আলোকাভিসার
সবাই স্বপ্ন দেখছে
জটাজাল ছিঁড়ে বেরোবার পথ খুঁজছে
একটা আলোর বৃত্ত হাতছানি দেয়,ডাকে
এই দেখো আমি।
আমি কি অন্ধকারে আছি ? বেমক্কা প্রশ্ন শুনে বুকের ভিতর
কে যেন প্রশ্ন করে : আলো কাকে বলে ?
আলোতে কি আছো তুমি ভালো করে দেখো !
আলোর ঠিকানা খুঁজে কত মেধা কত ঘাম
ঝরেছে নীরবে, জানোনা সেসব ?
টুঁটি ধরে শূণ্যে তুলে
ছুঁড়ে যে মাটিতে ফেলে, কে ?
ঘাম ঝরছে টগবগ ফুটে উঠছে মেধা
খেঁজুর রসের মত তাপ পেতে পেতে
একদিন গুড় হয়ে যাবে
গুড় ভাবলেই গূঢ় কিছু কথা
ভ্রু নাচিয়ে বলে :
মনে আছে সব ? ডু আর ডু-নট !
সব মনে আছে
মনে না রাখলে পরে এগোবো কিভাবে
এই ঘুপচি ঘরে থেকে বড় হয়ে গেছি
বড় নয়, বয়স বেড়েছে
কিছু কিছু অভিজ্ঞতা
মাথার গুপ্ত কোষে পণ্ডিতের মতো লুকিয়ে থেকে
আমাকে চালিত করে কাম্যের দিকে
কাম্য.... কাম্য তুমি সাম্য দিতে পারো ?
না পারো তবু তোমাকেই চাই
এগিয়ে চলেছি রোজ অধরা আলোর দিকে
ভুলত্রুটি সব খড়কুটো ফেলে রেখে
পাশে পাশে তুমি ও তোমরা
শস্যকণা জড়ো করি ভবিষ্য রসদ
জানি একদিন
করতলগত হবে আলোর আকাশ
লক্ষ্য থাক স্থির
আমাকে অপাঙক্তেয় করে দেবে
কে আছে এমন ?
আলো নেবে আলো ? চাই তো বটেই
জনারণ্যে এসেছি যখন
ক্ষেত্রে নামি ক্ষেত্রে নামি উপযুক্ত হই
তুমি আমি প্রতিযোগী শত্রু তো নই
অরণ্যের গাছগুলি একথা তো জানে কোনকালে
জনারণ্যে দেরি কেন...... চলো সিঁড়ি ভাঙি !
-----00-----
কান্তিলাল দাস
কিস্মৎ-অপূর্বপুর
(বেলতলা লেন)
সিঙ্গুর, হুগলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন