এক দুঃস্বপ্নময় অসহ্য সময়ে আমরা "স্বপ্নের উজ্জীবন'' বিষয়ক সংখ্যা প্রকাশ করছি।
এখন "ধর্ম" শব্দটিতে কোনো নিরাময় নেই, শান্তি স্বস্তির ছায়া নেই। কিছু স্বার্থবাজ কৌশলী মানুষের চতুরালি আর গর্ভের মধ্যে কাজ করা জিনবাহী কুসংস্কারের সঙ্গে অশিক্ষা ও দারিদ্র ধর্মকে আজ দুর্বিষহ একটা স্তরে হাজির করেছে। অন্ধত্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছালে স্টিফেন হকিং এর মতো মানুষকে ঠিক তাঁর মৃত্যুর পরই প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গালাগাল দেওয়া যায়? শুধু মাত্র ঈশ্বরবিশ্বাসী না হওয়ার জন্য! আট বছরের এক ফুটফুটে মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে হত্যা করার পরও ধর্ষনকারী-হত্যাকারীর হয়ে গলা ফাটায় তথাকথিত শিক্ষিত(?) মানুষ ধর্ম, উগ্র জাতীয়তাবাদ আর সঙ্কীর্ণ রাজনীতিকে সামনে রেখে?
ধর্মের কারণেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের হত্যা হয়েছে, ইতিহাস তার সাক্ষী। মানবিকতাশূন্য ধর্মের চেয়ে মানবিকতাপূর্ণ নাস্তিকতা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের উচিত অসধর্ম অসবর্ণ বিবাহে জনসাধারণকে উৎসাহিত করা।
যে কোন ফর্ম পূরণে ধর্ম পরিচয়ের জায়গায় "ধর্মহীন" লেখার স্বাধীনতা দেওয়া।
কিন্তু কারা ভাববেন এসব কথা? যাঁরা দেশের কর্ণধার তারাই তো ধর্মকে ব্যবহার করছেন নিজের নিজের স্বার্থে। "নিরপেক্ষ" শব্দের অর্থ 'কোন পক্ষের নয়'। অথচ আমাদের নেতারা সগর্বে আছেন ধর্মের সঙ্গে। সুবিধামতো পক্ষে। নিরপেক্ষতার বুলি তাই ভাবের ঘরে চুরি, পরিকল্পিত চতুরালি।
তবুও মানুষের শুভ চেতনাতে বিশ্বাস রাখি। কারণ সব চতুরালি আর মতলববাজির শেষ গন্তব্য অন্ধকার কালগর্ভ।
তাই আসুন সজাগ থাকি, নিজের ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে মানুষগুলোকে সজাগ রাখার চেষ্টা করি আর এন্তার স্বপ্নে বাঁচি।
সকলকে টিম-নবপ্রভাতের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষের হার্দিক শ্রদ্ধা, স্বপ্নময় শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
নিরাশাহরণ নস্কর ১লা বৈশাখ ১৪২৫
সময়োপযোগী বলিষ্ঠ সম্পাদকীয়। ধ্যন্যবাদ।
উত্তরমুছুনআমরা এবং আমাদের সমাজ কবে প্রকৃত নিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারব?
উত্তরমুছুনসোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?
কালোপযোগী সম্পাদকীয়।
ধন্যবাদ।