স্বপ্নের পৃথিবীতে আমার ভারত
থাকতো যদি টাইমলাইন আমার কাছে,
কিছু অতীত বদলে দিতাম।
ক্ষমতা থাকতো যদি পৃথিবীটার অল্প অংশকে নিজের স্বপ্নে বোনবার,
ভবিষ্যৎটাকে সুন্দর ভাবে সাজাতাম।
ইতিহাসে যদি ব্রিটিশরা না আসতো আমাদের দেশে,
আমরা স্বাধীন হতাম সংগ্রামীদের না দিয়ে বলি।
জাতির ভেদাভেদ যদি ইতিহাস না করতো,
তাহলে আজ এক জাতির হতো না শত্রু অন্য জাতি।
যদি সেদিন আমাদের সুবিস্তার বাংলাটা ভাগ না হতো,
তাহলে আজ আমাদের বাংলার আধিপত্যটা হতো অনেক বেশি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসকে যদি আমরা না হারাতাম,
ভারত স্বাধীন হতো অনেক আগেই গুরুজনদের বলতে শুনেছি।
ভারতের প্রতি হিংসায় যদি লিপ্ত না হতো সেই বিস্ফোরক গোষ্ঠী,
শয়ে শয়ে মানুষ প্রাণ হারাতো না মুম্বাইয়ের ২৬/১১ তে।
একা দুজন ছেলে-মেয়েকে দেখে যদি সেদিন ওই কুলাঙ্গারগুলো পাশবিকতা না দেখাতো,
তাহলে দেশের আরেক ভবিষ্যৎ নারী নির্ভয়াকে অকালে শরীর হতো না হারাতে।
ভারত যদি উপজাতিদের প্রতি অতিরিক্ত উদারতা না দেখায়,
তাহলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য আত্মহত্যা করতে হবেনা বেকার ছেলে-মেয়েকে।
নেশা শরীরের জন্য হানিকারক বিজ্ঞাপন না দিয়ে যদি এগুলো উৎপাদন বন্ধ হয়,
তাহলে আর মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে না এই নেশায় আসক্ত হয়ে।
মেয়েদের সুরক্ষার জন্য তাদের বাড়িতে না বসিয়ে যদি ছেলেদের শিক্ষায় ধ্যান দেওয়া হয়,
তাহলে প্রতিদিন হবেনা মেয়েদের ধর্ষণ, অ্যাসিড অ্যাটাকের শিকার হতে।
বাড়ির বয়স্কারা যদি নতুন বউয়ের প্রতি হিংসাত্মক না হয়ে ওঠে,
তাহলে হবেনা ঘরে ঘরে মেয়েদের স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে।
আমার স্বপ্নের জগৎটা যদি সত্যি হতো আমার ইচ্ছায় চলমান,
তাহলে দেখিয়ে দিতাম রক্ত ছাড়াও লাল রঙ থাকে গোলাপে।
হিংসা, বিদ্বেষ, লালসা, ধনের লোভ যদি সত্যি মেটাতে পারতাম,
তাহলে হয়তো অন্তত এই রক্তাক্ত ভারতকে ভরিয়ে দিতাম সবুজে।
স্বরূপা রায়
ভারতনগর, শিলিগুড়ি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন