পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

স্বরূপা রায়ের অণুগল্প

প্রতিশ্রুতি "কিরে শম্ভু, কেমন আছিস?" শম্ভুর পিঠে হাত চাপড়ে বললো অতুল। শম্ভু সবজি সাজাচ্ছিল বস্তা পেতে। হাত জোড় করে বললো, "এই তো দাদা, ভালো আছি।"  "ব্যবসা কেমন চলছে?" "ভালোমন্দ মিলিয়ে খারাপ চলছে না।" "দুইবেলা খেতে পাচ্ছিস?" "হ্যাঁ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাটা তো এখনো ছোট। মায়ের দুধই খায়। তাই আমার আর বউয়ের হয়ে যায়।" "শোন, তুই আমাদের দলের দাদাকে তো চিনিস। উনি খুবই ভালো মানুষ। আগেরবার অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। এবার জিতলে আমাদের সবার অনেক সাহায্য হবে। আগামী রবিবার আমাদের মাঠে উনি একটা সভা করবেন। তুই তোর বউ-বাচ্চা নিয়ে আসবি। দুপুরে ভালো খেতেও দেবে।" "তাই নাকি?" "হ্যাঁ আসিস কিন্তু। তোদের মুখ দাদা দেখে রাখলে তবেই ভবিষ্যতে সাহায্য হবে।" "আচ্ছা দাদা, যাবো।" আট মাস পরে, শম্ভু বৃষ্টির মধ্যে ছুটতে ছুটতে এসে হাজির হলো পার্টি অফিসে। অতুল ও ওদের দলের দাদা উপস্থিত। ওই দলই এখন শাসক। "দাদা, আমার বাচ্চাটার খুব অসুখ করেছে। অনেক টাকা লাগবে সুস্থ করতে। কিছু সাহায্য করুন। নাহলে

রীতা রায়ের রম্যরচনা

ছবি
টুকিটাকি (ভোটপূর্ব কথোপকথন )              ******** ********* ********* *********       --- কী হে, দাস না কী? কতদিন বাদে দেখা, সেই যে তোমার গোপন কথাটা হয়েছিল বেফাঁস!    --- ওই এক বদোভ্যাস! যোগ বিয়োগে হিসেব খাল্লাস।    --- আজকাল করছো কী শুনি? কীভাবে কাটছে বারমাস?    --- বড় কিছু খাস নয়। করছি বুদ্ধির(( চাষ। ফসল উঠছে ভালোই, তরতাজা.. দানাদার। বেমাশুল কারবার। বাজারদর পাচ্ছি না, হচ্ছি জেরবার। মিটছে না মনের আশ, তবু করছি চাষ। জমা ফসলে লেগে যায় ঘূণ।    --- করছোটা কী শুনি, ভাগ না গুণ?    --- তেল নুন কেনা ছাড়া বাকিটা পান থেকে খসে চূণ। আর কাড়ছে রাতের ঘুম।    --- কবিতা-টবিতা, লিখছো.. না কী?    --- ওই টুকি-টাকি, অন্যের লেখা থেকে আর কী!    --- তা বেশ, বেশ। ধরা পড়ার ভয় নাই। কার ঘাড়ে কে বা খায়। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। রসদ চাই, বুঝলে ভায়া?    --- ঠেকে ঠেকে বাজছে বাঁয়া। কায়ার চেয়ে লম্বা ছায়া। নাই কারো দয়ামায়া। যে দল যখন জেতে ভোটে, খিদে পেটে তাই খাই চেটেপুটে। দলবদলে যদি তেষ্টা মেটে।     --- দূর, কী আর হবে খেটে? শুধু, শুধু। হাবেভাবে বোকাবুদ্ধু, ভরে আছে দেশশুদ্ধু।

রম্যরচনা : অনিরুদ্ধ সুব্রত

বাঙালির ভোট-সিন্ড্রোম -------------------------------- দিন শেষে অফিস-ক্লান্ত মধ্য চল্লিশের বাবা, বাস ট্রেনের ধকল সামলে সবে ঘরে ফিরেছেন।ক্লাস থ্রির ছেলে কাছে এসে বলল, বাবা আমরা কি টিএমসি না বিজেপি  ? প্রশ্ন শুনে বাবা পড়লেন আকাশ থেকে । মা ছেলেকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেলেন পড়ার ঘরে, বকাবকি করলেন না-বোঝা বিষয়ে কথা বলার জন্য । বাবা থ হয়ে বসে থাকলেন সোফায় । পরে স্ত্রীর কাছে শুনে বুঝতে পারলেন, ওটা আসলে পুল-কারের ড্রাইভার-আঙ্কেল ছেলের কাছে জানতে চেয়েছিল।             ধরুন ভদ্রলোকের নাম রতনবাবু , তো তিনি ব্যস্ত অফিস আওয়ারে সম পর্যায়ের কোলিগদের কাছে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বার শুনেছেন, 'গ্রাম থেকে তো আসেন, তা ওদিকের ভাব ক্যামন এবার ? ক'টা পাবে ভাবছেন ?' নিরীহ নিপাট লোকটা মৃদু হেসে, না জানা ,না বোঝার ভানে পেরিয়ে যেতে চান উৎসাহী চোখ গুলোর প্রত্যাশা ।           দু'একদিন বাদে বাদেই অফিস ফেরতা পথে স্টেশনের কাছের মুদির দোকানে যেতেই হয় । ঘর সংসারের এটা ওটা নেবার ফাঁকে দোকান মালিক সামান্য অভিব্যক্তির শৈল্পিক কারুভঙ্গি করে বলেই ফেলে, ' কী দাদা শহরের ভাব কেমন  ?' সঙ্গে স

আবদুস সালামের কবিতা

আমাদের কোনো নিজস্ব তা নেই           (এক)      উদ্বেগের কুয়াশায় লেপ্টে আছে আমন্ত্রণ ক্লান্ত ক্লান্ত ভালো বাসা ছড়ানো সর্বত্র কামুক বাজনা বেজে ওঠে গরুর রাজত্বে গণতন্ত্র উল্লাসে মাতে অন্তপ্রাণ ভোটারদের সম্ভ্রম খোয়া যায় আমরা আমাদের ধর্ষক নির্বাচন করি  পালন করি ভোটোৎসব বিষন্নকাল প্রতিশ্রুতির  আকাশে ডানা মেলে             (দুই) আত্মবিশ্বাস নিয়ে যুদ্ধ করি নির্বোধ পাড়ায় রক্তহীন চোখ দ‍্যাখে আস্ফালন হাহাকার ছায়া ফ‍্যালে ,বাগদী পাড়ায় রোডশোতে নেমে পড়েছে সিনেমা সুন্দরীরদল স্বপ্ন ঈশ্বরীরা পা মিলিয়েছে সাথে( মুদের সুঁথে) রক্তাক্ত হয় চৈতন‍্যের বাগান ফিরে ফিরে আসে ভোট পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়, রাস্তায় পড়ে থাকে লাশ মিটিং মিছিলে পাড়া মহল্লা কাঁপে রোদন বিলাসী মা আমার শৃগালের সাধু উচ্চারণ শেখায়, সম্মোহিত হই নস্ট ফুলের মালা গেঁথে  সাজায় নেতাজীমূর্তি  যেদিকে তাকায় ঝুলে আছে বিষ্ময়সূচক চিহ্ন আমরা ভোট দিই আমাদের কোন নিজস্বতা নেই @@@ আবদুস সালাম  প্রয়াস , শ্রীকান্তবাটি মাদারল‍্যান্ড  রঘুনাথগঞ্জ ,মুর্শিদাবাদ 742225 30/04/2019

অমিতাভ দাসের কবিতা

গণতন্ত্রের গাড়ি ভোট অফিসার হয়ে বাড়ি থেকে বেরোবার সময় বাবা বুবুনকে কথা দিয়েছিল ফেরার সময় নতুন গাড়ি নিয়ে আসবে আর বুবুন খেলবে সারাটাদিন ধরে। রাতে শোয়ার সময় ফোনে কি সব বলছিল মা, বুবুন বোঝেনি ঠিক,শুধু শিখে নিয়েছিল স্পর্শকাতর,বুথদখল নতুন এইসব শব্দ। রাতে স্বপ্নে বুবুন দেখল একটা লাল টকটকে গাড়ি,তাতে ড্রাইভারের সিটে বসে সে বাবা মাকে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক দূর।গাড়িতে আবার লাগানো রয়েছে একটা সাইরেন। পরদিন বেলার দিকে খবর আসে বাবা একটু তাড়াতাড়ি ফিরবে,ফিরবে মর্গ ঘুরে,বুকের ঠিক যেদিকে বুবুন থাকত,সেখানে কারা যেন দু দুটো ফুঁটো করে দিয়েছে  বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসবের নেশায়। সাইরেনের শব্দে ছুট্টে দরজায় যায় বুবুন,দেখে তার বাবা ফিরেছে,সাথে গাড়ি এনেছে,কাঁচ ঢাকা গণতন্ত্রের গাড়ি!! ======================= অমিতাভ দাস 40/এ বাকসাড়া রোড,বাকসাড়া,হাওড়া - 711110

সুতপা পূততুণ্ডর কবিতা

ভোট বড় বালাই মন্ত্রীরা আজ বেস্ত বেশি উদ্বোধন আর শিলান্যাসে! পরিসেবা কোথাও নেই, শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসে! ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি সব জনতার পাওনা, মিটলে ভোট সেই নেতাদের টিক্কি ছোঁয়া যায় না! বছর ঘোরে শিলান্যাসে পাথরের গায়ে ঘাস গজায়! উবে যাওয়া প্রতিশ্রুতি কর্পূরকেও হার মানায়। বোতামের গায়ে লেগে থাকে নেতা মন্ত্রীর শ্বাসপ্রশ্বাস ভোট মিটলে পরে থাকে রক্তাক্ত গণতান্ত্রিক লাশ। ইছাপুর উত্তর২৪পরগনা Sent from OPPO Mail

টুম্পা মিত্র সরকারের ছড়া

কাকাতুয়ার ছড়া . ভোট এসেছে ভোট— বলছে রামুর ছেলে, বন্ধ দোকানপাট... কাজ না হলে চলে ? . একটা ছেলে গেলো  হেসে  প্যাঁচার বাড়ি, প্যাঁচার মুখটা দেখো... রাগলে কেমন হাঁড়ি ! . দস্যি মেয়ের নাচ পড়শি দেখে চেয়ে, মেয়ের তো হুঁশ নেই, আসছে সবাই ধেয়ে ৷ . সোনা বাবুর পড়া— টেবিল জুড়ে বই, নিঝুম নীরব পাড়া, সোনা গেলেন কই ? . কাকাতুয়ার ছড়া... লাগছে মিঠে ভারি ভোট ফুরোলে দেখি মন্ত্রীরা দেন পাড়ি ৷ ————————————————————— টুম্পা মিত্র সরকার পূর্ব বর্ধমান

জয়ীতা চ্যাটার্জীর কবিতা

স্বৈরতন্ত্র নিজেরই ভেতরে রেখেছ যাকে তুমি,  বয়ে যাও মোট ভার,বয়ে যাও বুকের অলিগলি।  সেও রেখেছে বরাবর এক হাতে লোভ, আর ত্রাস রেখেছে আরেক হাতে,  তোমার ওপরে তার যত লাফালাফি, রাগের তুফান ছুটিয়ে মাঝ রাতে।  নিছক ঘরোয়া এক ভয়, হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে  দগদগে কপালের দাগে।  স্মৃতি মাত্রই দুর্বল, সম্প্রিতি কে কবে দেখেছে স্বৈরতন্ত্রের আগে।।  ------------------------------------------ Jayeeta Chatterjee Add: 22/4 R.N.T.P Bye lane Shyamnagar north 24 parganas

শুভঙ্কর দাসের কবিতা

অযুত পদধ্বনি ওঠে সূর্য যেখান থেকে ওঠে সেখান থেকে একটি কালো মাথা এগিয়ে আসে যার হাতের রেখায় কোনো অস্ত্র নেই যার পায়ের তলায় কোনো নরম কার্পেট নেই যার মুখে পড়ে না মঞ্চের হাজার কৃত্রিম আলো তাকে জেগে থাকতে হয় অসুখে,খরায়,বন্যায় অথবা যুদ্ধের দামামায় সে হেঁটে গেলে ধানখেত,সে হাত বাড়ালেই সিংহাসন টলে,সে মরে গেলে বাতাসে ছাই ওড়ে কাঁটাতার ছাড়িয়ে তার শরীরে রক্ত-মাংস ছাড়া শুধু আঁকা আছে চাকা যেটা ঘুরে, অবিরাম ঘুরে বলে,এ পৃথিবীটা জয় করার মতো সুন্দর,ভালোবাসার মতো নরম,সন্ন্যাস হওয়ার মতো ত্যাগ আর মূর্তি বানানোর মতো অহংকার জন্মায় সেই চাকা যত জোরে ছোটে আর কিছু নয়,মহাসংগীত অযুত পদধ্বনি শুধু ওঠে       ------------------------------------------ শুভঙ্কর দাস হলদিয়া পূর্ব মেদিনীপুর ৭২১৬০২ ফোন -৯৭৩২৬২৫২৮৯         

সুমিত দেবনাথের কবিতা

জবাব দিন ********** আমার মায়ের কী দোষ ছিল? বলো না আচ্ছা আপনি বলুন না? ছেলে জন্ম দেওয়া নিজের মুখে রক্ত তুলে, ছেলের মুখে দুধ তুলতে আমার মা তো কোনোদিন কিপটেমি করেনি!! কোনোদিন ভাবেনি, বড়ো করে কি হবে? কী হবে পড়িয়ে? শুধু ভেবেছে ছেলে বড় হবে.. মানুষ হবে? কি তাই না, বলুন না? সান্ত্বনা দেবেন না। আশ্বস্ত করবেন না। একদম না। শুধু উত্তর দিন। আমি উত্তর চাই.. জবাব চাই। আপনাদের মুখ থেকে শুনতে চাই.. আর কতদিন আমার মাকে এইভাবে কোলহারা.. হতে হবে?? আর কতদিন তাকে নিরুপায় হয়ে স‌ইতে হবে উঠতি বয়সের তার বুকের বাছার অসহ্য মৃত্যুযন্ত্রণা। আরে জবাব দিন। মাথা নামিয় রাখবেন না। আমার বাবা যখন সেবার ভোটের দাঙ্গায় মারা গেল .. এই আপনারাই তো এসেছিলেন? তাই না? বলেছিলেন না এসব নাকি আর আপনারা.. হতে দেবেন না। আপনাদেরকে ভোট দিতে.. বলেছিলেন। কিন্তু ক‌ই ? ভোট দিলাম এই তো আপনাদেরকে না না। আপনারা না তো। ওরা তো কালু,ভলু .. আপনারা কারা? হবেন হয়তো শালু গালু। দিয়েছিল সদ্য বিধবা আমার মা ভোটটা সেই কালুদের‌ই। এই এতটুকু আশায় যে, এরা হয়তো...... তার সদ্য পিতৃহারা ...

সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

।।ভোট রঙ্গ।। ভোটের আমি  ভোটের তুমি ভোট দিয়ে যায় চেনা। কে জনগন কি জনধন সব আজ যায় কেনা। কোথায় কাজ কেবল সাজ নকল বুঁদির রম্য গড়। মরুক চাষি লাশ হোক বাসি পুড়ুক খোড়ো গোলা,ঘর। ভোটের বালাই পালাই পালাই ইভিএম-এই প্রাণের টান। ভোটের আগে কি অনুরাগে প্রার্থী মুখেই করছে দান। ভোটের রণ কামড় মরণ লক্ষ্য কিন্তু জনগন। উড়ছে টাকা বুকনি ফাঁকা মনটা তবু উচাটন।। ******************* Sudipta Bandyopadhyay. 7P/ 1, Ram Road, Sarsuna, Kolkata - 700061 . Ph. 9432222463.

কুনাল গোস্বামীর কবিতা

 প্রতারক......    ঘড়িতে তখন ১.৪৫,বৈশাখের প্রখর তাপে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে তখন আগুন জ্বলছে নিখিলেশের।  কিছুক্ষণ আগে ব্যস্ত যানযট উপেক্ষা করে উন্নয়নের পদযাত্রায় সামিল হয়েছিল সে। এখন আবার কোত্থেকে একটা শবদেহ বহন করা গাড়ি হুস্ করে বেড়িয়ে গেল নিখিলেশের পাশ দিয়ে,  নীলাঞ্জনা তাকে ছেড়ে চলে গেছে আজ প্রায় পাঁচ বছর  তার প্রতারণার আগুন আর তাকে নিয়ে লেখা কবিতা গুলো সে এখনো ধারালো অস্ত্রের মতো সাথে নিয়ে ঘোরে  যদি কখনও দ্যাখা পায় কোনো যুগলের  সে তাদের মুখে ছুঁড়ে মারে দেশে এখন মহা উৎসব পালন করা হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের ব্যানার জুড়ে শুধুই অভিনেতাদের ছবি  তারই নিচে নিখিলেশ সাদা কাগজে লেখে - "আজ সে ক্ষুদার্থ, আর তার সঙ্গ দেয় জিভ বের করা এক নিরীহ কুকুর!" নীলাঞ্জনা' এখন আর নেইকো কোনো ভেদাভেদ  তোমার নামের সাথে "প্রতারক" শব্দটা আমি জুড়ে দিয়েছি আজ আমারও আঙুলের ডগায় এক ফোঁটা রক্তের ছাপ আর বুকে প্রজ্জ্বলিত প্রতিহিংসার আগুন। ---------------------------------------------------------------------     কুনাল গোস্বামী গ্রাম- পূর্ব কন্যানগর পোষ্ট-

বিশ্বজিৎ সাহুর কবিতা

                               ভূততন্ত্র                             'গণ' শব্দ শুনলেই কেন কী জানি ধর্ষকের মানে পাই              অথবা কোনো সংক্রামক ব্যাধি , খুনী                    নতুবা আত্মহনন কথন । রাগ হয় নিজস্ব আভিধানিক দ্বন্দ্বে ! লাটিম হাতে খেলতে খেলতে বড় হওয়া ছেলেটা                অ নৈতিক বক্তৃতার জৌলুসে ---             চোখের  সামনে তৈরী বন্দুকবাজ ! 'তন্ত্রে'র বিভূতি মতদানের শাস্ত্রীয় স্থিতধী ছেড়ে শস্ত্র । আহা মিছে কথা নয় --- রূপকথার গল্প শুনেছি ঢের , তারও ঢের রাক্ষস দেখি রোজ              তারা রক্তের গন্ধ নাকে শুভ্রপোশাকে সেজে                    মানুষের ভিড়ে মেশে---হাত জোড়ে ; স্বার্থ বাসনায় চিহ্নিত করে খোরাক ! ভোট জোট সরকার শাসক 'ভূততন্ত্র' কেবল মানুষ তো কবেই মরে গেছে---পৃথিবীও বিকল ! -------///----------------------------------------///---------- Biswajit Sahoo B 61 Mahatma Gandhi Nagar Hatiberia , Haldia Purba Medinipur 721657

বি.কে.স্বপনের কবিতা

ভেবে-চিন্তে ভোটটা দিও --- ---------------------------- ''রাজনীতিটা রাজার নীতি" বলতো সবাই আগে, এসব কথা শুনলে এখন বড্ড হাসি লাগে। লড়ছে ভোটে আসামীরা জেল খাটারও পরে, মাইক হাতে দিচ্ছে ভাষণ অতি উচ্চ স্বরে। ওরা নাকি দেশের জন্য দিতে পারে জানও, রাস্তা-ঘাটে শুনি কতো ওদের গুণ-গানও। ওদের হয়ে গান গাওয়াটা কতো হনুর ব্রত, চামচাগিরি করতে তারা বহায় জন-স্রোতও। ঘোর কলিকাল চলছে এখন বলছে সবাই মিথ্যে, মন্ত্রী তাদের হতেই হবে তাই তো হবে জিততে। দিকনা ভাষণ যতই ভালো সবাই ষড়যন্ত্রী, দেশসেবা তো মুখের কথা চায় যে হতে মন্ত্রী। চা-ওয়ালা আর হাওয়াই চটি আলোচনার শীর্ষে, ওরাই ভাবী প্রধানমন্ত্রী মুখে মুখে ফিরছে। থাকলে পায়ে হাওয়াই চটি পট-পটা-পট শব্দে, যায় যে বলা,  "বিয়াল্লিশে চাই বিয়াল্লিশ! --- সব দে।" উনি আবার ঘর-বিবাগী যদিও স্বঘোষিত, তবু আমরা তাঁর কথাতেই উঠি এবং বসি তো! ভিন্ দেশি এক 'ভিঞ্চি' এসে দিচ্ছেন কতো ডায়লগ, সত্যি-মিথ্যে না ভেবে তা খুশি কতো ভাইলোগ। এমনি করেই আসবে যাবে প্রতিটা নির্বাচন, ভেবে-চিন্তে ভোটটা দিয়ে দাও ওদের নির্বাসন। 'গণতন্ত্রে ব

পারমিতা ভট্টাচার্যের কবিতা

গণতন্ত্র __________ সাপের মত আঁকাবাঁকা করে  চলেছে একটা লাইন স্কুল এর দিকে, দূর থেকে দেখলেই লাগে পোষমানা বিষদন্তএর থেকে বিষ হয়ত হয়েছে ফিকে। খেয়ালি মত্ততায় মগ্ন আজ জীবনতন্ত্র তারই দস্তখত পড়ে শুধু ভোট যন্ত্রে, সাপের মতো আঁকাবাঁকা একটা লাইন যদিও তার পাঁচ পা দেখতে পাওয়া যায়না। পাঁচ পা দেখালেই আবার একটা ক্ষতবিক্ষত দেহ, আর,অভিভাবকহীন একটা পরিবার পাওনা। তার চেয়ে ভালো পোষ মেনে থাকা, হলেও সামাজিক দৃষ্টিপাত বাঁকা প্রাণটা তো তবু বাঁচে। তাই গৃহপালিত হওয়ার অজুহাতই আজ গণতন্ত্রের মুখে সাজে।। ঠিকানা _______ পারমিতা ভট্টাচার্য পদ্মপুকুর,তারকেশ্বর কলেজ রোড তারকেশ্বর,ওয়ার্ড নও_____১০ পিন কোড__৭১২৪১০

সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)র কবিতা

ভোট-বাজার --আমুর ঘরে কারা জ্যান আগুন লাগায়ে গ্যাছে --হ হ শুনসি শুনসি। পাবি পাবি পাঁচ হাজার --ও বাবা, ও বাবা, কবেন থ্যাকে আমুর জর ইয়েছে --ই রাম, এ বুড্ডি কে লিয়ে যা তো, উ ডাক্তার বাজার। আরে শুন, তুদের ই ঘর গুলান সব পাকা হবেক আলো পাবিক জল পাবিক আর পাবিক ভাত, শুধু চুপিচুপি গ্যায়ে মারবি ছাপ, ব্যাস আর কুচু চিন্তা নাই ঘুমাইয়ে ঘুমাইয়ে কাটাইবি মেয়ে বউ লিয়ে রাত। --আমুর বউ ম্যেয়ে লিয়ে গাছতলায় প্যরে থাকি তু বুলেছিলি ভোট দিলে দিবি পাঁচ হাজার… --কি বুললি ব্যাটা হাভাতে! কুবে বুলেছি ইসব! উ দ্যাক, ও দিকে তুর  ম্যায়ের লাগি আছে শরিল-বাজার।             -------------

শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়া

হুলোরাজ সুখে ছিল হুলো মেনি চারখানা ছানা একজন কুঁড়ে অতি কেজো তিনখানা। ভাই বোন রোজগার করে যাই আনত কুঁড়ে ভাই তার থেকে বেশিটাই টানত। মা বাবা বকে ঝকে          পাঠালেই বাইরে ছেলে ঠিক ঘুমোবার খুঁজে নেয় ঠাঁই রে। খেয়ে দেয়ে ঘুম দিয়ে ছোট্ট দেহটা ক্ষীণ মোটা থেকে মোটাতর হয়ে চলে দিন দিন। রোজগেরে ভাইবোন চোর বলে পরিচয় গেরস্ত দেয় হুড়ো খিল দেয় দরজায়। লাঠি হাতে করে তাড়া গাল দেয় ছোঁড়ে ঢিল ছিঁচকেমি সোজা নয় বড় হ্যাপা মুশকিল। ইঁদুরও তো কতবার থাবা থেকে ফস্কায় তার পিছু নিয়ে ধরা কী জ্বালা কী যে দায়! তার চেয়ে কুঁড়ে ভাই আছে তোফা বেশ তো ঘাড়ে বসে খেয়ে নেতা চালাবে সে দেশ তো!   ================ Sriparna Bandyopadhyay, Flat 3, Jagadish Apartment, 26 J. K. Chatterjee Road, Sodepur, Kolkata 700110 Mobile: 9007511457, 9331084639. Email: sriparna405@gmail.com প্রিয় নিরাশাহরণ, নতুন করে গদ্য পেরে উঠলাম না। এই ছড়াটি মনে হয় জুতসই হবে। শুভেচ্ছা  শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

চন্দন সুরভি নন্দর কবিতা

টাকার মেশিন                      মায়ের ওষুধ নিয়ে শহর থেকে ফিরল রতন সবে সন্ধ্যা নেমেছে  রাস্তায় আলো কম হাসপাতাল অনেক দূরে  অদৃশ্য যম খেলাকরে  মৃত্যুর সীমান্তে শায়িত মা   শেষ রক্ষা হল না  আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফোটে রাতের আঁধারে ঘরের দেওয়াল গুলো রাঙিয়ে গেছে কারা  তুলেছে রং বেরং এর তোরন  এসেছে নির্বাচন  শোনাযায় এবার নাকি এ টি এম চিহ্নে দাঁড়িয়েছে একজন! টাকার মেশিন........  জিতলে সবাইকে দেওয়া হবে! সামনে বসে উল্লাসে ফেটে পড়া রোবট গুলো মানুষ কবে হবে?  ====================== Chandansuravi Nanda Revenue Office  BL&LRO,Manbazar-ll Boro Purulia PIN-723131 Phone-9163332432

নিসর্গ নির্যাসের কবিতা

      টোপ এক সামিয়ানার নীচে শত সারি পাত পড়ে জ্বলজ্বলে চোখে- পেট ভরা তৃপ্তি এক সাথে হাত চলে। সম্প্রীতি বা মিড্-ডে মিল না। ওরা শিকার। নানা রঙ- নানা তাঁবু। একই জমায়েত। ভোট হয়- সভা জমে ভুখা নিয়ে রাজনীতি ছকে।  ====================

সৌরভ ঘোষের কবিতা

একমুখী যুদ্ধ নুন আর চুন মিলে মিশে সাদাকার ফুটফাট শব্দ নিরাশ,  ক্লিন্ন হাহাকার... জড়ি পাড় রাত,ঝলমলে জামদানী পশমের সোয়েটারে মশা,লাল আম-আদমি...    যাপনের ক্ষেত, চাষির হাতে বে-হাল, ভুল করে কেটে ফেলে কুমির আনার খাল... বৃংহতি শালিকের ঠোঁটে জঙ্গী বিমান, লাইট হাউস ফাঁকা ফেলে রক্ষীর তীর্থ ভ্রমণ। গল্প ছাই অনু হয়ে বাতাসে উড়ছে,  ঢিলেমিতে প্রতিদিন প্রতিবাদ মরছে... নিজের নগরী নিজেই জিতেছে রাজা ক্যানেস্তারা পেটো,বিয়োগে মেলাও হাতে রাখো দুটো মজা। কানাকানি একেবারে নয়  বজায় থাকুক ট্রাডিশন কোটি কোটি ধৃত - রাষ্ট্র বাঁচুক...  জন্ম নিক শয়তান ...  সুদর্শন চক্র ছদ্দবেশে মেঘারোহী, খনিতে একমুখী যুদ্ধরীতি ...     ==================== Sourav Ghosh মুন্সিরহাট, হাওড়া

দেবপ্রসাদ মুখার্জীর কবিতা

ভোট পরব উদিন আমাদে গাঁয়ে হৈ হৈ পরব সিনামার ইস্টার আইছিল ভোট মাগত্যে আমাদে কাছে সাদা ফটফট্যা জামা , কপালে লাল টিক লিয়ে এলেক গোটা গাঁটা ঘুরলেক চালখুলা মটরে চাপেএ  আমার ব্যাটাটা বললেক  মা দ্যাখ দ্যাখ ই লোকটা সিদিন গুন্ডাগুলার কাছে মার খায়েও কমন পিটালেক ভিলেনটাকে , দুয়ারে দুয়ারে দাঁড়ায়ে ভোট মাগছিল ইস্টার বাবু  তারপর থেকয়ে আর আসেনাই কত কুড়ি দিন কাট্যে গেল উদিন থিক্যে ভোট পরব হল্য , ইস্টার ভোটে জিতলঅ , আমাদে জুয়ান ছিলাগুলা লাল মদ খায়ে রং মাখ্যে নাচলঅ , ঘরে ঘরে বাতাসা দিলঅ কদিন পরে সবাই ভুলয়ে গেল ভোটের পরব  শুধু ভুলিনাই মুই বাবলু সরেনের ভাতারখাগী মা দুলি সরেন , আমার কলের ব্যাটাট ভোট পরবের দিনেএ গুলি খায়ে মরেছিলঅ কুনু পাটি করতক নাই তাও মরেএ গেল ব্যাটাট ভোট পরবের দিনেএ ।

কান্তিলাল দাসের কবিতা

আমজনতা গেছেই বুঝে         চাইছে সবাই দেশের ভালো দশের ভালো করতে ভোটটি এলেই ভোটবাবুরা চলেন ভোটার ধরতে ! 'ও-দল বড় সাম্প্রদায়িক দাদা ওদের ভোটটি নয় আমরা হলাম আগমার্কা দাদা জানেন সে নিশ্চয় !' 'ওরা দাদা কী চোর কী চোর চিহ্নে ওদের দিলেই ছাপ জিতলে পরে সরকারি সব টাকা জানেন করবে গাপ !' 'ওদের দেখুন কি বিধায়ক কি সাংসদে গুছোচ্ছে কেমন ছিল কেমন হলো পাবলিকে সব কুঁচোচ্ছে !' যাচ্ছে চলে ভদ্রভাষা ইতর ভাষার আমদানি চক্ষুচড়ক আমজনতার হালে কী কেউ পাই পানি ! নেতার যত উস্কানিতে পাড়ায় পাড়ায় বিভেদ জোর আনবে ভালো বদল কে যে খুঁজতে হবে কম কে চোর ! গণতন্ত্র কাঁপছে ভয়ে কে দেবে আজ ঠাঁই আমায় যুদ্ধ চলে ছলে বলে রায় করা চাই ঠিক আদায় ! আমজনতা গেছেই বুঝে পাঁচটি বছর শুষবে যে ভোট দিয়ে তো আনব তাকে গদির পরে ফুঁসবে যে ! ................... কান্তিলাল দাস বেলতলা লেন (সাধুখাঁ মাঠ) ডাক : সিঙ্গুর জেলা : হুগলি

অসীম মাহাতর আঞ্চলিক কবিতা

    'পচার '                    বলি হেঁ গো নেপালের মাই  ঠিক তুখন কটা বইলব, তবে হঁ মাথার উপরে সূজ্জি ঠাকুর ছিল বইসে । হামি মাঠে কাম করইতে ছিলি  তদের গাঁয়ে হুর হুর গাড়ি ঢুইকলঅ , আর মাথায়-মুখে বাঁধা ছিল কাপড় দমে জোর জোর চেঁচাঁতে ছিল  বইলছে ধূর হাঁটাও-জিন্দাবাদ । কদাল ছাইড়ে ঘরের দিকে দিলি ছুঁইটে  বউ ছানাপুনাকে লুকাতে । ভাগ্যিস ভগবানের দয়ায় হামাদের দিকে,  যায় নাই বাছা । গেলে মনে হয় মইরেই যাথি গো । দূর বোকা হাড়াম, অরা অন্য কেউ লয়  তবে কারা বইঠল - ভোট মাঁইগতে অ্যাইসে ছিল  আমি ভাবলি পেছুরদিন ঘুইরে অ্যাইল । হরি হে তবেই বলে  টুকু লেখাপড়া শিখবি, ইস্কুল যাবি ।                 ----

অমিত পাটোয়ারীর কবিতা

      ভোট এরপর সবকিছু নিশ্চুপ হয়ে যাবে শঙ্খ লাগা অজগর দুটো কোলকাতার রাস্তাঘাটে ছুটবে বাধাবন্ধনহীন। ওদের পেটের মধ্যে ধরা যাক , শেষের দিকের কোনো জানালায় বসে আমরা লিফলেট নিয়ে বানাবো এরোপ্লেন। এরপর ময়দানে নিজস্ব তাঁবু টাঙিয়ে সাপের খেলা দেখাতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খাবো কেননা আমাদের ভুলে যাবার পারমিট নেই। মাঝরাতে পাড়ার মেয়েটাকে খালপাড়ে নগ্ন পাওয়া গেলে মুখ বুজে অপেক্ষা করবো। শেষদফা এবং ফলাফল বেরিয়ে গেলে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই! বেশ কিছু শ্মশানচুল্লি আগাম ফাঁকা রাখবো বেশ কিছু তুলো , ধুপ , সাদা ফুল... আমাদের কাকা , জ্যাঠা , ভেড়া পিসি , বিল্টু... সবাইকে নিয়ে চলে যাবো একটি নিবিড় নির্বাচনহীন স্যাংচুয়ারিতে। আমরা বনভোজন করবো ততদিন , যতদিন না ভারতবর্ষে শীতকাল আসে।

কোয়েলী ঘোষের কবিতা

ভোটযুদ্ধ সভ্যতার নিচে জমছে অন্ধকার আর ভয় জানি না এ যুদ্ধে কার জিৎ ,কার হবে জয় । হাওয়ায় হাওয়ায় খবর ওড়ে মিডিয়ায় ভোট যুদ্ধ আসে ,নিরীহের জীবন চলে যায় । অস্ত্র -শস্ত্র মজুত তাক করা বন্দুকের নল শক্তিমানের আছে দলবল আর বাহুবল । অ্যাসিডের জ্বালায় গলা বুক জ্বলে যায় শান্তিপূর্ণ ভোট , শুধু খবর বলে যায় --- দরজা জানলা এঁটে তাই ঘুমিয়েছে পাড়া ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে থাকে জাগে না আর তারা । দুর্দিন তবু বসে থাকে সুদিনের আশায় নির্ভয় কলম জাগে ভবিষ্যৎ ভাবনায় ।

মানবেশ মিদ্দার কবিতা

ভোট নিয়ে যা 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়' মাটির মানুষ কৃষক ভাই, চাষের কাজে টাকা চাই? ইঁটের পাকা বাড়ি পাবে, ছবি চীনে ভোটটা দেবে, ঋণ মুকুব, কৃষক ভাতা, সবই পাবে জুতো, ছাতা। দুখের দিন দেখবে কেমন ধুয়ে মুছে যায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' লেবার মানুষ শ্রমিক ভাই স্বাস্থ্য বীমা তোমার চাই? কারখানার বন্ধ তালা ভোটের পরেই হবে খোলা, হিসেব নতুন, বেতন পাবে পুজোয় ডবল বোনাস দেবে। আমরা থাকি মাটির কাছে, মাটি ভোলা যায়? 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' দেশের যত টাকার খনি, গরীব মেরে মালিক ধনী। জীবন বিমায় চিটিং বাজি, জেলে যাবে সকল পাজি, ভোটের ভোগে নকুল দানা, মিলতে পারে মিষ্টি ছানা, সুখের দিন নয়তো দূরে, বেলা বয়ে যায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার যায়।' সবার জন্য চাকরি আছে, এক্কেবারে ঘরের কাছে, অভাব কিছু থাকবে না আর সবাই পাবে সঠিক বিচার, জল আলো বাতাস দেবো, শুধু কেবল ভোটটা নেবো, আর তোমাদের কি চাই বলো, আমরা অপেক্ষায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' চপের দোকান, চায়ের দোকান, করতে আছে লোনের যোগান, নাচের, গান

চন্দন মিত্রর কবিতা

উলু-খাগড়ার ছড়া উলু এবং খাগড়া দুটি ভাই মানিকজোড়ের মতন ঘোরে ফেরে --- এমন মিল তুলনা যার নাই গাঁয়ের সবাই বলেন কণ্ঠ ছেড়ে হঠাৎ হল ভীষণ যুদ্ধ শুরু রাজায় রাজায় রাজ্য জয়ের লড়াই যোদ্ধা ছোটে বক্ষ দুরু দুরু জিতব আমরা করল মুখে বড়াই উলু এবং খাগড়া কৌতূহলে দেখতে গেল লড়াই মাঠের ধারে রাজার সেপাই যুদ্ধ জেতার ছলে কোপ বসাল দুইটি ভায়ের ঘাড়ে ... ===================== চন্দন মিত্র ভগবানপুর ( হরিণডাঙা ) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক --- ৭৪৩৩৩১ চলভাষ --- ৯৩৩২৩৫৮৭৪৭   

সজল কুমার টিকাদারের কবিতা

ভোট চারিদিকে থম থম।শুধু ভারী বুটের আওয়াজ। দারিদ্র্য অধ্যুষিত। ছোট ছোট মাটির বাড়িরা প্রাণহীন। পোষ্যটা সকাল থেকে আম গাছটায়  শুকনো মুখে বাঁধা। রাজনৈতিক উত্তেজনায় গতকাল খুন--এক; রক্তের দাগ এখনও! নিতান্ত সাধারণ।খেটে খাওয়া। কিন্তু আগুন কি এই সব মানে? চারিদিকে তুমুল উত্তেজনা তখন বিন্নি ধানের খই... সকাল ঠেলে বেরিয়ে এসেছিল হতভাগা এই তপ্ত দুপুরের মাঝখানে। খুট করে একটা শব্দ। বুকে তিন ইঞ্চি গর্ত,  রক্ত... গতকাল ভোট ছিল এইখানে। ----------------------------------------------------------- সজল কুমার টিকাদার আরামবাগ,হুগলি পিন-৭১২৬০১. ফোন-৯৭৩২৮১৫৩৯৯.

মোনালিসা পাহাড়ীর আঞ্চলিক কবিতা

ভোট ভোট আইনে দিকে দিকে মিটিং মিছিল হয়, নেতামনে লম্বা চওড়া কত্ত কথা কয়। তুমার আমার সামনে দাঁড়ায় দুহাত জোড় করি, ভিখারি যমন ভিখ মাগে হাতে বাটি ধরি। তুমানেবিত গলি গেল, দিদিল সব ভোট, কত আশার স্বপ্ন দেখল হই কি এক জোট। দুঃখের দিন ঘুঁচি যাবে ঠকবনি আর মোটে, নতুন নেতা রাখবে কথা জিতনে এবার ভোটে। তারপর ত ভোট হিগেলা, জিতলা বি সৌ নেতা, বিশাল বড় পদ বি পাইলা হইলা কেউকেটা। বড় বড় গাড়ি চড়লা উড়িই রাস্তার ধুলা, মোন্নাকে আর চিনলানি ত , সব যেন ভুলভুলা। তুমানে রইল অন্ধকারে তাকে আলো দিকি, সে অখন চোখ রাঙায়টে অতীত ভুলিকি। অমনু সব বেইমানিয়ে ভরিচে গোটা দেশটা, কে জানে বাবু, কবে যে হবে, এ নৈরাজ্যের শেষটা!! ================================= মোনালিসা পাহাড়ী প্রযত্নে- চন্দন দাস মনোহরপুর, গড় মনোহরপুর দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭২১৪৫১ ফোন- 9635269527

সায়ন তরফদারের কবিতা

যারা ভোট দেয় আধার কার্ড নিজেকে চেনায় ভোটার কার্ড অধিকার কে নির্বাচন চেনায় শাসক। পাঁচটি বছর কেটে গেল আবার হবে নির্বাচন আসবে এবার কে? মুঘল নাকি অশোক? আবার হবে যুদ্ধ, মরবে হাজার মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে                   দাঁড়িয়ে মানুষ আবার ভোট দেবে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে সত্যি ভেবে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে                    মানুষ আবার বোকা হবে। ============================= SAYAN TARAFDAR (সায়ন তরফদার) Phone:- 9123079092                                           

দুলাল সুরের কবিতা

ছবি
বন্ধুত্ব জিন্দাবাদ            বিবেক ও বরকতের সখ্যতা ভীষণ একই পাড়ায় থাকে একই আত্মার অভিন্ন হৃদয় গা শুদ্ধু লোক জানে। ভোটের বাদ্যি বাজলে পরে নেতাদের মনভোলানো প্রতিশ্রুতি'তে লোভ-লালসা, হিংসা-দ্বেষ, তর্কযুদ্ধে ওদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে। বেকার আর থাকবে না কেউ নাম লেখাও প্রার্থীর সমর্থনে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত তুমি চাকরী পাবে সর্বাগ্রে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কমবে মূল্য ঘরে ঘরে বিজলীবাতির জ্বলবে আলো ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাটে চলবে মোটরগাড়ি মানবের হিতার্থে নতুন সরকার সদা থাকবে প্রহরারত। ছলাকলা ও প্রলোভনের রণকৌশলে   বিবেক-বরকতের বিভেদ পৌছায় চরমে জেতানর জন্য জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করে ভিন্ন দলে নাম লিখিয়ে খাটে প্রার্থীর সমর্থনে । ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে, নেতারা সব নতুন সরকার গড়ে প্রতিশ্রুতি'র চাকরীর আশায় ওঁরা নেতাদের দোরে দোরে ঘোরে দিন যায়, বছর যায়, ক্রোধ, হতাশা গ্রাস করে চাকুরী তো দূর অস্ত, নেতারা ওদের চিনতে নাহি পারে । আশাহত হয়ে দুই বন্ধু ফের আসে কাছাকাছি নেতারা সব কূটনীতিতে আমাদের করল ব্যবহার  

পল্লব দাসের কবিতা

ভোটার সময় এলো আর গেল কথাই দিয়েছে সবাই লোকারণ্য কমলে সব কথা হাওয়ায় । সামনে এসে গড়িয়ে পড়লে সান্ত্বনা দিয়ে খবর হয়েছে খাস কাজের কাজ হয় নি শহরজুড়ে ঝুলছে সব মাথা কাটা লাশ । সব বড় বড় কথা গণতান্ত্রিক অধিকার এসবে কিছু হবে না শুধু তৈরি হবে নতুন নতুন ভোটার ।                                

তপন কুমার মাজির কবিতা

ছবি
   প্রতিবাদী কণ্ঠের বিষম ঘায়ে উপর ওয়ালার আস্কারায় গুণ্ডারা এসেছে প্রকাশ্য পথে, দস্তুরমতো সুরক্ষিত করা হয়েছে তাদেরকে অন্ধকার জগতে ! ভোট নামক লোকদেখানো একটি ব্যবস্থায় জনগণকে  বানানো হয়েছে বোকাযন্ত্র, প্রতিবারের মতো এবারও হয়তো গড়ের মাঠে গড়াগড়ি খাবে  গণতন্ত্র...! অতীতে যেমন কেঁদেছিল সে অসহায়ে ভবিষ্যতেও কাঁদবে তেমনই, বুক চিতিয়ে করবে চিৎকার-- খবর নেওয়ার সময় হয়তো হবে না কারোরই ! গোবর-গনেশরা নাচবে-গাইবে  হবে মাতোয়ারা-- কালের কাকাতুয়ারা কোরাসে সুর মিলিয়ে  হবে আত্মহারা ! হাততালি দেবে দু'মুখো দোঁহারী, হাতকাটা ঠুঁটোরা বলবে বলিহারি... এমনিভাবেই আমাদেরকে মুখে কুলুপ দিয়ে দেখতে হবে  আরোও কতদিন  ঠিক জানে না এই মন, তবে নাকে দড়ি দিয়ে অন্ধকারবাসীকে একদিন  টেনে আনবেই আনবে প্রকাশ্য রাস্তায়,  সচেতন জনগণ  ক্ষমতার গর্বে গর্বিত মুকুটকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে, চাবুকরূপ প্রতিবাদী কণ্ঠের বিষম ঘায়ে...! ----------------------------------------------------- তপন কুমার মাজি কোর্টমোড়, আসানসোল পশ্চিম বর্ধমান --------------------------------

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪