্যে শিক্ষকদেরই করে সদা মুণ্ড ছেদন, শিক্ষকদিবস পালন ক'রে ওড়াতে চাও বিজয় কেতন! --------------- ঠিকানা:-পবিত্র দাস গ্রাম: চালতিয়াপোষ্ট: চালতিয়াথানা: বহরমপুর জেলা: মুর্শিদাবাদ পিন: ৭৪২৪০৭ফোন: ৮৯১৮৭২৫২৬৪

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

স‍্যার কী লিখি? কী-বা বলি! তিনি সময়। বরং সময়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে। আমি সময়চক্রের ক্ষুদ্র শব্দ মাত্র ... তিনি গাছ। অজস্র ডালপালা। তিনি ছায়া। শীতল আশ্রয়। আমার পরম বিশ্রাম ... তিনি অনন্ত। জিজ্ঞাস‍্য পরিধি! আমি কেন্দ্র। অস্ফুট ডট! তিনি পূর্ণ। ১০০! আমি আপাতত শেষ শূন‍্য ... ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লী বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯. ফোন - 8697668875.

শুভাশিস দাশের কবিতা

শিক্ষক দিবসে জ্ঞানের আলো জ্বালান যিনি আসল গুরু তিনি এই সমাজে শিক্ষক নামে আমরা তাঁকে চিনি ! অক্ষর জ্ঞান দিয়ে চোখে দেন যে দিশা পথের তাঁদের বিনে সমাজ অচল বিশ্ব মতামতের ! কিন্তু মশায় দেখছি কী সব কাণ্ড যাতা ভাই শিক্ষকদের কোন রকম মর্যাদা আর নাই ! শিষ্য -গুরুর সম্পর্ক যে হচ্ছে ক্রমেই ফিকে আসুন সবাই বিরুদ্ধে এর গর্জি চতুর্দিকে ! -------------------------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা কোচবিহার মো :9932966949 subhashis.dinhata@gmail.com

সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কবিতা

বাঁকাকথায় জবানবন্দী মূল‍্যবোধ চুলোয় যাক নীতিটা মাথায় থাক বাড়ী চাই গাড়ী চাই শুধু বেতনে কি ভরসা পাই তাই উপরি খুঁজছি ভাই এ ছাড়া যে উপায় নাই অনেক খসিয়েছি বাপের টাকা উসুল করতে পথটা বাঁকা ফুটো ছাতা ছেঁড়া জুতো পুরাণকথা ওসব এখন রঙ্গকথা তাড়াবোনা বনের মোষ সেটা কি আমার দোষ গন্ডায় গন্ডায় বেরোক যন্তর মানুষ না হোক ফুসমন্তর সমাজটা মোর পৈত্রিক নয় আপনি বাঁচলে নামটা রয়।। সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ৩৪ সৌদামিনী নগর, মোড়পুকুর রিষড়া, হুগলী ৭১২ ২৫০ মো ৯৯০৩৬৭৬১৮৩

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

শিক্ষক এক আকাশের নাম *************** আমাদের আকাশের ভেতরে থাকে আর এক আকাশ নিঃসীম শূন্যের মতো বিশাল, উদার; দিনরাত্রির আবর্তনহীন সে আকাশে আলো ফোটে বিরামবিহীন। সে আকাশ প্রাণের স্পন্দন দেয় রক্তমাংসের শরীরে সে আকাশ হৃদয়ে,মগজে,রক্তের ভেতরে চেতনার বীজ পুঁতে দেয় ক্রমশ তা উপ্ত হয়,কিশলয় মহীরুহ হয়। সে আকাশ শিক্ষাদাতা এক মানুষের নাম যার হৃদয় অলিন্দে থাকে অর্ধেক মাখন আর বাকিটা ইস্পাত! সে মানুষ সর্বক্ষণ আমাদের মাথায় রাখে আন্তরিক শুভেচ্ছার হাত। তার পায়ের পাতা পাতা থাক আমাদের বুকে যেখানে যখন খুশি সারবো প্রণাম। ************************************** কবিতা -২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংবাদ ************** শিক্ষালয়ে কাটিয়েছি আশৈশব-যৌবনের অনেকটা সময়। প্রথম প্রহরে পেয়েছিলাম একটি মহামূল্যবান চাবি যা দিয়ে খোলা যায় বর্ণ-শব্দ-বাক্যের অবাক মন্দির। তারপর প্রতিবছর একাধিক দরজার চাবি-- কোনোটা অংকের বা সাহিত্যের কোনোটা ইতিহাস-ভূগোল বা বিজ্ঞানের কোনোটা যুক্তির, কোনোটা প্রযুক্তির,কিংবা দর্শনের। সর্বোপরি শিক্ষাগুরু দিয়েছিলেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একগোছা চাবি।বলেছিলেন,দেখো, এসব চাবিতে কেমন ম

প্রশান্ত সেনের কবিতা

শিক্ষাগুরু... বলতে পারো, কে-ই বা আমার প্রথম দিদিমণি? তিনি আমার বিশ্বভুবন আমারই জননী| মায়ের কাছেই হাতে খড়ি বাংলা ভাষা শেখা শ্লেট পেন্সিল দিয়ে প্রথম অ-আ-ক-খ লেখা প্রথম কর গুনতে শেখা প্রথম ধারাপাত প্রথম সেই হাঁটতে শেখা ধরেই মায়ের হাত... মা-ই প্রথম দিদিমণি আমার প্রথম গুরু মায়ের কোলে বসেই আমার প্রথম শেখার শুরু তাই তো শিক্ষক দিবসে ছড়া এবং পদ্যে সাজিয়ে দিলাম প্রণাম আমার মায়ের পাদপদ্মে | @প্রশান্ত সেন ফ্ল্যাট-ই/৩, ফোর্থ ফ্লোর, ঝিলিক এপার্টমেন্ট, সি.সি.৫৭/৪, নজরুল পার্ক, পূর্ব নারায়ণতলা, পোঃ অশ্বিনীনগর, থানা - বাগুইআটি কলকাতা - ৭০০১৫৯, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত চলভাষ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২/+৯১-৯৮৩০৪০৫৩৭২ হোয়াটসঅ্যাপ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২ ই-মেইল : psen.1981@gmail.com / prasanta.satyaki.sen@gmail.com

অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

ছবি
শিক্ষকের প্রার্থনা মাত্র একটি দিনের জন্য আমি ফুল মালা আর সংবর্ধনায় ঈশ্বর হতে চাই না । কালই তো বলবে আমাকে , "মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি ।" কালই চোখের সামনে অন্ধকার সাজিয়ে বলবে , এটাই আধুনিক আলো । কালই একটা বৃত্তে আমাকে পুরে রেখে বলবে , এখানেই আপনি নিরাপদে থাকবেন. . . . মাত্র একটা দিনের জন্য আমি তোমাদের সাজানো ঈশ্ব র হতে চাই না । যেকোন উপায়ে হোক তোমরা অন্ধকারকে ঘৃণা করাটা অভ্যাস করো , যেকোন উপায়ে হোক তোমরা আলোকে সর্বগ্রাসী থাবা থেকে বাঁচাও । অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদক, কবিতার রঙবেরঙ সাহিত্য পত্রিকা লাভপুর, গুরুপল্লী , বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ দূরভাষ --7908600710 তাং --05/09/2018

কৃষ্ণা দেবনাথের কবিতা

ছবি
|| প্রিয় প্রেরণা || শুরুর প্রথম স্পন্দন থেকে আমার যাত্রার রঙিন পাঠশালায় মাগো তুমি বাড়িয়েছিলে হাত... এগিয়ে চলার লক্ষ প্রেরণায় । তোমার আলিঙ্গনে, খেলার ছলে কাটানো শৈশব... প্রথম হাতেখড়ি । আজও প্রিয় শিক্ষিকার ভিড়ে দৃশ্যতঃ তোমারই ছবি । এই রুদ্ধ জীবন যুদ্ধে যখনই হোচট্, খুইয়েছি ছন্দ... মিথ্যে ভরসা আবছা করে সন্ধান দিয়েছ পথ, পাশে থেকেছ । নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তুমি ঋণী করেছ হররোজ । মা, প্রিয় মাধুরী... এই শিরায়-সংশ্লেষে জেগে থেকো । ......................... কৃষ্ণা দেবনাথ ঠিকানা: উদয়পুর, রায়গঞ্জ উত্তর দিনাজপুর পিন নং: 733134

মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

শিক্ষক তুমি **************** শিক্ষক তুমি আলোর সেতু সাম্য বাণীতে গীতা - কোরান অন্ধকারে দর্শাও দিশা, সর্বকালের মহৎপ্রাণ। আলো হবার মন্ত্র তুমি, শিক্ষার শিখা অনির্বাণ নরম মাটির সুপ্তমনে রোপন করো জীবনগান। দিশাহারা ছাত্রসমাজে জ্বালাও আজ দীপ্তিশিখা নবযুগের আহ্বানে শিষ্যরে দেখাও আলোকবর্তিকা। নরম মনের পেলবতায় এঁকে দাও সুর্যস্বপ্ন আলোপাখি হয়ে উঠুক সকলে, হোক নির্ভীক রত্ন। শিক্ষক তুমি আলোর মানুষ, থেকো কারিগর দক্ষ শাসন মেশানো ভালবাসা ও স্নেহে ভরিয়ে রাখো বক্ষ। পথহারাদের দেখাও আলোর পথ, হে জ্যোতিস্মান মুক্ত কণ্ঠে যেন গেয়ে যেতে পারি তোমার জয়গান।

চৌধুরী নাজির হোসেনের কবিতা

বর্ণমালা লম্বা ঘর, আয়তকার যেনবা দরজা জানলা,অসময়ে একা পশ্চিমা রোদ্দুর, হা হা করছে। 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে? শ্রেণিকক্ষ নিশ্চুপ, বাকহীন। টুপটাপ বৃষ্টিফোঁটা কিয়ৎ আগে, রেশ তার এখনো দু'কানে যেন অযথা খুনসুটি, তাদের। উৎসুক চোখ, দূরের থেকে রং সযত্ন, বর্ণমালা এঁকে যায় মাটি থেকে আকাশ,ঝুলন্ত সেতু,পারাপার,পারাপার... বললাম― 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে। ――― ঠিকানা: চৌধুরী নাজির হোসেন। রয়‍্যাল এনক্লেভ(সাউথ), সেকেন্ড ফ্লোর, ফ্ল্যাট নং–২০৩. ২১ড:এ.এন.পাল লেন, বালি:হাওড়া। পিন–৭১১২০১. মোবাইল নং ―৯৬৭৪৬৭২১৭৭.

দীপঙ্কর বেরার দুটি কবিতা

শিক্ষক দিবসের আর্জি শিশুকে শিক্ষা দেয় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক বোধ বুদ্ধিকে করে তোলে সভ্যতা সংস্কারক অক্ষর জ্ঞান আর শিষ্টাচারের সুষ্ঠু সাধনা বিদ্যালয়ে শিশু পায় তার সঠিক নিশানা। মা বাপ ও তার পরিবেশ খারাপ হতেও পারে মনুষ্যত্ব ভরা থাকে স্কুলের শৃঙ্খলা ভাণ্ডারে যেখানে শিশু শুধু ভাল শেখে শিক্ষকের পাশে তাকে বিমুখ করো না হে টিউশনের অভ্যাসে। শিক্ষক যা বলেন শিক্ষার্থীর কাছে তা বেদবাক্য সারাজীবন মনে রাখে সেইসব জীবনের লক্ষ্য শ্রেণিকক্ষ বেঞ্চে বসে তাই পেতে চায় কিছু শিক্ষা শিক্ষক দিবসের মর্যাদা দিক তেমন কোন দীক্ষা। শিক্ষক দিবস ছাত্ররা আজ আসবে স্কুলে তোমার জন্য গাইবে গান আবৃত্তি আর বক্তৃতা দিয়ে তোমাকে জানাবে সম্মান ; দেবেই দেবে উপহার ওরা নেবেই নেবে আশীর্বাদ তোমার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে হবে নির্মল নিখাদ । তোমাকে দেখেই ওদের চলা স্বপ্ন ভবিষ্যতে মানুষ গড়ার কারিগর তুমি আগামীর পৃথিবীতে; সদা হাস্যে দেখি তোমায় শিক্ষা করছো দান , চির উজ্জ্বল 'শিক্ষক' তুমি তোমারে করি প্রণাম ।

কান্তিলাল দাসের কবিতা

 প্রিয় শিক্ষক বাবা প্রিয় শিক্ষক বাবা, বড় করে কত গাছ চলে গেছ কোন দূর দেশে দেখা হবে কিছুকাল পরে আজীবন গরীবির সঙ্গে যুদ্ধ করে করে টেনে গেছ সংসারের ঘানি সে বড় কঠিন কাল গেছে বাবা, প্রিয় শিক্ষক লণ্ঠন হাতে হেঁটে এ বাড়ি সে বাড়ি পাঠদানে ছুটে গেছ দিনে রাতে বর্ষা শীত যাই হোক, যোদ্ধা যেন এক ! না ভালো জুতো একটা, না ভালো পিরান মাইল মাইল গেছো অন্নতারণায় অভিভাবকেরা নিশ্চিন্দি ছিল কম দামে ভালো মাস্টারে ! এখন তো গার্জেনেরা স্যার স্যার করে শিক্ষক দিবস হয় বেশ ঘটা করে প্রাপ্তি হয় শিক্ষকের এটা ওটা সেটা ! তোমার আমলে এসব তো দূরস্থান, লোকে ডাকত কখনো ম্যাস্টর ! ইস্কুলের বেতন হিসেবে দৈনিক ছিল দশ টাকা বা নীচে! আর ঐ বাড়িতে পড়িয়ে ? সে বলার নয় তবু তবু তবু না পড়ালে অভাবের হাঁ মুখ বড় হবে জেনে ছুটে যেতে সামান্য দক্ষিণায় রফা গরীব মাস্টার। বড়লোকের বাড়িতে পড়িয়ে বৃষ্টিরাতে ছাতা না থাকা মাস্টার তুমি ফিরেছিলে এক রাতে তুমি বাবা, মনে আছে ? তাদের বাচ্ছার ছেঁড়া পলিথিনে মাথা ঢেকে ? আমরা অবাক ! তুমি ও কি অবাক হওনি বাবা, শিক্ষককে কী সম্মান দিলো ওরা ভেবে ! এভাবেই বাবা তুমি

তরুনার্ক লাহার ছড়াক্কা

ছবি
ছড়াক্কা ১ শিক্ষা গুরু ---------------- মা বাবা যে প্রথম শিক্ষা গুরু মা যে শেখায় কথা কওয়া নামতা শেখায়,শেখায় অ আ মানুষ হওয়ার মন্ত্রটা যে বাবা শেখায় সকাল সাঁঝে তাদের পথেই পথ চলা যে শুরু । *** ছড়াক্কা ২ প্রকৃতি শিক্ষক ---------------- এই প্রকৃতি শেখায় আমায় অনেক কিছু আকাশ ,বাতাস,পাহাড়,নদী শেখায় আমায় নিরবধি ঐ পাখিরা,ঐ গাছেরা জলের নীচে ঐ মাছেরা তাদের শিক্ষা মন করেছে অনেক উঁচু । *** তরুনার্ক লাহা বেলিয়াতোড়,বাঁকুড়া Sent from Yahoo Email App for Android

অমিত পালের কবিতা

৫ই সেপ্টেম্বর অঙ্ক হল আমার বিষয়, চক ডাস্টার তুলে ব্ল্যাকবোর্ডে করছি সরল জিতপুর ইস্কুলে। ছাত্ররা সব বেঞ্চে বসা, এই ক্লাসে অঙ্ক কষা, একটা পোকা আটকে আছে মাকড়সারই ঝুলে। পরের ঘন্টা ক্লাস নাইন, সেখানে সুদকষা, এসব নিয়েই দিন কেটে যায়, হয়না খানিক বসা। ছাত্রদেরকে কড়া শাষন, মনের ভেতর স্নেহের আসন, জানতে কেউ চায়নি আজও আমাদের দূর্দশা। সারা জীবন কিইবা পেলাম, হিসেব যখন করি, হাতখানা সেই শুন্য দেখি, পাইনি আহামরি। জীবনভর এমনি করে গেলাম শুধু মানুষ গড়ে তরতরিয়ে চলে না তো জীবন ঘাটের তরী। মেয়ের বিয়ে বাকি আচে, বাকি আছে ঘর, ঘুরতে যাওয়ার হয়নি সুযোগ পাহাড় বা বন্দর। আবার যদি জন্ম নিই শিক্ষক হব ইস্কুলেই আকাশ বাতাস স্বাক্ষী থেকো, ৫ই সেপ্টেম্বর। ____________________________________________________ পরিচিতিঃ নামঃ অমিত পাল পেশাঃ শিক্ষকতা ঠিকানাঃ AMIT PAL C/O ANIL KUMAR PAL (NEAR G.R.U.VIDYAPITH BOYS) P.O: DEBINAGAR, RAIGANJ, DIST: UTTAR DINAJPUR WEST BENGAL, INDIA PIN: 733123

অসীম মালিকের গল্প-কবিতা

ছবি
অঙ্কস্যার শ্যামবাবুকে আমরা সবাই , অঙ্কস্যার বলে ডাকতাম । দোহারা চেহারা ,টিকালো নাক ,দুধে আলতায় গোলা রং মানুষটি যখন তিন কিলোমিটার মেঠোপথ পায়ে হেঁটে ইস্কুলে আসতেন দূর থেকে দেখলে মনে হত -- আনন্দ নিকেতনের একটি ছাতা হেঁটে যায় । মাথার তেলতেলে টাক থেকে গড়িয়ে পড়ত শিশির বিন্দুর মত ঘাম । শীত কি বর্ষা সব ঋতুতেই পরনে থাকত সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি । মানুষটি যখন ইস্কুলে পা রাখতেন , আমরা সবাই কঁকিয়ে বলে উঠতাম --- ওই দ্যাখ ,অঙ্কস্যার আসছে । সেদিন ছিল তুমুল বৃষ্টির দিন , আমরা কয়েকজন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যখন ইস্কুল চত্বরে উপস্থিত হলাম । চাঁদ যেমন অবনীকে সোহাগ করে স্যারও আমাদের সোহাগ করতে করতে অঙ্কুরকে জিজ্ঞাসা করল --- বলোতো বৃষ্টির জন্ম কোথায় ? অঙ্কুরের ভিজে ডাব শরীর , যেন মুহূর্তেই শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল সে উত্তরে জানাল ---মেঘের গর্ভে । স্যার বললেন ,আমি তোমাদের আকাশ , আমার বুকে ভেসে বেড়ায় কতশত মেঘ । তোমরা নদীর কাছে যাও , নদী তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । তোমরা মাটির কাছে যাও , মাটি তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । তোমরা পাহাড়ের কাছে যাও , পাহাড় তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । সর্বোপরি ,তোমরা মান

প্রবীর রায়ের কবিতা

শিক্ষা আজ,স্বাধীন দেশে- স্বাধীন শিক্ষা, সকল মানব শিক্ষিত দেশ-কালো মুছে-আলো জ্বলে,শিক্ষা মন্ত্রে দীক্ষিত ছিল সে যুগ-পরাধীন সব,আজো মোরা পরাজিত ভ্রষ্টনীতি- পিষলো সবই,ভ্রষ্টাচারীর ভয়ে ভীত শিশুরা আজ পড়ছে বাইরে ছোটতেই জ্ঞান অর্জিতে সরকারিলয়-শূন্য সেথায়,শিক্ষক চলে মর্জিতে কোথাও আবার পড়ুয়া অনেক,শিক্ষা গুরুর দেখা নেই সব ছোটে যে টাকা কামাতে,বেসরকারি কুঠিতেই অঙ্গনারি মিছে চলে,একটি শিশুও যায়না সেথায় শিশুর খাবার ভোগে তারা,চাকরি দেয় মূর্খ নেতাই যারা কাবিল বেকার তারা,মরছে সে যে কষ্ট করে সুপারিশ আর ঘুষ দিয়ে- ব্যর্থশক্তি লেভেল গড়ে মা কাঁদছে শিশুর হালে,আর কতদিন বাঁচবে সে যে শেষ, তবে কি -সবই শেষ,ধ্বংস ডঙ্কা উঠলো বেজে।।

অরিন্দম দাসএর কবিতা

ছবি
" শিক্ষা গুরু " মায়ের কোলে যখন আমি একটু হলাম বড় মা হলেন প্রথম,আমার শিক্ষাগুরু । সংসারেতে বাবা,দাদা,দিদি এদের কাছেও পাই কোথাও না কোথাও কিছু না কিছু শিক্ষা । বড় হয়ে যখন আমি ইস্কুলেটে গেলাম সেখানেতে পেলাম আমি অনেক গুরু মশাই। গুরু মশাই যখন আমায় একটু বকা দিতেন ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে আমি নালিশ করিতাম। শিক্ষা গুরু দিয়েছিলেন বড় হওয়ার মন্ত্রনা বড় হয়ে হলাম আমি শিক্ষকের অনুপ্রেরণা। শিক্ষা গুরু দিতেন আমায় জীবন গড়ার বাণী যেগুলি আছে *আজ* আমার চলার পথের সাথী। শিক্ষা গুরু হলেন আমার বন্ধুসম কারণ আমি যেন শিখতে পারি যত । শিক্ষা গুরু দিলেন আমায় সঠিক পথে দিশা আমার যেন সঠিক পথে চলার থাকে নেশা। শিক্ষা আনে চেতনা,চেতনা এনে বিকাশ সেই বিকাশের কারিগর হলেন আমার শিক্ষক। মনে মনে এখন আমি ভাবিলাম শিক্ষক এর প্রতিটি তিরস্কার হয়েছে আমায় জীবনের এক একটি আশীর্বাদ । ধন্য হয়েছি আজ ছিল শিক্ষকের প্রাণভরা আশীর্বাদ সকল শিক্ষক কে গুরুজ্ঞানে জানাই প্রনাম। ---------------------------------------------------------------- তকিপুর,রেজিনগর,মুর্শিদাবাদ

Dr. Ramala Mukherjeeর লেখা

A Teachers' Day Song  Teachers' day is 5th September We have to celebrate and remember. Radhakrishnan was born onthis very day Let us all observe it and obey. He was a great philosopher, Ideal, noble and great teacher. All the students with all the teachers Must have celebrate and remember. He was our second President Also our first vice President. He loves his students as his sons, Today we sing his worship song.🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

রবিউল ইসলাম মন্ডলের কবিতা

ছবি
আর্দশ শিক্ষক ----------:--------- শিক্ষক সে মহামানব মানুষ গড়ার কারিগর স্বাস্থ‍্য শিক্ষায় নব সৃষ্টিতে সে তো আজব জাদুকর । সহস্র বছর পরেও কমবে না শিক্ষার দাম যতই পড়িবে তুমি বাড়বে তো ক্রমেই জ্ঞান। হানাহানি, রাহাজানি রাজনীতি হোক না যত আর্দশ শিক্ষক থাকবে সর্বক্ষণ নিরেপেক্ষ। শিক্ষক শুধু তো মানুষ নয় কারো কারো কাছে ভগবান- সমাজের চোখে আছে তাদের পৃথিবীর সেরা সম্মান। অত‍্যাচারীর মিথ‍্যাচারে সমাজ ব্যবস্থা অতিষ্ট শিক্ষক যদি হয় আক্রান্ত সেটি হবে খুবই নিকৃষ্ট। শিক্ষকতা শুধু পেশায় নয় গড়বে যে স্বচ্ছ সমাজ প্রতিটাই মা এক জন সন্তানের প্রধান শিক্ষক । সমাপ্ত-------

-সোহিনী সামন্তর কবিতা

ছবি
শিক্ষা মুক্ত বিহঙ্গে শিক্ষার দুয়ার খুলে যাক, বন্ধ দরজা এড়িয়ে দিগন্ত রেখার দেশ এ ... শিশু শ্রম ক্ষান্ত হয়ে যাক ...রোদেলা আলোর ঝিলিক লাগুক সব শিশুর হৃদয়ের অন্তিমে ...।। শিক্ষকের অফুরন্ত জ্ঞান মিশে যাক শিক্ষাথীর মন মোহনায়, আর যুক্ত হোক গুরুদক্ষিণা স্নেহের অব্যক্ত দিশায় ...।। -----সোহিনী সামন্ত শ্যামনগর ২৪ পরগণা উত্তর west ghosh para road , noapara, shyamnagar 24 porgona north

দীপশংকর সাঁতরার কবিতা

ছবি
শিক্ষা ও শিক্ষক মা প্রথমে বাবার সাথে করিয়েছে পরিচয় মা শেখালো অ আ ক খ বাবা বিদ্যালয়। মায়ের হাত ধরে টলো পায়ে হাঁটতে শিখেছি বাবার সাথে ঘুরে ঘুরে জগৎ চিনেছি। বইগুলো সব নিত্য নতুন দেখায় কত মত শিক্ষকরা সব দিলেন শিক্ষা কর্মই বিজয় রথ। মায়ের অকৃপণ স্নেহের হাসি বাবা সদা পাশে মমতা মাখা আদর ঠাসা চোখের কাছে ভাসে। প্রকৃতি মা'র কোলে আছে সর্ব শিক্ষার প্রাণ বপন করে মনন খুঁজে রাখব শিক্ষার মান। -----------------------------------ঠিকানা- দীপশংকর সাঁতরা। গ্রাম + পোষ্ট - জুজারসাহা, থানা - পাঁচলা, জেলা - হাওড়া, সূচক - ৭১১৩০২, পশ্চিমবঙ্গ। মোবাইল - 9748663767

শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়া

সহজপাঠ শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বাস ভাড়াতেও ছাড়খানা চাই ইস্কুলেতে পড়ি বড়লোকের বাহন তখন ট্যাক্সি কখন চড়ি? স্কুলটা সেরেই বিকেল জুড়ে খেলার পরে খেলা একটুখানি দেরি মানেই বাড়িতে কানমোলা। মচ্‌কে গেলে পায়ের পাতা মায়ের হলুদ চূন নিজের দোষের সঙ্গে শোনা পাশের ছেলের গুণ। ঘরে বাইরে সবার বকায় সায় থাকত বাবার বাড়িতে ঠিক খবর যেত সিনেমা হলে যাবার। কারোর বাড়ি ষষ্ঠী পুজো কারোর নারায়ণ প্রসাদ পেতে সদাই হাজির কীসের নিমন্ত্রণ? পড়ার ফাঁকে আনন্দলোক এক চড়ে গাল লাল কলকাতা ক'য় খবর পড়েন নীলিমা সান্যাল। পুরো পাড়ায় একটা বাড়ি রাখত টেলিফোন দূরের খবর আনত বয়ে অন্তু ডাকপিওন। অ্যান্টেনাদের মিলত দেখা গুটি কয়েক ছাদে খেলার দিনে ফাটল কেবল উচ্ছ্বাসেরই বাঁধে। একটুখানি হাওয়ার দোলায় পর্দাতে ঝিরঝির ছাদে উঠে ডান্ডাখানা রাখতে হোত স্থির। তখন একা দূরদর্শন – দর্শকে ঘর ভরা। এখন একা শত চ্যানেল বোতাম টিপে ঘোরা Sriparna Bandyopadhyay, Flat 3, Jagadish Apartment, 26 J. K. Chatterjee Road, Sodepur, Kolkata 700110

ত‍‌‌‍‌‌‌রুণ কুমার মাঝির কবিতা

শিক্ষা ও শিক্ষক শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলো,আদর্শ একনাম। বাসবে ভালো আপন করে-সন্তান সমান।। শিক্ষা দানে ব্রতী হবে, পাবে সম্মান।। মানুষ গড়ার কারিগর, মানুষ কর তুমি, সেই মানুষ আগামী দিনের ভবিষ্যতের সুনাগরিক।। তোমার শিক্ষা, তোমার আদর্শ হোক প্রবাহিত।। তোমার শিক্ষা, আচার, আচরণ, চলা ,বলা ,শিষ্টাচার বিচ্ছুরিত হোক................. তোমার ছাত্রকূলে।। অঞ্জানতার অন্ধকার দূর করে -জ্বালাও জ্ঞানের আলো।। সমাজেরঅন্যায়ের ,অবিচারের বিরুদ্ধে তুমি তো- প্রতিবাদী মুখ।। তোমাকে অনুসরন করে আসবে-অসংখ‍্য মুখ। তাই সমস্ত শিক্ষক কুল কে জানাই- আমার প্রনাম, শ্রদ্ধা, ভক্তিও ভালোবাসা। ত‍‌‌‍‌‌‌রুণ কুমার মাঝি। মগরাহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

উজ্জ্বল সামন্তর কবিতা

"শিক্ষক" উজ্জ্বল সামন্ত মানুষ গড়ার কারিগর তুমি মা বাবার পরেই তোমার স্থান উজার করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত না জানি কত কচি কাচার প্রাণ স্কুল কে যদি বলি মন্দির বা মসজিদ তার দেবতা তুমি তোমার আশীষ বারী ছাত্র ছাত্রীরা অঞ্জলী দেয় অন্তরের শ্রদ্ধা ও ভক্তির যখন তুমি থাকবে না, থাকবে তোমার হাতের ছোঁয়া ব্লাক র্বোডে ,চকে ,বইয়ের পাতায় হয়ত পদধবনি শোনা যাবে কানপাতলে ক্লাস রুমের ওই ঘর ,স্টাফ রুম বারান্দায় সময়ের সাথে ঘড়ির কঁাটায় জীবন সাগর দেয় পাড়ি সময় তো কারো জন্য থেমে থাকে না যেমন বহমান নদী বা ঝর্নার স্রোত পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি,অবসরে...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
=: সম্পাদকীয় :=  স্বাধীনতার ৭১ বছর পর হাসিম শেখ,  রমা কৈবর্ত আর তাদের প্রতিপার্শ্বের মানুষ-মানুষী-শিশুরা কেমন আছে সে কথাই এই সংখ্যায় প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়েছে ভাবের বিচিত্রে আর ভাষার ভিন্নতায়। কেমন লাগলো আপনাদের জানার আগ্রহে রইলাম। অকপট মতামত ও পরামর্শ চাই।  সকলকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত =: সূচিপত্র := প্রবন্ধ / মুক্তগদ্য : প্রণব কুমার চক্রবর্তী শেফালি সর অ-নিরুদ্ধ সুব্রত   সম্পা পাল রণেশ রায় স্বরূপা রায় রাণা চ্যাটার্জী শান্তা কর রায়   শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কুমার ঘোষ সুদীপ্ত বিশ্বাস   রাজশ্রী ব্যানার্জী   মোনালিসা পাহাড়ী  রীনা তালুকদার অণুগল্প পারিজাত মৌমিতা ঘোষাল চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী সন্তু চ্যাটার্জী বিজয়ন্ত সরকার   কবিতা : দেবাশিস মোহন মুখোপাধ্যায়  মনোতোষ আচার্য   আর্যতীর্থ   পবিত্র রায়চৌধুরী মৌ দাশগুপ্তা সবর্না চট্টোপাধ্যায়   অনামিকা দত্ত   সুজান মিঠি কৌশিক সিনহা   তাপসকিরণ রায়   অমিত পাল দুলাল সুর   মানস বিশ্বাস   পুলক মণ্ডল   কাজল দাস   বসন্ত কুমার প্রামানিক   তপন কান্তি মুখার্জি

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর প্রবন্ধ

ছবি
  তেরঙ্গা ঝান্ডা - ভারতের মহিলাদের উপহার সময়টা মধ্যরাত্রি ৷ চোদ্দই অাগস্ট শেষ হয়ে ঘড়ির কাঁটা সবেমাত্র পনেরই অাগস্টে গিয়ে পড়েছে ৷ ১৯৪৭ সালের এই দিনের এই সময়েই নয়া দিল্লীর বর্তমান সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে স্বাধীন ভারতের দেশ বরেণ্য নেতৃত্বদের প্রথম অানুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ড: রাজেন্দ্র প্রসাদ মহাশয় সেই সভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৷ শুধুমাত্র সংসদ ভবনের সেই কক্ষই নয় , সারা দিল্লীর রাজপথও সেই সময় জন সমুদ্র হয়ে উঠেছে৷ তিল ধারনের জায়গা নেই ৷ প্রায় দু"শ বছরের। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি পাওয়ার অানন্দে এবং উচ্ছাসে সবাই বিভোর ৷ মুহূর্মুহূ স্লোগান উঠছে - ভারতমাতা কী জয় ৷ ....মেরা ওয়াতন হ্যায়হিন্দুস্থান ৷ ..... ঠিক এমন সময়েই সভার সঞ্চালক ঘোষনা করলেন - মাননীয় সভাপতি ? সর্বপ্রথমেই ভারতীয় মহিলাদের তরফ থেকে শ্রীমতি হানসা মেহেতা অাপনার হাতে অামাদের প্রথম জাতীয় পতাকা (তেরঙ্গা ঝান্ডা ) তুলে দেবেন ৷ ... ঘোষনা শোনা মাত্রই সারাটা কক্ষ হাততালির বন্যায় ভেসে গিয়েছিল ৷ এতদিনের অাশা পূর্ণ হতে চলেছে ৷ স্বাধীন ভারত পেতে চলেছে তার নিজস্ব জাতীয়

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪