সাঁতরাবার সাধ
অধিক
রাতে ঘুমসন্ধানী আমরা, জেগেথাকা শ্রমজীবী
পানাভরা বুক
থেকে উঠে আসা কুসুম ভোর দেখি না,
স্তব
চিবিয়ে
চিবিয়ে
পেরিয়ে
যাই না ঊসর প্রান্তর, প্রথম আলোয়
জানি
তো রোদ্দুর নিতে হবে প্রখর, জানি তো বিকেল তত কাছে
অন্ধকার আর
তার চেয়ে গাঢ় অন্ধকারে সাঁতরাবার ইচ্ছে আছে,
একটা
রাত না ঘুমোলে চোখেরা এতটুকু বিচলিত নয় আর
নিরন্ন এক
মধ্যাহ্নে
কুড়োবার
মতো প্রেম দেয় মুষ্টি উপচে--
গোগ্রাসে গিলে
বিবমিষা
বোধ -- সে তো শোধবোধ, তাতে না
শুধু
যে আঙুলে ছুঁয়ে বলে দিতে পারি প্রত্যেক সান্দ্র বা তরল
না
দেখে ভবিতব্যের ধ্বংস প্রলাপে রাখি না মন বা মনন
বলি, চলোই না খেলাটা সম্মকভাবে দেখা যাক, নিরবচ্ছিন্ন
রাত
যতো হোক,বয়স যতো হোক,বাতাস যতোই ঝড়ের মতো হোক
গভীরভাবে গভীরে দেখতে পাবো
কালোয়, আছে এক স্বতন্ত্র চোখ।
স্বপ্ন সংক্রান্ত বিবৃতি
স্বপ্ন দেখার মতো একটা
নিপাট ঘুম ছিল আমাদের
স্বপ্নের জন্য একটা সৎ
জাগরণ,
হাজার অক্ষম, অসাধ্য
নির্মাণ--- আপ্রাণ নিতাম স্বপ্নে
আজ সমস্ত আশ্লেষ ততটা
ক্লান্ত করেনা, উসখুস করে
লোভেই নিশপিশ করা হাতে, হয়
না কোনও মতে শক্ত মুঠি
ঘাড় ধরে তাড়িয়ে দিয়ে
নি:শব্দে বলেছি, সততা তোমার ছুটি
সমস্ত রাত ছক কষে কষে
ঘুমকে অবান্তর বলতে শিখেছি
কায়দা করে বাঁচা,কৌশলে
অনুশীলিত করে তুলেছি অভ্যেস
ভাবতে শুরু করেছি রাতের
অছিলা এড়িয়ে ঘুমের ব্যবচ্ছেদ
লিখেদিয়েছি আচরণবিধির
গায়,স্বপ্ন-- স্বাস্থ্য সম্মত নয়,
অকাতর বিছানার আশ্রয় থেকে
সকাল হতেই ঝাঁপানো যুদ্ধ জয়
স্বপ্ন দেখার মতো একটা
নিরলস ইচ্ছে ছিল আমাদের
প্রেম সর্বস্ব একটা
মনুষ্য হৃদয়,
শক্তি, ক্ষমতা, দখল,
প্রভুত্ব--- না, আজ আর দু:স্বপ্ন নয়।
******************************
******************************
অনিরুদ্ধ সেন (সুব্রত)
গ্রাম ও পোষ্ট -ধর্মপুকুরিয়া
বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন