সিগনাল
- আজ বাড়ি ফিরতে দেরি হবে একটু , রাস্তা তে আটকে গিয়েছি । বাড়ি ফিরে কথা বলছি ।
বলেই ফোন টা রেখে দিলো সুপর্ণা ।
সুপর্ণা আর অঞ্জন এর বাইক টার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল অভিজিৎ আর তুলিকার বাইক ।
রাস্তা তে আটকে গিয়ে খারাপ কিছু হয়নি চলো একটু দেরি করেই না হয় ফেরা যাক বললো অঞ্জন ।
স্বাভাবিক ভাবেই সুপর্ণার উত্তরও হ্যা ঠিক আছে ।
আচ্ছা তুমি কি পাশের বাইক এর লোক টা কে চেনো তুলিকা ? বললো অভিজিৎ । দেখো উনি তোমাকে চেনে মনে হয় ।
- কৈ ....কোথায় ?
সামনের গাড়ি গুলো একটা একটা করে চলে যেতে শুরু করেছে । ট্রাফিক এর লাল আলোর গভীরতা প্রায় অস্পষ্ট ।
তুলিকার চোখ দুটোও জলে ঝাপসা হয়ে এসেছে ।
এদিকে অভিজিৎ এর একঘেয়ে প্রশ্ন শেষ হয় না .... চেনো নাকি ? কি হলো বলো ?
নিজের মনেই সুপর্ণা বলতে থাকে এ অঞ্জন চলো আর কতক্ষন থাকবে সামনে রাস্তা ফাঁকা ।
জমা থাকা অনেক টা অভিমান কে খোলা আকাশ এ উড়িয়ে অঞ্জন বাইক এ স্টার্ট দেয় । দেখতে দেখতে অনেক টা এগিয়ে যায় অভিজিৎ এর থেকে ।
তবু যেনো অনেক বছর আগের ক্লাসরুম এ একে অন্যের দিকে আর চোখে চাওয়া , মোড়ে ফুচকা খাওয়া , টিফিন এর টাকা বাঁচিয়ে গোলাপ উপহার দেওয়া , পোড়া মন্দির এর পাশে বসে ঝালমুড়ি খাওয়ার স্মৃতি ধাওয়া করলো অঞ্জন আর তুলিকা কে । শুধু ওই মুহূর্ত টুকুর সাক্ষী রয়ে গেলো ট্রাফিক সিগনাল এর লাল আলো টা।
======================================
পায়েল ঘোষাল
বেলিয়াতোড় ,বাঁকুড়া ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন