।।ভারত।।
আমি
হিমালয়
থেকে
যতবার
গেছি
কন্যাকুমারী
সাগরে,
প্রতি
ঘরে
গিয়ে
চেঁচিয়ে
বলেছি
ঘুম
থেকে
সব
জাগো
রে!
আমি
অরুণাচলের
মাটি
নিয়ে
গিয়ে
কচ্ছে
দিয়েছি
মিশিয়ে,
‘ ভারতীয় তুমি’
সবকানে
গেছি
সে
মন্ত্র
ফিসফিসিয়ে।
সবাই
কেমন
কুঁকড়িয়ে
যায় , আমার
এসব
বলাতে,
ভারী
সাবধানে
চারদিক
দেখে, দেখে
আগাপাশতলাতে।
কেউ
সাবধানে
কাছে
ডেকে
নেয়, নিচু
করে
নেয়
ঘাড়টি,
হাসবার
ভানে
বলে
সাবধানে ‘ দাদা
যেন
কোন
পার্টি?’
প্রবল
অবাকে
আমি
বলে
উঠি ‘তোমারই
দেশের
নাগরিক
আমি
আর
তুমি
জন্মভূমির
পতাকাবাহক
পদাতিক।’
ওরা
হেসে
ওঠে, ব্যাঙ্গের
ঠোঁটে
প্রশ্নের
মুখ
ঘুরে
যায়,
‘ ভারতবর্ষ?
কোন
দেশ
সেটা ?’ অপমানে
বুক
পুড়ে
যায়।
‘সবকিছু চলে জাতের হিসেবে,
পরিচয়
লেখা
ধর্মে,
ওসব
লিখেই
আধপাতা
যায়
চাকরি
পাওয়ার
ফরমে।
মারাঠি
মারছে
বিহারীকে
আর
আসামে
খেদায়
বাঙালী,
ভারতীয়
বলে
ডেকে
দাদা
এই
কাঁচা
ঘুম
কেন
ভাঙালি?’
আমার
আঁধার
মুখে
আর
কথা
নেই
একরত্তি,
কি
হবে
আধার
নম্বর
দিয়ে, বিভাজনই
আজ
সত্যি।
ভারত
আজকে
শুধু
পতাকায় , কোহলি
রোহিত
ধোনিতে
জাত
বা
ধর্মে
খণ্ডিত
ভূমি, ভোটের
হিসেবী
গণিতে।
তবু
হেঁটে
যাই
যখন
এদেশে
কাশ্মীর
থেকে
কেরলে,
অস্ত
দেখেছি
গোয়াতে
সূর্য
উদয় অরুণাচলে,
এখানে
দেখেছি
আজও
পাশাপাশি
আজান
আর
রামধুন,
রাম
কে
দেখেছি
দুর্ঘটনায়
রহিমকে
দিতে
খুন
দেখেছি
আসামে
পাশাপাশি
থাকে
বড়ুয়া
বাড়ুয্যেরা,
বিহারী
তামিল
কপোতকপোতী
গুজরাটে
বাঁধে
ডেরা,
হিংসায়
বাঁচা
ধর্মের
ভান
সবার
মগজ
খায়
নি,
যত
হাঁটি
আমি
বারবার
বুঝি
এদেশ
ফুরিয়ে
যায়নি..
দেখো
হে
বিশ্ব, এত
আঁধারেও
ভারত
ফুরিয়ে
যায়নি..
==========০০০==========
আর্যতীর্থ, কলকাতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন