স্বপন
ক্লাসরুমের
চৌকাঠে একঠায় কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপন নিস্পলক দৃষ্টিতে দেখছিল তন্দ্রাকে। কি
অপূর্ব দেখাছে! সূর্যোদয়ের নরম রোদমাখানো গৌরচিকন
মুখখানা যেন কোন অচিন দেশের মায়াবী রূপকথা -- এক শ্যামল আত্মীয়তা। কিন্তু ও কি ? তন্দ্রা তো বুঁদ
হয়ে আছে ফার্স্ট বয় ধীমানের পড়া শুনতে----
স্বপনের
সারা গায়ে কে যেন আগুন ধরিয়ে দিলো। তীব্ৰ জ্বালায় বুক তার মোচড়
দিয়ে ওঠে। মেজাজ টা তেতো হয়ে যায়, হায়
বিধাতা! বিশ্বসংসারে এই অনাথের কি কিছুই জুটতে
নেই। টানটান শিরদাঁড়ায় স্বপন শপথ নেয়, সকল দারিদ্র, দীনতাকে হারিয়ে একদিন তাকেই রূপকথার নায়ক
হতে হবে।
এর পরের ঘটনা সত্যি
স্বপ্নময়। কঠোর
অধ্যবসায় ও নিরলস পরিশ্রমে ভাগ্যদেবী মুখ তোলেন। স্কুল, কলেজের যাবতীয় পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে স্বপন আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। ভুবনজোড়া
নামডাক, খ্যাতি ও বৈভবের চূড়াশৃঙ্গে
একা স্বপন কিন্তু আজও তন্দ্রামগ্ন, স্বপ্নসন্ধানী...
সন্তু চ্যাটার্জি, আসানসোল
সাফল্য কি সত্যিই না পাওয়ার বেদনা কে অতিক্রম করতে পারে?
উত্তরমুছুনঅনুগল্প হিসাবে গল্পটি সার্থক।
ধন্যবাদ