google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re অরূপ সাহার দুটি কবিতা - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

অরূপ সাহার দুটি কবিতা


"যুগান্তর "

আলোর মশাল জ্বালিয়ে দিয়ে
নিশীথ রাতের অন্ধ ধুয়ে
ধরার মাঝে কে গো এলে
বিশ্ব জ্যোতির্ময়।

প্রভাত বেলা আলোর খেলা
ঘাসের ওপর শিশির মেলা
আকাশ গাঙে মেঘের দোলা
বিশ্ব চরাচর।

দিনের শেষে আঁধার এসে
গড্ডলিকায় গা ভাসিয়ে
একটুখানি মুচকি হেসে
করল বিশ্ব আঁধারময়।

নিশীথ রাতের আঁধার হতে
মুক্তি দিতে জ্যোৎস্না আসে
মাঝে মাঝে তাই বিশ্ব হয়
মৃদু আলোকময়।

পঞ্চভুতের সঙ্গী করে
আঁধার হতে বিশ্ব মাঝে
আলোর শিখা জ্বালিয়ে দিতে
আসছে যুগান্তর।

অমা রাতের বক্ষ চিরে
আসছে যুগান্তর।


সেই মেয়েটি


একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল
দিঘির পাড়ে নদীর কূলে,
চরণ দুটি স্পর্শ করে
জলের তোড়ে মিষ্টি সুরে ।
আলতো বাতাস বয়ে চলে
স্পর্শ করে তনু তারে ।
মুখখানি তার মিষ্টি মধুর
সবাই দেখে যাচ্ছে সুদূর ।
রবি তাকে ঈর্ষা করে
দেখলে তারে দূরে চলে ।
হঠাৎ দেখি সেই মেয়েটি,
দেখতে পেল পাষাণ ঘাঁটি ।
কাহার যেন কন্ঠ শুনে,
পালিয়ে গেল দৌড়ে ছুটে
আঁচলখানি পড়ছে লুটে
চরণতল স্পর্শ করে ।

সেই মেয়েটি খানিক দূরে
দৌড়ে গিয়ে থমকে পরে,
হঠাৎ দেখে পক্ষীছানা
প্রথম জীবন মেলছে ডানা ।
সেই দেখে সে আনন্দতে
লুটিয়ে পড়ে নদীর তটে,
বালু তারে স্পর্শ করে
দুষ্টু ভেবে আঁকড়ে ধরে ।
দৌড়ে গিয়ে নদীর জলে
চুপটি করে ডুবটি মারে ।
জল দেখি হঠাৎ কেঁপে
আপন ভেবে সিক্ত করে ।

হঠাৎ দেখি সেই মেয়েটির
বক্ষ মাঝে ছাগলছানা ,
ছিন্ন তৃণ খাইয়ে দিয়ে
সে সত্যি যেন অন্নপূর্ণা ।
দিনের শেষে রাত্রি এল
অন্ধ গেল প্রভাত হল ।
আকাশ বাতাস উচ্ছ্বসিত
আনন্দে আজ মুখরিত ।
নবপ্রভাত নবীন সাজে
প্রস্ফুটিত গগণমাঝে
প্রভাত আলোয় উঠছে ফুটি
থসূর্যমুখী সেই মেয়েটি ।
===০০===

অরূপ সাহা
মগরাহাট, দঃ ২৪ পরগনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন