তৈমুর খানের গুচ্ছকবিতা - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

Sunday, April 15, 2018

তৈমুর খানের গুচ্ছকবিতা

বিপুল বৈশাখ

প্রতিটি বৈশাখ নতুন বৈশাখের দিকে হাঁটে
আমাদের বেঁচে থাকা জন্মান্তর পায়
নিজস্ব জানালা খুলি যুগের আকাশে
যদিও বিরামহীন ঝড় বিচ্ছিন্ন স্বভাবে বয়ে যায়

নতুন প্রেরণা এসে এখানে বাসা বাঁধে
হিয়ার নতুন গানে গুনগুন ওড়ে
গর্জনে আকাশ ছায়
তবু তো অনন্ত বৃষ্টি ঝরে

তোমার পরশ রাখি
গোপনে সজীব আলো বিছিয়ে দেয় রাগ
বৈরাগ্যে যাব না বলে
ধুলোর বসনে ঢাকি বিপুল বৈশাখ

আজ সব পংক্তি দোলে
শব্দের দোলনায় নৈঃশব্দ্য দোল খায়
কোন্ ইচ্ছার বাঁশি বেজে ওঠে বুকে
কান পেতে থাকি এই ভোরের নিরালায় ।


জলগান

কৌতুক জলের কাছে বিজ্ঞাপিত হই
বিম্বিত ছায়ার হাসি মিশে যায় জলে
জলও হাসে, জলের ঔরসে
আত্মজনেষু মায়া জন্মায় অন্তরালে

জীবন সত্যের কাছে অন্ধ বাউল
দ্যাখে শুধু জলোচ্ছ্বাস, নত অন্ধকার
চারপাশে ভিক্ষার দেওয়াল দেওয়া ঘর
ঘরে ঘরে মুণ্ডুহীন ধড়, নিঃস্ব করতল

হাততালি তোলে ঢেউ, ভেজা অভিমান
দুপুরও ভেঙে যায়, নৌকায় প্রজ্ঞা পার হয়
কতদূর এসে তারপর জেগে ওঠে মূর্খ হৃদয়
বাঁশ ও বাঁশির কাছে তবু জল ভেজা জলগান  

       
সংশয়ের সিলেবাস
 
নিজেকে গড়ানোর প্রক্রিয়া কী
সমাজের কীভাবে উন্নতি হবে
কল্যাণ কল্যাণ বলে যাকে ডাকি
সে কি প্রকৃত কল্যাণ  ?
এসবই সংশয়ের সিলেবাস
রোজ সূচিপত্র দেখে দেখে
ধ্বংসাবশেষ হাতড়াই
সময়ের মরালাশ বজ্রের আলোয় চকচকে
বিভূতি উড়িয়ে দেখি শুধু হাড়
বেঁচে থাকা যদি নদীর মতো হয়
বিশ্বাস যদি পাহাড়ের মতো
তাহলে ধ্বংসাবশেষই সংশয়
আলো জ্বেলে কিছুই দেখা যায় না
অথচ অন্ধকারে স্পষ্ট হয় কল্যাণের মুখ
*******************                                                                                                                                                                                               তৈমুর খান 

রামপুরহাট, বীরভূম

 

     



No comments:

Post a Comment