পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

ছড়া ।। শুভাশিস দাশ

ছবি
নারী শুভাশিস দাশ নারী নয় ফেলনা নারী নয় খেলনা নারী নয় অবহেলা পাত্র সম্মান করো তাঁকে শ্রদ্ধায় ভরো মাকে ভালবাসো দিবা থেকে রাত্র। আমাদের সব কাজে নারীরা জড়িয়ে আছে কেউ দিদি, বোন কেউ কন্যা পিসি আছে, আছে মাসী সবাইকে ভালবাসি জায়া আছে, ধরণী অনন্যা ॥   =================   শুভাশিস দাশ দিনহাটা মো 9932966949

কবিতা ।। সুমিত মোদক

ছবি
  বাঁচার স্বপ্ন সুমিত মোদক দখিনা বাতাস মেখে নতুন করে বাঁচতে চেয়েছি আবার ; দখিনা বাতাস মেখে … নতুন করে বাঁধতে চেয়েছি সংসার , জীবন ; এক গ্রাম্য মেয়ের জীবন ; যেখানে থাকবে খিড়কির ঘাট , পুবের জানালা , একটা গোটা উঠান … এমন এক জীবন , এমন এক সংসার ; আমি তো গ্রামের সহজ সরল এক মেয়ে ; সমাজের অত জটিল অংক বুঝিনা ; বুঝতে পারি না ; সে কারণেই তো প্রথম যৌবনের প্রথম প্রেমেই  ঠকে গেলাম ; তলিয়ে গেলাম মুম্বাইয়ের অন্ধকার গলিপথে ; সে সময় সে বলেছিল শহরে নিয়ে যাবে , সংসার পাতবে ; বিশ্বাস করে ছিলাম ; শহর থেকে ঘুরতে আসা সুদর্শন , তরতাজা ছেলেটাকে বিশ্বাস করে ছিলাম ; সে কারণে বাবা-মা , আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে , গ্রাম ছেড়ে তার হাত ধরে পাড়ি দিয়ে ছিলাম ভিন রাজ্যে  ; এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে ; সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল , যখন বুঝলাম বিক্রি হয়ে গেছি রাতজাগা মহল্লায় ; আর আমি , রাতপরি ; ওখান থেকে পালাবার কোনও পথ নেই ; পালাবার কোনও পথ থাকে না ; আমাকে দেখে কি মনে হয়েছিল কে জানে ; এক রাতপুরুষ আমাকে নতুন করে বাঁচার মন্ত্র দিল ; দিল মুক্তির চাবিকাঠি  ; অনেক চেষ্টায় এলাকার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে এলো ; মুক্তি , অন্ধকার জগৎ থেকে মুক

কবিতা ।। সাত্যকি

ছবি
ধোঁয়াশা মলিন হলে   সাত্যকি বৃক্ষ শরীরের গায়ে ঠেস দিয়ে যখন তার নিষ্প্রাণতা চোখে আসে  যখন ছাইয়ের পাশে বসে থাকি  ধোঁয়ারা দেখি ছুঁয়ে নিচ্ছে আকাশের সাদা  সেই সময় চারপাশের রুক্ষতা ঘিরে ধরে চোখ  একটা নিঃশব্দ উচ্চারণ ভেসে ভেসে আসে  কখনও পড়ে ফেলি  কখনও গ্রীষ্মের রোদের মতো হয়ে থাকে তারা  তবে শেষমেশ বুঝে যাই আমি মাতৃতান্ত্রিকতাই ভালোবাসি  আমি চিরকাল তারই ধার ঘেঁষে আছি....                               -------------   সাত্যকি  c/o-প্রদ্যুৎ দাস ঋষি অরবিন্দ সরণি ,  সরকার বাগান উত্তর পূর্ব -ন পাড়া  পোস্ট -ন-পাড়া  থানা -বারাসত  জেলা -উত্তর 24 পরগনা  কলকাতা -700125। মো: 7278107288।  

কবিতা।। মোয়াল্লেম নাইয়া

ছবি
  "বনলতা সেন"  মোয়াল্লেম নাইয়া মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা বনলতা সেন মিটিয়ে দিতে চায় সে আমার সকলই লেনদেন ৷ অমোঘ টানের অন্ধকারে পথ চলেছি হেঁটে আজও তাহার পাইনি দেখা বছর গেছে কেটে৷ স্নিগ্ধ শিশির সবুজ ঘাসে মেলছে তাহার ডানা অবুঝ প্রেমিক তোমার চুলে হারায় যে ঠিকানা! নীড়ের মত চোখ দুটিতে লক্ষ মনের বাস মেঘ-বৃষ্টির খেলা সেথায় চলছে বারো মাস ৷ জোনাকির ওই নিয়ন আলোয় বনলতা সেন তোমায় নিয়ে গল্প গাথা কাব্য অমর প্রেম। চলুক না হয় খোঁজার পালা হাজার বছর ধরে স্বপ্নে ঘটুক বনলতা সেন-"মুখোমুখি বসিবারে"৷              ------------০০------------   নাম-মোয়াল্লেম নাইয়া গ্রাম+পোষ্ট- ইমামদ্দীপুর থানা-ঢোলাহাট জেলা- দক্ষিণ২৪ পরগণা পিন-৭৪৩৩৯৯ ফোন নং-৯৯৩৩১৯৫৭৫২

কবিতা ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য

ছবি
অথ উলূপী কথা     সুমনা ভট্টাচার্য্য   হৃদয় কখনো নিয়ম বহির্ভূত সহিষ্ণুতার সংযমী বাঁধ ভাঙে- নারীরও জাগে তৃষ্ণা যথাবিহিত আ মন্ত্রণের সাংকেতিক আহ্বানে ;   নই দ্রৌপদী শীলিত ব্যবহারিক- আশিরনখের আর্য মুদ্রাদোষ, নেই সুভদ্রা বা চৈত্রবাহনীর পুরুষ মোহিনী শৃঙ্গার সংযোগ ।   চলেছি জীবনে -দ্বিধাহীন নাগ মেয়ে নির্লজ্জ পা বাঁধে উদার ছন্দ- বিধাতার ভুল নিজে দেবো শুধরিয়ে যাপন জানেনা রাখ ঢাক-নিঃশর্ত;   সেদিন অর্জুন স্নান এঁকেছিলে গায়ে ... পৌরুষ ছোঁয়া জলের  উজান স্রোত নিষেধ বল্গা ছিঁড়েছে বিধবা মেয়ে স্রো তের টানে যে হারায় কপর্দক -   কপর্দকেই সোনার পাথর বাটি উপবাসী দেহ- মানে না মনু-শাসন  ধৃষ্টতা ঘোর, শুদ্ধ অবিশ্বাসী -   অনর্থ মানে সপ্তপদী গমন -   ঝুলিতে জমানো একরাত সহবাস একরাত প্রেমে কিনেছি গর্ভক্ষত সেই ক্ষ তে ভরি' জীবনের অধিবাস... যেমন ভিক্ষা চিনে নেয় ক্ষুধার্ত;   চতুর্বর্গ শুধু পুরুষ - মোক্ষ ভার্যার ক্রিয়া পুত্রার্থে ই বলে- কর্তৃ বাচ্যে বাঁচে পুরুষ আর্য বিবাহ বচনে প্রবোধের মন গলে ।   পাশা খেলা হোক বা অশ্বমেধ বাজী - পরস্মৈপদী  একা কন্যা শাস্ত্র - আঁচ পাবে না যে তুমি ও সে গাণ্ডিবী স্বাধীন মায়ের এক

ছড়া ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  নারী তুমি খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় পুতুল খেলা ছেড়ে তুমি গেলে শ্বশুর বাড়ি দু'চোখ ভরা স্বপ্ন তোমার পেলো ন'হাত শাড়ি । সবার মুখে ফোটাও হাসি দিনে রাতে খেটে নিজের দিকে না তাকিয়ে যাও রয়ে একমেটে । শ্বশুর ননদ দেওর আদি করলে সবে আপন নিংড়ে দিয়ে নিজের সবই সুখের জীবন যাপন । মেটাও সবার যা প্রয়োজন ভূলে নিজের কথা  সুযোগ পেলে কেউ ছাড়ে না দিতে তোমায় ব্যথা । নারী তুমি নিজেকে আজ একটু ভালোবাসো নিজের সাথে নিজেই নিজে প্রাণখুলে আজ হাসো । খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় মালঞ্চ ,কবরডাঙ্গা ,বাঁকুড়া ৭২২১০১ যোগাযোগ :৯৪৩৪৩০৫৬২১

কবিতা ।। অভিষেক ঘোষ

ছবি
       ভ্রান্তি   অভিষেক ঘোষ ১ ম দিন আমায় ওরা খোলা মাঠে মুক্তি দিয়েছে ! দ্যাখো মা, আমি মুক্ত । কী যে আনন্দ হচ্ছে ! আমি কখনো ভাবিনি জানো, ওরা আমায় ওদের শাসন থেকে, শৃঙ্খল থেকে, এতখানি মুক্তি দেবে ! ২ য় দিন কত সবুজ চারিদিকে ! চতুর্দিকে গা-ঘেঁষাঘেষি করার কেউ নেই । যেদিকে চোখ মেলছি, মুক্তজীবন হাতছানি দিচ্ছে, আজ আর কেউ অশালীন কটাক্ষে, অবাঞ্ছিত ঘৃণ্য স্পর্শে, বিকৃত লালসায় – আমায় নিয়ম-মাফিক  বিব্রত করতে পারবে না, তা ভেবে কী যে ভালো লাগছে !! ৩ য় দিন তবে কী সব্ ভুল ছিল মা ? ওদেরই একজন আজ আমাকে আমার অজান্তেই একা করে দিয়েছে, তার নিজস্ব গোপন স্বার্থে । সমাজ থেকে স্বতন্ত্র করে, ব্যক্তিগত কামনার বিকৃত জগতে আশ্রয় দিয়েছে ! মা গো, এতটা ঠকে গেলাম আমি ! কখনো ভাবলাম না, কোনো পুরুষ পারে না এতটা মহৎ হতে, এমন অসীম মুক্তি পুরুষের পৃথিবীতে অলীক । সব ভ্রান্তি-পাশ । সবার থেকে পৃথক করে, দিয়েছে উন্মুক্ত খোলা মাঠ । কিন্তু অলক্ষ্যে, গোপন কামনার অদৃশ্য প্রাচীর তুলেছে, আমার স্বাধীন অবকাশ-টুকু ঘিরে । আজ অবাক হলে চোখ রাঙিয়ে সে বলছে, "এই গন্ডির মধ্যে  যত পারো ছোটো, কিন্তু  আমি একা তোমার সব-টা চাই,  পাবে না অন্য কেউ ।

কবিতা ।। সম্পা পাল

ছবি
তৃতীয় বিশ্ব ও নারী সম্পা পাল আরও একটি এবং তারপরও নদী হতে ইচ্ছে হয় জানোতো আমি তৃতীয় বিশ্বের এক নারী একদিন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছিল এখন আকাশ আর একটু উঁচু তবু একটি জীবন বহন করছি দৈনিক প্রথম বিশ্বের স্বপ্ন দেখিনি বিশেষ ওখানে আমেরিকা আছে শুধু অলিন্দে সীমাহীন শূন্যতা জানি তৃতীয় বিশ্ব কখনো নারীর শূন্যতা খোঁজে না তবু সব শূন্যতার পরও একটি বসন্ত থাকে একটি এবং থাকে একটি নদীও থাকে..... --------------- সম্পা পাল , শিলিগুড়ি 

ছড়া ।। রিয়াদ হায়দার

ছবি
  মা রিয়াদ হায়দার মাথায় উপর আদর মাখা একটা স্নেহের হাত, যত্ন করে বাড়িয়ে দিতেন থালা ভর্তি ভাত। স্কুলেতে যাবার সময় গুছিয়ে দিতেন খাতা, আদর করে আঁচড়ে দিতেন ভিজে চুলের মাথা। কাছে নিয়ে সোহাগ মেখে গালে দিতেন চুমো, বলতো তিনি-সোনা রে তুই এবার একটু ঘুমো। সারা জীবন আগলে রেখে আঁচল দিয়ে ঢাকে, ছোট্ট সোনা মনের সুখে আদর মেখে থাকে। ছেলে-মেয়ে'র জন্য যিনি থাকেন সকল কাজে, শ্রদ্ধা জানাই তিনি হলেন সবার প্রিয় মা'যে... ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার সরিষা আশ্রম মোড় পোস্ট - সরিষা থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগণা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর - 9609618020 rasel.hayder786@gmail.com

কবিতা।। দীপঙ্কর বেরা

ছবি
  নারীর পথ চলা  দীপঙ্কর বেরা  অনেকদিনের অনেক পুরোন কথা মনে পড়ে জগদ্দলকে ঠেলে তোমার যাত্রা জীবন গড়ে তুমি মহীয়সী তুমি মানুষ হয়েছো নিজের মত তোমাকে তাই শ্রদ্ধা জানাই করছি মাথা নত। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা করে রান্নাবাড়া ঠিক সময়ে অফিস হাজির কর্মের ডাকে সাড়া, বিকেলে ফিরে একা হাতে ঘরদোর সামলে তোমার জীবনকে তুমি নিজের মত গড়লে। না সাজগোজ গয়নাগাঠি গড়ে তোলা সংসার সমাজের বুকে যেন সমাজ হয়ে ওঠা পরিবার, তোমার নারী ভাবনা তোমাকে দিয়েছে মুক্তি তুমি ভেঙে দুর্বার হলে দেখালে তোমার যুক্তি। এত পরিশ্রমে চলতে থাকা মানুষ তুমি একক দেখিয়ে দিতে পেরেছো তুমি এ দশক এ শতক, প্রেমের অপরূপ ভঙ্গিমায় আমি খুঁজে পাই তুমি দিগন্তে যেন উঠেছে সূর্য চিরকালের আত্মভূমি।

কবিতা ।। মোনালিসা নায়েক

ছবি
হৃদস্পন্দন  (প্রিয় নারী – আমার মা-কে) মোনালিসা নায়েক মা মানে পৃথিবীর আলো দেখার আগে থেকে সযত্নে আগলে রাখা  একটা হৃদয়মন্দির ভ্রূণ থেকে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার লড়াকু শক্তি আর সাহস, অব্যক্ত কথারা হয়ে ওঠে হৃদয়, এমন এক আদর্শ চেতনার মূল্যবোধে জীবনকে চিনিয়ে দেওয়ার অসীম ক্ষমতা, অবিচ্ছিন্ন  এক বন্ধন, সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে সংগ্রামের অস্তিত্বে জয়টীকা। 'মা' এই ছোট্ট শব্দের ব্যাপ্তিতে  মরুভুমি বুকে সুখের খনি, সংসার এক দীর্ঘ সংগ্রামী -কন্টকাকীর্ণ পথের অবিশ্রান্ত সৈনিক। একটা সময় মায়েদের ছেড়ে আসতেই হয় নতুনসংসারকে নিজের করে পেতে, মায়ের আঁচল ছায়ার দাগ শুঁকে ভুলে থাকি পৃথিবীটা শূন্য লাগার যন্ত্রনা। এখন নিজে মা হয়ে বুঝেছি কোনো অভিযোগ রাখতে নেই, নিজেকে উজাড় করে সন্তানের হৃদস্পন্দন হয়ে বাঁচতে। রাজসুখ থাকলেও ঋষির মতোই জীবনযাপন করে সব মা-রাজর্ষি।   =============       মোনালিসা নায়েক আরামবাগ  হুগলী ফোন-৯৬৪৭৫৫৭৪০৯

ছোটগল্প ।। সঞ্জীব সেন

ছবি
শিউলিদির কাছে শেখা সঞ্জীব সেন   কিছুদিন ধরে শিউলিদির কথা খুব মনে পড়ছে, গ্রামের বাড়ি । পাকাপাকি ভাবে কলকাতা শহরে চলে আসার পর গ্রামে যাওয়াও হয়নি, জীবনের একটা সময় এসে মনে হয় জীবনটা আসলে একটা বৃত্ত। যেখান থেকে শুরু করেছি সেখানে ফিরে যেতে চায় মন । এতদিন কাজের ভিতর ব্যস্ততার ভিতর শৈশব ফেলে আসা পরিজন,এসব ভাবার অবসর হয়নি। লকডাউন থেকে এখন আনলক। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে । করোনা আতঙ্ক বুকে নিয়ে লোক পথে নামছে । রুজি রোজগারে । কিছু লোকের চাকরি গেছে। কিছু লোক জীবিকা পালটে ফেলেছে । প্যারাটিচার থেকে কলা বিক্রেতা ।  যাইহোক এসব নিয়েই চলতে হবে । এই দেখুন সেই ঘুরে ফিরে করোনার কথায় ফিরে যাচ্ছি । আমি তো শিউলিদির কথা বলতে চাইছিলাম এতক্ষণ ।তবে শুনুন এখানে শিউলি শুধু একটা নাম নয় । তার চেয়ে বলা ভাল শিউলিদিদের কথা । তখন পাড়ার দাদারা রাজেশ খান্নাকে ছেড়ে বচ্চনের মত স্টাইল করছে । অবশ্য তখন কথাটা ছিল বচ্চন কাট ।ফাস্ট ডে ফাস্ট সো এ ইয়ারানা সিনেমা দেখতে গিয়ে  হাউসফুল দেখে মুখচুন করে ফিরে এসেছে । তখন বাশবেড়িয়ার মত মফরসল শহরে নতুন সিনেমা আসত অনেক পরে । ততদিনে ইয়ারানা মারমার কাটকাট । দাদারা তখন সবাই বচ্চন । তখ

কবিতা ।। দেবব্রত মণ্ডল

ছবি
  গর্ভধারিণীর মুখ    দেবব্রত মণ্ডল ক্ষুধার ভার আর বিগত রাতের বাসি-গন্ধ মেখে শিশুর মতো ঘুমিয়ে আছে আমার গ্রাম! ঘন কুয়াশা সরিয়ে ধীরে জেগে উঠছে কাকভোর উঠোনে অপেক্ষমান শীতকাতুরে আফোটা আলো এমন দিনে আমি মন্মর্জির উজানে হাঁটি অর্ধশতক পার করি অনায়াসে- যত পিছনে যাই উদোম হাওয়ায় স্মৃতির গুহমুখ খুলে যায় ক্রমশ। ওই তো গোঠের রাখল গরুর বাঁধন খোলে ঘুম চোখে গৃহপালিতেরা অকস্মাৎ থমকে দাঁড়ায় ওদের দৃষ্টি সড়গড় হলে, নতুন রাখল ভেবে যখন হাম্বা রবে ডেকে ওঠে- আমি পুরানো রাখল হয়ে যাই! নারকেল পাতা ছিপ ফেলে পুকুরের জলে দোল খায়, সমস্ত আলো গেঁথে তোলে নিজস্ব স্বভাবে। একটা ক্ষুধার্ত সকাল বাসি বাসনে দেয় উঁকি, আর নরম রোদে- বুকে সুগন্ধ নিয়ে নির্ভার বকুল ঝরে। পোষা হাঁসের সেই গদগদ ভাব, ওদের আয়ত চোখে আঁটুলির মতো চাপা অভিমান দেখি! আমি অফুরন্ত হলুদের মাঝে স্মৃতি হাতড়াই ভাঙা পাঁচিলে ফুটে আছে সহজ চিত্রমালা, এইমাত্র বাড়ীর ছোটোবউ ঘুঁটে দিয়ে গেছে। সলাজ ঘোমটায় ঢাকা সুখের সিঁদুর, আঁচলে প্রভাত শিশির মিশে আছে। দৃশ্যান্তরে- আমার চেতনায় ফুটে ওঠে এক মায়াময় রূপ। তাঁর ছেঁড়া আঁচলের খুঁটে বাঁধা সমস্ত ক্লেশের কঙ্কাল- দুঃখ

কবিতা ।। শিউলি মন্ডল

ছবি
শক্তিরূপেণ সংস্থিতা         শিউলি মন্ডল  আমি সেই নারী , যার আগমনী তোলে বিষন্নতার তান !! নরপিশাচের লোলুপ দৃষ্টি , সেঁজুতির শিখা আজও করে ম্লান ।। আমি সেই মায়াবিনী , মায়ার খেলায় মত্তা।  মাতা, কন্যা, ভগিনী, প্রেয়সী, পত্নী রূপে;  যুগে যুগে এঁকেছি, তোমার নানান সত্ত্বা।।  আমি জনক দুহিতা  সীতা। মায়ার টানে করেছো মোরে রক্ষা,  তবু খুঁজিতে মোর পবিত্রতা;  নিয়েছো বারবার অগ্নিপরীক্ষা !!  আমি সেই দ্রোপদী,  যাজ্ঞসেনী ,পঞ্চপান্ডব জায়া। রক্ষা করো নি মোর সম্মান  ত্যাজিয়া রাজধর্মের মায়া।।  আমি মৈত্রেয়ী, অপালা, খনা।  আমার জ্ঞানের  বিচ্ছুরিত আলো,  ভুলিয়েছে কালের যত অবমাননা,  ঘুচিয়েছে জগতের যা কিছু কালো।।  আমি সাবিত্রী ,সত্যবান ত্রাতা।  সৃষ্টি স্বরুপা আমি ,প্রতিনিয়ত বঞ্চিতা;  রণচন্ডী, চামুন্ডা আমি ;করুণাময়ী মাতা  স্রষ্টার সাথে তবে, কেন এই দ্বিচারিতা??!!  নই পুরূষ বিদ্বেষী নারী, চাই শুধু জানতে,  একে অপরের পরিপূরক, পারে নাকি তারা হতে ? ভুলিয়া যত মান,অভিমান, দ্বিধা,দ্বন্দ্ব,দ্বেষ, অপমান , প্রেমের অমোঘ বন্ধনডোরে,পারে না কি তারা বাঁধিতে??!!

কবিতা ।। মহাজিস মণ্ডল

ছবি
                মেয়েদের কবিতা                       মহাজিস মণ্ডল কোনও ব্যথা অকপটে কাউকে বলো না শুধু নিবিড় হয়ে আসা রাতকে লিখো তোমার গহীন অভিসারের কথা চারপাশে দেখো,এখন বকধার্মিকের দল আগুন পোহানো মানুষগুলো সব্বাই ঘুমিয়ে নির্জন কোনও রাস্তায় বেরোনোর আগে সাতবার ভেবো...                        -০-   মহাজিস মণ্ডল সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, হরিদেব পুর, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪, মোঃ -৮৫৮৩৯৫৭৯১৯, তারিখ -০৯/০৩/২০২১.                          -০-

কবিতা ।। অমিতাভ সরকার

ছবি
  নারীর অন্দরে অমিতাভ সরকার পৃথিবী পর্দা আঁটা অসুখের পথ হাঁটা নারীতে পৃথিবী গড়া নারী চিন্তায়। মনের যাপনাতলে চেতনার বাতি ছলে জীবনে নাড়ীর টান স্বার্থে খাটায়। চাহিদার কামনায় রোদ ক্ষোভ যাপনায়  নারী সে   বুঝতে নারি চেনা-অচেনায়। তবুও একলা জ্বরে শরীর  মনের দরে  সুখেতে ক্ষতের আভা  মূক ভাষা চায়। সময় পালটে চলা মনেতে বিষম জ্বলা তবুও ভাবনা সে কি খুব পালটায়? ==================== অমিতাভ সরকার আনন্দললোক আবাসন, ফ্ল্যাট ২ ই,১২৭ যশোর রোড,বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ফোন ঃ৯৪৩২২৮৩১৭৪

কবিতা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
  তুমি বিনা কোথায় জীবন  অরবিন্দ পুরকাইত নারী মানে আনাড়ি ক'জন আর বলতে ছাড়ি নারী মানে নরকের দ্বার, থাকে না কথাটি পেটে হাট করে বসে দেখাদেখি কেনাকাটি, খালি গাঁট খসে – কতশত অভিযোগভার! পথে সে বিবর্জিতা কে বা আর না জানি তা স্ত্রীর কাছে মিথ‍্যায় শাস্ত্রে সায়, কলঙ্ক নারীরই বেলা, পরমহংস নর মহামূল‍্য পুরুষরত্ন, স্ত্রীলোকের কী দর – ধরনা তাই পুত্রকামনায়। সন্তানের জন্ম দিতে দু-দণ্ড বিশ্রাম নিতে – ক্রমে বন্দি করল সংসার, কে খোঁজে কী বল আছে, কতখানি সুধা রিরংসা হানাহানি – রক্তাক্ত বসুধা, নারীর ইচ্ছার করুণ সংহার! সময়-সুযোগটি পেলে সৃজনে সম্মান মেলে সময়ের হাতে নজির ঢের, জননী জায়া বা কন্যা ভাবিনি তত প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে যেন বিরোধরত! নারী আপন সম্মান পাক টের।        *       *       *       *       * অরবিন্দ পুরকাইত গ্রাম ও ডাক – গোকর্ণী, থানা – মগ‍রাহাট, জেলা – দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ডাকসূচক – ৭৪৩ ৬০১।  

কবিতা ।। পলাশ পোড়েল

ছবি
আমার মা পলাশ পোড়েল তোমার আঁচলে সংসারের চাবি তাতে ছিল নক্সা আঁকা, অভিমান কোঁচড়ভরে বোনে স্বপ্নখানি মা নয় সে সুজন সখা। বালিকা বয়সেই  বাজলো যে সানাই গোধূলি লগ্ন দেখে, বুঝি সেই থেকে শুরু, নতুন বউ ঘরের সোহাগী সিঁদুর মেখে। তুমি হাসি মুখে সব মেনে তবু নিলে কষ্টকর এ সংসারে, আমরা তোমায় কখনো সুখ তো দিইনি দুঃখে ব্যথিত অন্তরে। মা গো এখন ছবি তুমি আমার হৃদয়ে একলা কাঁদে মন, বুকে থাকে তোমার স্মৃতি পড়ে যা মনে সদাই ক্ষণে ক্ষণে।  ==================

কবিতা ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
নারী বিষয়ক  পার্থ সারথি চক্রবর্তী  তুমি কি কেবলই মা, নাকি কারো মেয়ে বা কারো বন্ধু!  আজ থেকে তুমি তাই রমা, কখনো চন্ডী কখনো শ্যামা। তোমার জন্ম নারীর কোলে তাই আজো সভ্যতা দোলে নিজের সকল কষ্ট ভুলে  সবার জন্য লড়েই গেলে। নও শুধুই সবার আশা হাতের মুঠোয় ভালবাসা  রাগ, অভিমান পুষে মনে সাজাও জগতকে যতনে। তুমিও আর ক'রো না ক্ষমা সভ্যতার মুখে ঘষো ঝামা নরম শিরদাঁড়া সোজা করে  দাঁড়াও আজ শক্ত শরীরে।

কবিতা ।। সাইফুল ইসলাম

ছবি
আমার নারী সাইফুল ইসলাম ==================   আমার নারী শুধু কী মা            অর্ধাঙ্গিনীও বটে - আমার নারী আদরের বোন            ফুল হয়ে সে ফোটে। আমার নারী বীরাঙ্গনা                 প্রকাশ্য সমরে- বীর নায়ক ধারণকারী                  রত্নময়ী জঠরে। আমার নারী ঘুঁটে লাগায়                 হেলে থাকা দেয়ালে, কোলের শিশু ঘুম পাড়াতে               গান করে খেয়ালে। আমার নারী রাত্রি জাগে               বসে রুগীর শিয়রে- মমতাময়ী মাতৃরুপে               স্নেহ আদর করে। শত্রু দমন করেন নারী                দুর্গা মাতা রূপে- আমার নারী সরস্বতী               নমন করি চুপে।     ---------------------     সাইফুল ইসলাম বর্দ্ধনপাড়া,পঞ্চহর,বীরভূম মোবাইল-৯৬৪১৭৭০০১৯ -------------------------------------------

কবিতা ।। সোমা মজুমদার

ছবি
আজ আমি মানুষ  সোমা মজুমদার আজ ৮ মার্চ  আজ আমি নারী  আজ আমি মানুষ  আজ আমি সব পারি, আজ আমি তোমার কবিতা, আজ আমি বক্তৃতা।  আজ আমি বীরাঙ্গনা, আমি সোনীতা,আমি কল্পনা, আমি মেরিকম... আজ আমি কিসে কম?  আজ তোমার স্বীকার করতে লজ্জা হয় না, সারাদিনের ক্লান্তির শেষে দরজায় যখন একগ্লাস জলের সাথে স্নিগ্ধ হাসি নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকি, তুমি কেমন প্রানবন্ত হয়ে উঠ। আজ তোমায় বলতে শুনি, আমি ছাড়া ঘরটা কেমন অগোছালো।  আমায় ছাড়া ভাল্লাগে না।  আমি তোমার অর্ধাঙ্গিনী।  পছন্দের মেনু থেকে, মশারী টা গুছিয়ে দেওয়া, আমায় ছাড়া নাকি ভাবা যায় না।  এমনকি গাড়ি থেকে বাড়ি, ট্রেন থেকে প্লেন সবি আমি চালাতে পারি।    আজ ৮ মার্চ  আজ আমি নারী, আজ আমি মানুষ  আজ তোমায় শুনলাম রবি কবির সুরে সুর মিলিয়ে বিধাতা কে প্রশ্ন করতে   'নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার হে বিধাতা '....   আসলে আজ ৮ মার্চ  আজ আমি মানুষ  কাল, হ্যাঁ কাল আমি নারী  আমার অন্তঃপরে বাড়ি  কাজের কথায় নাক গলাতে কেন আসি  সব কথায় কেবল করি বাড়াবাড়ি  বাচ্চা টাও ঠিক সামলাতে পারি না  আমার দ্বারা কিচ্ছুটি হবে না    আজ ৮ মার্চ  আজ আমি নারী  আজ আমি সব পারি।।   

কবিতা ।। সুকান্ত সেনগুপ্ত

ছবি
  * নারী * সুকান্ত সেনগুপ্ত  মায়া-মমতা ও প্রেমের সূত্রে আগলিয়ে রাখ অন্তরে, কুঁড়েঘরকে নিকিয়ে ঝুকিয়ে করে তুলো তুমি মন্দিরে। নিজ জীবনের কষ্ট'কে ভুলে ঘরে আন সুখ শান্তি, কখনো জননী কখনো জায়া তোমার তো নাই ক্লান্তি! অশুভ শক্তির বিনাশ করো কখনো দৈত্যদলোনি, জগদ্ধাত্রী কখনো বা তুমি প্রেমিকের প্রিয় রমণী। গাছের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ফুল ফুটিলে যেমন, সংসারে আসে সুখ-সমৃদ্ধি পড়িলে তোমার চরণ।            ------*----- (সুকান্ত সেনগুপ্ত। গ্র:+পো:- তিলুড়ী, জে: বাঁকুড়া, পিন- ৭২২১৫৩, ফো:/হো. ৯৭৩২১৩৪০৯১)  

কবিতা ।। অঞ্জনা দেব রায়

ছবি
আমার প্রিয় নারী আশাপূর্ণা দেবী অঞ্জনা দেব রায় শতকোটি নারীর মধ্যে  তোমাকে চিনেছি বহুদূর থেকে  জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে  নারী জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র দিয়েছিলে তোমার কলমে প্রকাশিত হলো  নারী শক্তির অপার মহিমা । তোমারই লেখা নারী  প্রগতির ত্রয়ী উপন্যাসে  তিন প্রতিবাদী নারী চরিত্র চির উজ্জল , তোমার অদম্য সাহস সমস্ত তুচ্ছতাকে ভাসিয়ে নিয়ে  মহান স্রষ্টার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তোমাকে,  তোমার লেখনি শক্তি সাহিত্যের অঙ্গনে মহারানীর মর্যাদায়  তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল,  তুমি হলে সেই নারী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র    আমার প্রিয় নারী আশাপূর্ণা দেবী ।    ===================  

ছড়া ।। মেহেদি হাসান

ছবি
বাঁচবো মিলেমিশে মেহেদি হাসান শুনো সবে দিতে শিখো নারীর অধিকার, এই সমাজে আমরাও চাই আপন স্বাধিকার। আমি নারী লড়তে জানি চলতে পারি একা, বদলে দিতে আমিও পারি নষ্ট প্রথার রেখা। ভালোবাসা আমার মাঝেই প্রিয়ার বেশে খুঁজো, মায়ের ছাঁয়া বোনের মায়া আমার নীড়েই বুঝো।  তবে কেন দূরে ঠেলো  জড়াও ভালোবেসে, দাও অধিকার চাই স্বাধিকার বাঁচবো মিলেমিশে। -------------    মেহেদি হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ 

কবিতা ।। মধুমালা বিশ্বাস

ছবি
সতীর সেকাল- একাল মধুমালা বিশ্বাস  সতী সেদিন‌ও গিয়েছিল শিবের ঘর ছেড়ে প্রজাপতি দক্ষের ঘরে।  সেদিন‌ও সতী ফিরে আসেনি শিবের ঘরে আজ‌ও আসে না ফিরে। অপমান, লাঞ্ছনা, কটুক্তি সেদিন‌ও শুনেছিল আজ‌ও কত সতী পুড়ে শিব ও দক্ষের বিবাদে। পুড়ে শেষ হলে কেউ বুছেনা, শুধু আগুন জ্বলে অবশেষে ছাই হয়ে পড়ে থাকে।           ------×------  মধুমালা বিশ্বাস গ্রাম+পোস্ট- মেটেলী জেলা- জলপাইগুড়ি পিন- ৭৩৫২২৩

কবিতা ।। শুভ্রা ভট্টাচার্য

ছবি
 নিজেরে করো সম্মান শুভ্রা ভট্টাচার্য নারী, নেই কেনো তোমার সতত কোন আধার! জলের মতো যখন যেমন তখনি তেমন আকার! এই আছ ভাটায় আবার কখনো দেখি জোয়ারে যে যার খুশি নাচায় বুঝি দোদুল্যমান তোমারে! তাই কখনো দেখি বেশ আছো তুমি "বোসে" আবার হাসি মুখে এই আছো বুঝি "ঘোষে", তুমি বাবার দুলালী, কখনো স্বামীর ঘরনী তুমিই আবার সর্বংসহা, সন্তানের জননী, তোমার তিনটি দশা - কন্যা জায়া মাতা নিজস্বতা বিকিয়ে তুমি সর্বত্যাগী দাতা। সত্যিই নেইকো তোমার ঋজুতা দৃঢ় ব্যক্তিসত্ত্বা! বোকার হদ্দ তুমি, বড্ড অভাব সুক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা! সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমায় ঘিরে কত ব্যঙ্গ মজা সেই মজাতেই সামিল হয়ে​ ভাবছো তুমি রাজা! বুঝেও কেন বোঝনা নিজ সত্তার অবজ্ঞা অপমান! দীপ্তকণ্ঠে করো রক্ষা অন্তঃ-প্রজাতির মানসম্মান, নারী হতেই সৃষ্টি এ সত্যকে অন্তরে করো স্বীকার নিজের অস্তিত্বের সৌন্দর্যায়নে কঠিন অঙ্গীকার। পুঞ্জিত ব্যথার বিষ উদগিরণে নারীতে অসহিষ্ণুতা পুরুষের আস্ফালনের সহিত নীরব সমঝোতা! যত দ্বন্দ লড়াই শুধু নিজ প্রজাতির সনে করো! বোঝো না আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইটা কত বড়ো! চিত্তের দূর্বলতায় ভেবোনা তুমি অসহায় বিপন্ন অন্যের বলিপ্রদত

কবিতা ।। সৌরভ ব্যানার্জ্জী

ছবি
এই সমাজে নারী সৌরভ ব্যানার্জ্জী জন্ম তোমার গর্ভে আমার জীবন দান মুক্ত প্রাণ, ধ্বংস-ছিন্ন-লুপ্তি ঘটছে তোমার দ্বারা শোকের গান। হাঁটতে শিখেছো, চলতে শিখেছো আমিই সেই অবলম্বন; কামনার মোহ লোভী পরায়ন অসূচী শরীরে সূচীত মন। কাল যে শরীরে চাহিদা মিটেছে তৃপ্ত হয়েছে শিশুর পেট, আজ সে শরীর ভ্রষ্টা হয়েছে, হয়েছে শুধু কৃপার ভেট। ক্ষুদ্ধ কাঙাল আঘাত হেনেছে আহত হয়েছে সেই অতীত; মিথ্যা জগৎ,মিথ্যা সমাজ শূন্য স্বপ্ন,শূন্য মিথ। দিবা-রাত্রি এক করে যে জুটিয়েছে তার পেটের ভাত, বেইমান সব পশুর জাত, মারতে তাদেরও কাঁপেনি হাত। যুক্তি-তর্ক বিফলে যাবে গলা ফাটিয়ে হবে সারা, দেশের মানুষ শক্তিশালী ভাঙছে নিজেরই শিরদাঁড়া। বস্ত্রহীন করেছো তাদের রেখেছো করে নিরাকার, শিক্ষিত এই সমাজে এখন সতীত্ব রাখা ভার।   ===========     সৌরভ ব্যানার্জ্জী বি/৩৭ লেক গার্ডেন্স,কোল-৩৩

কবিতা ।। সুজিত কুমার মালিক

ছবি
নারী, তুমি দশভুজা অগ্নিপরীক্ষার অপমানের দহন শীতল করেছে বিভাজিত ধরণী। পাশার দানে পরাজয়ের গ্লানি বস্ত্রহরণের উল্লাসে মাতে! সহমরণের সতীত্ব লাভে খোল-করতাল কান্না ঢাকে, বিপত্নীক নাকি ভাগ্যবান, তারক সাজে বরের বেশে। ভালোবাসার আশ্চর্যতম সৌধে জল রঙে বেদনার চিত্র। লালসার শিকারি হয়ে পুড়ে  প্রহসনি সমাজ বেআব্রু হয়। যুগ হতে যুগান্তরে তুমি শোষিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত। তবুও তুমি জন্মদাত্রী! অসুর নাশে দানবদলনি, রক্ষা কালে বিপদতারিণী। যম দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইয়ের কপালে বিজয় তিলক। জহরব্রতে বাঁচাও পরিবারের মান, মাতঙ্গিনী হয়ে উড়িয়ে দাও নিশান। বিরহী প্রেমিকা তুমি অন্তঃপুরে, স্বপ্নের আলপনা তোমার হৃদয় জুড়ে। নারী-তুমি দশভুজা, তুমিই অর্ধ-জগৎ। ================== সুজিত কুমার মালিক গ্রা: মইখণ্ড, পো: হেলান আরামবাগ, হুগলী পিন:৭১২৪১২ মোঃ৯৬৩৫৪২৪৬২

কবিতা ।। রবিউল ইসলাম মন্ডল

ছবি
    ধরনীর মানস কন‍্যা কাঁজলা আঁখি কাঁকন পরা কলকে ফুলের মাল‍্য গলে দেখা হলো সু প্রভাতে  ঝাঁকড়া মাথার ফলসা তলে।  পুস্পিতা ঐ মিষ্টি মুখীর  কোঁকড়া বেণীর খোপার ভাঁজে  তরতরিয়ে ঝুলছে তাজা নীল কন্ঠের পাঁপড়ী লাজে।  ঝিম ধরানো ঝুমকো লতা কর্ণদ্বয়ের কোঠর হতে লতিয়ে পড়ে ধরনীতে মিষ্টি মধুর এঁকে বেকে।  বাঁকা চোখের চাহুনি খানি মোহিত করে মন ময়রী উথাল পাতাল করে হৃদয় দেখলে তাহার ঠোঁট বাঁকুনী।  ঝংকারে তার ঝাঁঝর বাজে  হাজার সেঁতার শব্দ তুলে নৃত‍্যে তাহার মাতাল করা  হৃদয় খানি উঠবে দুলে।  ঐ মেয়েটি মেঘলা রঙের  ধরনীটার মানস শিশু আলতো ছোঁয়ায় ধন‍্য ধ্বরা ধন্য সৃষ্টির অনেক কিছু।         ============== রবিউল ইসলাম মন্ডল  (শিক্ষক- বহিরা ভাগ্যবন্তপুর বি,এম, হাই স্কুল উঃ,মাঃ )

নারী নির্যাতনের সূত্রপাত ।। রাজা দেবরায়

ছবি
  নারী নির্যাতনের সূত্রপাত! রাজা দেবরায় ছোটবেলা থেকেই লিঙ্গভেদের শিক্ষা দেওয়া হয় আমাদের সমাজে। সন্তান মেয়ে হলে জন্মকালেই চুড়ি, নূপুর পরানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা দেখা যায়। তাছাড়া লিঙ্গভেদে পোশাক পরানো, মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা, ছেলেদের বাইরে যাবার ছুট দেওয়া ইত্যাদি সমাজে দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ ছোটবেলা থেকেই ছেলে এবং মেয়ে আলাদা, ছেলে শক্তিশালী বেশি, ছেলে হলেই সুযোগ ও সুবিধা বেশি ইত্যাদি মনে গেঁথে যায় আমাদের। সবথেকে বড় কথা মেয়েদের থেকে ছেলেদের অধিকার বেশি এই মানসিকতা মেয়েদের তাড়াতাড়ি বেশি চলে আসে! পুরুষতান্ত্রিকতার নাগপাশে জড়িয়েই নারী নির্যাতনের সূচনা হয়। ছোটবেলা থেকেই ছেলে ও মেয়ে আলাদা বোঝানোর সমাজের যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা সেটাই নারী নির্যাতনের সূত্রপাত বলে মনে হয়।। =========== রাজা দেবরায় আগরতলা, ত্রিপুরা, ভারত চলভাষ এবং হোয়াটসঅ্যাপ- 07005712884

কবিতা ।। জীবনকুমার সরকার

ছবি
  জয়শ্রীকে   জীবনকুমার সরকার    স্পর্শ করে  আছো সকল সত্তা  প্রতিদিন খুঁজি তোমার পাণ্ডুলিপি  বইমেলার মাঠ গৌড় কলেজের  ক্লাসরুম  আর মঙ্গলাড়ির অটোস্ট্যাণ্ড। মহানন্দা পার জানে এসব স্মৃতিকথা  জয়শ্রী, ভুলিনি আমাদের পতনের ইতিহাস  মানুষেরই হিংস্রতায় ছিঁড়ে গেলো অবশেষে  তোমার স্বপ্নের মিনার এবং  এক আকাশ রোদ্দুর   পরাজিত প্রহরের মতো আহত আমরা  এইবেলা খুঁজি নাবিকের মতো দিক  আবারও দেখা হতে পারে কোনো এক যুগে।    ----------------------------------------------------   জীবনকুমার সরকার  পরশপাথর অ্যাপার্টমেন্ট  ৩ নং গভঃ কলোনী  মালদা  পিন : ৭৩২১০১। মোবাইল :9434818523.  

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪