পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। অঞ্জনা দেব রায়

ছবি
  আয়োজন কখনো রং লাগে কখনো উজ্জ্বল হয় বাতাস যথাসাধ্য উড়িয়ে নিয়ে যায় তাকে কোনো কোনোদিন দরজা দিয়ে আমার ঘরে এসে থামা, আমি তার শুভেচ্ছা মাথা পেতে নিই - সমস্ত দিন টা শীতল থাকে । বহুদূরে অচেনা কেউ একজন  আমার জন্যে গান রচনা করছে  ভাবলে হৃদয় কেঁপে ওঠে  একদিন বাতাস আমার ঘরে  তাকে নিয়ে আসবে  ওই দিনট কত যে সুখময় হবে । তোমরা সবাই দরজা খুলে রাখ  ওই বাতাস ফুল উড়িয়ে নিয়ে আসছে পাপড়ির গায় এতোটুকু রং যায়নি  যায়নি উজ্জ্বলতা  দেখবে ঘরের মধ্যে তার জন্য  অনেক আয়োজন আছে ।

কবিতা ।। অমিত পাটোয়ারী

ছবি
পনেরই অগাস্টের সকাল স্বপ্নের ভেতর মাইকেলবাবু কান মুলে বললেন, কী স্বপ্ন দেখেছিস বল ? — সিঁড়ির ওপর ওরা হেঁটে যাচ্ছিল। ওদের মুখ কখনো দেখা যায় না। যদিও আমি চিনি। আফটারঅল আমারই তো স্বপ্ন! তরুন হরভজন সিং-এর মতো ডানহাতে পাম্পের ভঙ্গি ক'রে বললাম, ইয়েস... ইয়েস... সেই মুহূর্তে হলে কী ভীষণ হাততালি! সেই মুহূর্তে হলে কী আনন্দ...  উত্তেজনা... মাইকেলবাবুর পিরিয়ড শেষ। হাসতে হাসতে তিনি ভ্যানিশ হয়ে গেলেন। কাঁধ চাপড়ে দিয়ে সুকান্ত বললো, কংগ্র্যাটস্ ভাই! — যেন অল ইন্ডিয়া ক্যুইজ় জিতে এসেছি, এইরকম একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলাম ওকে! প্রথম ম্যাডাম দরজায় এসে বললেন – শুনলাম। ভালো লেগেছে। — আপনি কোথায় দেখলেন ? —আমাদের ফোনে কথা হয়ে গ্যাছে।                                  ভ্যানিশ দ্বিতীয় ম্যাডামকে আমি টিভি সিরিয়ালে, ওয়েব সিরিজে, বিজ্ঞাপনে... মাটি ফুঁড়ে সোজা বসে পড়লেন একেবারে পিছনের বেঞ্চে। পজ়... পজ়... লাল রঙের ব্লাউজ় , মুখের সামনে...পজ়। চশমা পরা বামাক্ষ্যাপা হঠাৎ প্রশ্ন করলো — দাদার নাম কী বৌদি ? আকাশ বাতাস বিদীর্ণ ক'রে পনেরই অগাস্টের সকাল বলে উঠলো — অরুউউউন গোভিইইইল। ঘুম ভাঙতেই দেখলাম, গোটা পাড়ার প্রায়

কবিতা ।। সুমিত মোদক

ছবি
নতুন ভারত গড়ছি সাজছি আমি সাজছি , রণ সাজে সাজছি ; কপালে আমি ত্রিবর্ন রঙ আঁকছি ; সাজছি আমি সাজছি …     মা যে আমার , ডাক এসেছে ওই ; চারিদিকে কেবল শুনি – মা-ভৈ , মা-ভৈ …     আমি কি করে আর ঘরে বসে বসে থাকি  মা ! আমার আরেক মা যে ডাকছে ; আমার দেশ মাতৃকা , আমার ভারতবর্ষ ;     রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি করা যেনো কাঁটা তার গলে ঢুকে পড়ছে  এপারে ! কারা যেনো সীমারেখা  লঙ্ঘন করছে ! আমি যাবো মা , আমি যাবো … সীমান্ত রেখা বরাবর আমাদের যে বীরসেনানী  দিন-রাত এক করছে , পাহারা দিচ্ছে ,  বুক পেতে আকলে রেখেছে আমাদের , আমাদের ভারত ভূমিকে ; আমিও সেখানে যাবো মা , সেখানেই যাবো …     সীমারেখা অতিক্রম যে  করে ঢুকে পড়েছে  মহামারী ; সেখানেও আমার খুবই প্রয়োজন , খুবই দরকারি ;     এ দেশ, সনাতন পরম্পরার দেশ ; এ দেশ, বৈদিক উচ্চারণের দেশ ; এখানে আমার মনুসংহিতা , আর্যভট্ট  … এখানে আমার চরকসংহিতা , কৌটিল্য … এখানে আমার রাম-রাবণের যুদ্ধ , অকালবোধন ; এখানেই বাজে পাঞ্চজন্য , বাঁশি-মোহন …     যে মাটিতে সোনালী ধান ফলে ; যে মাটিতে সোনালী গম দোলে ; সে মাটি যে আমার , আমাদের ; আমাদের পূর্বপুরুষের সাধনভূমি , আমাদের মাতৃভূমি , এ ভারতবর্ষ

দুটি কবিতা ।। দেবাশিষ সরখেল

ছবি
অর্থহীন   ফোন করলাম, সুইচ অফ। সেকেন্ড সেটটার উত্তর, গ্রাহক পরিষেবা সীমার বাইরে। এবার বন্ধুকে ফোন করি, হদিশ নেই। লজ্জার মাথা খেয়ে ওর মেয়েবন্ধুকে। না, সেও জানে না। বরং তাকেও উলটো উদ্বেগে ফেলে দেওয়া হোল। ২১০০ কিলমিটার দূরে থাকে, কী করি এখন। রাত ৯ :৩০ টা , কাজের যায়গায় যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা হবে না। হঠাৎ রিং ব্যাক। -ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, কিচ্ছু ভেবো না, বিন্দাস আছি। কথা বাড়ল ণা। ও ফোন করলে আমিও প্রায়শ ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক পরে রিং ব্যাক করলে রাগ, অভিমান আর দুচোখে উৎকন্ঠার ধারাজল। আজ নিজের উদ্বেগের নিরিখে তার উৎকন্ঠা পরিমাপ করার চেষ্টা করি। তল পাই না। এই পার্থিব জীবনে দুজন দুজনের সাথে জড়ানো, দূরত্ব অর্থহীন।   একা নয়   সব্যসাচী এখন একলা নয়, দুজন মানুষ। নিজের সাথে আড্ডা দেয়, গল্প করে। একজন আরেকজনকে গাল দেয়, ভালোও বাসে। রাতের কাঁটা ১১টা ছুঁয়েছে। দু-দুটো ঘুমের ঔষধ গেলা হয়ে গ্যাছে, এবার কণ্টকশয্যার ভেতর এক ফুলশয্যার ভেতর যাবে। বউ বুবু কথা বলে না। চ্যাট করে ফোনে। সব কলহাস্যময় জোয়ান মরদ। সব্যসাচীর কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। মানে তার ভেতরের আগুন, রস, রক্ত

কবিতা ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
নবদৃষ্টির গুচ্ছকবিতা ১ ধীরে ধীরে প্রিয় হয়ে উঠছে আটপৌরে বারান্দাটা কাজের চাপে কখনো মাপা হয় নি তার                                                          উদারতা  ২ খুব কাছাকাছি চলে এসেছে দেওয়াল ঘড়িটা  কখনো দেখা হয়ে ওঠেনি যার কাঁটাগুলির                                                         তীক্ষ্মতা ৩ মনে জায়গা করে নিয়েছে ছাদের ছোট্ট বাগানটা যার থেকে শুধু ফুল নিয়েছি, অনুভব করিনি তার                                                        মনের ব্যথা  ৪ হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকে ওই পুরনো দেরাজটা আমি প্রায় বিস্মৃত হয়েছিলাম যার অকৃপণ                                                         গভীরতা ৫ রোজ দেখে মুগ্ধ হই সামনের ঝাঁকড়া গাছটা যা অকাতরে আমায় দিয়ে যায় হৃদয়ের                                                         শীতলতা ৬ অসময়ে কিছু বন্ধু পেলাম, দূর হল মনের দীনতা এত কাছে থেকেও বুঝিনি যাদের নিঃস্বার্থ বন্ধুতা   =======================                                                                                                   

কবিতা ।। জুলি লাহিড়ী

ছবি
গন্ধ স্বপ্নে আমি পেলাম খুঁজে পরীর দুটি ডানা যাব উড়ে নিরুদ্দেশে, কেউ করবে মানা? একফালি চাঁদ উঁকি মারে গাছের ডালের ফাঁকে দুহাত মেলে রাতের আকাশ হয়তো আমায় ডাকে। বাতাস ফুঁড়ে যাবো উড়ে দূরে অনেক দূরে মেঘের হৃদয় চিরে আকাশ মিশেছে সমুদ্দুরে। সেই দেশেতে আমার মায়ের গায়ের গন্ধ ভাসে লক্ষ লক্ষ তারার মাঝে লুকিয়ে মা যে হাসে। ================= জুলি লাহিড়ী সাঁতরাগাছি জগাছা হাওড়া *********

কবিতা ।। মঞ্জীর বাগ

ছবি
ধান ঘ্রাণ জল আয় আয়, ডাকে। বীজ ধান মাঠ  আমার ঠাকুরদার বীজ ধান ছিল,মাঠ ও তবুও  হাল ধরেন নি কেবল স্বপ্ন বুনে বুনে দেশের মাটি ঘ্রাণ।।  দেশের পতাকা ওড়ার স্বপ্নের জন্য পথ হেঁটেছেন মাইল মাইল  সমুদ্রের জল ফুটে জীবনভর বুনেছেন  তিনটি রঙের উড়ানের পতাকা  একটি ভোরে তার রক্তের লাল ধুয়ে দিল মাটি ভোরের গন্ধে মিশে আছে তার সুর মাটির গন্ধে পূর্বের গান পতাকা উঠলেই,   স্বপ্ন ধান ওড়ে পোড়া বাদ্য বাজনার কথা আধপোড়া শরীর আজও কথা বলে। অমলিন কিশোরী দিন  পোড়া আধপোড়া দীর্ঘশ্বাসে দাবানল  গাছের মতো কথা বলে ঝলসানো শব  পূর্বজ বলেন আকাশে শকুন উঠলে  বড় কঠিন সময়। আকাশের রক্ত রং  শকুনের ডানায় বাতাস থামে  শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর  শয়তানের পোষা ভৃত্যের র দল  বাদকের ছদ্মবেশে সম্মোহনের বাজনা বাজায়  সেই বাজনায় মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ  দুপা ছেড়ে চার পা হয়  তারপর তীক্ষ্ণ শ্বাদন্ত নখ এমন হিংস্র  দাঁতে ছিঁড়েছে স্বপ্নিল মৃগী   ======================

কবিতা ।। রঞ্জন চৌধুরী

ছবি
কবিতায় সাঁকো বাঁধা পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল - - - - একে কি বলবো ? ঝরনা বলি ! না বেসামাল পাহাড়ি ভালোবাসা !  নীচে স্ফীতকায় জলাধার রঙিন মাছেদের চলাফেরা; ওপরে নীলাকাশ, উদাসীন, মূক প্রজাপতি হয়ে মেলে ধরেছে ডানা । ভূর্জপত্রে যা লিখি তা সব কবিতা নয় পূজাপার্বণ শেষে হাত পেতে যা নিই তেমনি প্রসাদ কণা। প্রদীপের মুখে বসে দ্বীপশিখা যদিও গোপনে রাখে এসব জোনাক কথা তবুও, একাত্ম হই, ডিমের খোলস ভেঙে দৃষ্য ও শব্দের উষ্ণতায় মধ্যবিত্তের পূণ্যপুকুরে নৌকো ভাসাই আর রাস্তা ফুরিয়ে গেলে মুখোমুখি হই নি:সীম অন্ধকারের নগ্নতায় - - - - এমনি একমুঠো সম্বল আমার এমনি অক্ষরের সুতো জুড়ে জুড়ে                     কবিতায় সাঁকো বাঁধা।                              **** রঞ্জন চৌধুরী । আর. জি. পল্লী। (মা সারদা শেলাই স্কুলের পাশে)। সোনারপুর। কলকাতা - ৭০০১৫০ । চলভাষ :৭০৪৪৯৩৩১৪৮(WhatsApp) / ৬২৯০২১৪০৭২  

দুটি কবিতা ।। হাবিব মণ্ডল

ছবি
(১) বাড়িয়ে দাও পা আবহমান পথের মাটি ভেদ করে মুখ তুলেছে বিষাঙ্কুর । অনুরাগের আকাশ থেকে ঝরছে শকুনের বিষ্ঠা                         গোগ্রাসে খাচ্ছে মাখছে আমার ভাই। ঝরিয়ে দিচ্ছে দুর্গন্ধ ঢেকুরে গাছের পাতা।  পিছুটান হত্যা করে বাড়িয়ে দাও পা।  ঘরে থাকতে নেই এখন, এসো বর্ষণ করি আগুন-কুয়াশা।  চোখের তীব্রতায় শুষে নিই হিংস্রার আঘা।  চলো যুদ্ধের নিশান ওড়াই, বজ্রকন্ঠে ছুড়ি হাত।  আর ঘরে থাকা নয়; পক্ষঘাত হবে মায়ের অশ্রুসক্ত চোখে যদি থেমে যাও! নপুংসক বলবে প্রেমিকা। (২) দাম্ভিক পা কষ্টেরা ভাষাহীন হয়ে গেলে শরীরে হতাশার আচড় দেখি প্রিয় আগুন স্পর্ধিত হয় ভস্ম খেলতে তখন চাঁদ ভাল লাগে না, চাঁদের আলোও না ইচ্ছে করে না পাখি হতে, এমনকী বৃষ্টিও না অপেক্ষা করি একটা সুখ সুখ মৃত্যুর ইচ্ছে করে ঘাস হতে; কেবলই ঘাস নির্বিশেষে মাড়িয়ে যাক শত শত দাম্ভিক পা   =============== হাবিব মণ্ডল রমাকান্তবাটি দক্ষিণ বারাসত দক্ষিণ ২৪ পরগনা

দুটি কবিতা ।। সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  দেহাতি সন্ধা তারা তারপর। তারও পর। তারও অনেক পরে কাঠের বোঝার মতো গোধূলি মাথায় নিয়ে খাদান ফেরা মেয়েটি যেন সন্ধা তারা। চলতি রূপের ছটা নেই। আছে ভরা শরীরী দমক, কয়লারস্তরের মতো কুঁদে রেখেছ দেহজ বিন্যাস, যেন কৃষ্ণকায় মেঘের আস্তরণ ঢেকে রেখেছে ঝরণার গূঢ় শুভ্র উদ্দামতা। একদম মুখোমুখি হাঁটুমুড়ে বসে আছে সম্মোহন চোখের পলক পড়ে না। মুখে হড়িয়ার গন্ধ। চোখে না বলা কথাসাগর। রক্তে ইশারা। রাস্তার নির্জনতা ও লোলুপ চোখ টপকে দেহাতি সন্ধ্যা তারাটি, জোনাকি আলো আঁচলে বাঁধতে বাঁধতে পৌঁছে যায় কুলি বস্তিতে। খিস্তি খেউড় আর খিদের ভজনারতির মধ্যে বিচিত্র পোকার মতো সে একটু একটু করে  সেঁধিয়ে যায়। জীবনের এই তথ্যচিত্র  প্রতিদিনই রাত্রি এসে ঢাকা দিয়ে যায়, জেগে থাকে শন ছাওয়া কুঁড়ের মাথা গুমরে মরা কৃষ্ণকায়া  বিরহ ও যাতনা, কুঁড়ের ভিতর থাকে খাদানের প্রস্তর ভাঙা  হীরের মতো উজ্জ্বল দেহাতি সন্ধা তারা!!                      /*\   কবিতা পাঠের আসর এই প্রথম আমার তীর্থের কাক দর্শন ছড়ানো বেঞ্চের ওপারে একটি টেবিল দুটি চেয়ার ,তিন জন অতিথি,একজন ওয়েটিং-য়ে একজন  চলে গেলেই ওয়েটিং অতিথির উসখুস চেয়ারের বাসনা উইপোকার মতো ফরফরে! কবিতার পর কবিতা

প্রবন্ধ ।। তপন তরফদার

ছবি
নব কলা পাত্রে শিক্ষা চিন্তন প্রায়  ত্রিবিংশ বৎসরের পার  করিয়া নতুন  শিক্ষা নীতিমালা প্রনীত হইবে। প্রত্যেকে  আমরা প্রত্যেকের তরে। অতএব  আমরা  সবাই চিবুকে হস্তক্ষেপ করিয়া ভাবিত।   'আহা কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে' - সত্যজিৎ ও রায় দিয়েছেন শিক্ষাপ্রণালীর পরিবর্তনের। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী অনুপ্রাণিত হইয়া স্থির করিয়াছেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ম করিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ লইয়া ইতিহাসে উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক হইবার নজির রাখিয়া যাইবেন। সম্প্রতি ইচ্ছাটি প্রসব বেদনার মতোই চাগাড় দিয়া উঠিয়াছে। বাংলা ভাষার বর্ণ পরিচয়ের জনক বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে খানখান করিয়া চূর্ণনে জন মানসের নজর কাড়িয়াছে। ইতি পূর্বে জাতির জনকের এক ও অদ্বিতীয় লাঠি অপহরণেও এই রূপ শোরগোলের উত্তাপ বঙ্গবাসী পায় নাই। শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরেজমিনে সবিস্তারে জানিতে হইবে। নতুন ধাঁচে নবকলেবরে বিদ্যাসাগরকে স্থাপন করিতে হইবে। বিদ্যাসাগরের দ্বিশতক খন্ডিত অংশ অবলোকন করিয়া সুপ্ত বাসনা জাগরিত হইল শিক্ষামন্ত্রীর - আমাকেও শিক্ষাব্যবস্থা লইয়া চিন্তাসূত্র প্রয়োগ করিতে হইবে।  আমার ও মূর্তি এখানে সেখানে স্থাপিত হইবে একদিন। যথারীতি মূর্তি ভাঙিল

কবিতা।। ওয়াহিদার হোসেন

ছবি
উদ্বাস্তু ছাইয়ের ভেতর থেকে জ্বলে উঠবে  আমাদের উদবাস্তু চোখ ক্ষুধার তাড়না থেকে  ভুখা পেট নিয়ে  হাজার মাইল হাটার প্রেরণা নিয়ে আমরা ঠিক উঠে দাড়াব ঠিকঠাক উঠে দাড়াব মনে হয় হ্যাঁ  ====================  ওয়াহিদার হোসেন।।  রাঙ্গালিবাজনা।।আলিপুরদুয়ার।

কবিতা ।। স্বপ্না আচাৰ্জী

ছবি
"সুরের ছোঁয়া "  গাইছে আকাশ , গাইছে বাতাস ,           গাইছে দেখো নদী , আমিও গান গাইতে পারি ,             তুমি শোনো যদি । নদীর জলে শ্যাওলা ভাসে -----             নেই তো কদর্যতা , গান শুনে মুচকি হেসো ----             না থাকুক মুগ্ধতা । না থাকুক শ্রুতি - মধুরতা ,               থাকুক অপার বিস্ময় , সুরের ছোঁয়ায় যদি তোমার ,                 শিহরণ টুকু হয় । গানের ছন্দে , মনের আনন্দে ,                পাখনা মেলি যখন ----  দু'হাতের মুঠোয় বিশ্ব ধরি                 তোমাকেও পাই তখন । বিনি সুতোয় গাঁথি মালা --                 সুরকে সাথে নিয়ে , আকাশ , বাতাস , সাগর , পাহাড়                  সবার পরশ দিয়ে ।। ==================== স্বপ্না আচাৰ্জী । প্রযত্নে : সুরথ চন্দ্র তালুকদার । 102 , গান্ধী নগর । ব্যাংচাতরা রোড । পোঃ + জেলা : কোচবিহার । পশ্চিমবঙ্গ । সূচক : 736101 

দুটি কবিতা ।। শ্যামাপদ মালাকার

ছবি
দস্তখৎ এখন উর্বর মাটির মতোই সতর্ক উপাধানটি, শুধু কি বিনেপয়সায়! কতো রাত হত্যা করে.... ক্ষুদ্র হোক না কেন, পাশফেরা অপাঙ্গের ফোঁটা'দুই বৃষ্টি পেলেই কিশলয়টি মহীরুহ হয়ে উঠে...সর্বদা নিমেষহীন দৃষ্টি একটি মাখিয়ে রাখি যদি একশ্লেট  পেনসিলের বদলে আঁচলসমেত একগ্লাস ফুল পাই... পাপড়ির অতলতলে সজল দু'টিচোখ তার জেনে যাবে- কতটা আগুন মাখলে ফকির লালন হওয়া যায়... তোমার গল্প   এই যে তুমি বললে-" মা' যদি কোনোদিন বলে ওঠে- একটা নিজের জন্য গল্প লেখ দেখি! তোকে ছেড়ে যাবার আগে জেনে যেতে চাই---তুই কতোটা সুস্থ!" কি হলো, খুব কি অপ্রাসঙ্গিক?--বলতেও তো পারে- - যতবার ভাঙ্গাচুরা মনের দু'একটি কথা লেখার চেষ্টা করেছি, ততবার তুমি পথ আগলে দাঁড়িয়েছো! মাঠ-ঘাটের গন্ধে ভরা একতারাটার মতো বেজে উঠেছো। আজ আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের মতোই তুমি অন্তরময়! সত্যের সরলতা নিয়ে ভালো আছি বলে আমরণ মিথ্যে বলেছি। আর একটা মিথ্যে বলবো, যদিও- আমার একতারাটা তোমার শহরের গল্প বললেও তুমি আমার একতারার গল্প কখনো বলোনি।" চমৎকার দেবী! চমৎকার! এই যে তোমার গল্প তুমি না বললে আমি শুনবো কি করে বলতো...

কবিতা ।। কার্ত্তিক চন্দ্র পাল

ছবি
অনৃত পায়চারি-চাঁদ অল্প আকাশ দুধেল আলো, দরমা বেড়ায় মাস্তুল হীন মন ফেরালো। গল্প যাদের অল্প হয়ে বেড়ার ভিতর সুখ-সকাশে আছাড় খেয়ে স্পন্দে নিথর, দোকানঘরে আলগা আঁচে বিপ্লবী শীত বেঁধে রাখার আত্মসেতু কল্পনা গীত। যুদ্ধশেষে সংক্রামিত বিষন্ন দিন সান্দ্র কাঁচে লেপ্টে থাকা সঙ্গী বিহীন- প্রতীক্ষিতের ঘন্টা নাড়ে গীর্জা গুলো, বপনহীনা ধূসর মেঘে বর্ষা ছু৺লো। আবেগ-আঁতাত টালির ছাদে টপটপিয়ে আড়ভাঙ্গা স্বাদ লবণ ছায়ায় স্বপ্ন নিয়ে- শ্বেতকেতুরা গল্পগাছা ফড়িং ঘাসে, মিথ্যা চাদর, ফসফরাসে নিভিয়ে আসে।   =======================       কার্ত্তিক চন্দ্র পাল বর্ধমান

কবিতা ।। বিবেক রায়

ছবি
তমসামালা ১ আগুন হয়ে জন্ম নিতে চেয়েছি জন্মের  ভেতর ডুবে ছাই করে দিতে চেয়েছি পৃথিবীটাকে পারি নি- মৃত্যুর ভেতর ডুবে চেয়ে নিয়েছি অযথা জন্মযাপন ২ পৃথিবীর উপর দেশলাই জ্বালালে আমি ভয় করি ধুক ধুক করে মৃত্যু হয় প্রতিটি অন্ধত্বের দিনের শেষে প্রতিদিন জয় করে ভয় হয় মানুষেরা সবাই দেশলাই ব্যবহার করে ৩ অন্ধকারে পাশে থাকা যায় না, সন্ধিও করা যায় না তাই অন্ধকার আমার খুব বেশি প্রিয় অন্ধকারে মানুষও চেনা যায় না দাত নখ তাই সাদা বলে ঘৃণা করি ৪ পৃথিবীর সব উলঙ্গ মানুষেরা জামা কাপড় পরেছে রঙের থেকে আরও অজস্র রং না, কেউ দূরে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি নেই আমাদের সময় অন্ধকারে ফুরোয় না বলে ৫ আলোর থেকে অন্ধকারই ভালো কোনো ভেদাভেদ নেই সেখানে প্রতিটি মানুষের গোপন প্রার্থনার মতো গর্ভের অন্ধকারে ডুবে যাই আমরা ================= বিবেক রায় গ্রা:+ পো: - টেংনামারী থানা- ঘোক্সাডাঙ্গা জেলা- কোচবিহার ডাকসূচক  সংখ্যা- ৭৩৫২১০ মো-৮৬৯৭২১৬২৫৭

কবিতা ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
  দেশের নাম ভারতবর্ষ   যে পথটা শিমুল পলাশের পাপড়ি ঝরে লাল হবার কথা ছিল সেই পথে আজ রক্তের আল্পনা আঁকা ওই যে পাখিটা খাবার খুঁজতে খুঁজতে খুঁটে খাচ্ছে শস্যদানা তার ঠোঁটে লেগে আছে রক্ত যে চারাগাছটা নতুন পৃথিবী দেখবে বলে উঁকি মারছে পাথরের আড়াল থেকে, তার পাতায় রক্তের ছিটে রক্ত-রক্ত-রক্ত— গরম রক্ত, ঠান্ডা রক্ত ঠান্ডা রক্ত জমাট বেঁধে আছে লাশের শরীরে খোলা চোখে বিস্ময় ! আমায় মারলে কেন ?   আড়ালে কেন কবিতা ? এগিয়ে এসো, উত্তর দাও ওই শিশুটির চোখের কোণে টলটল করছে মুক্তোদানা মুছিয়ে দাও কবিতা, হাসি ফোটাও শিশুর মুখে তুমি পারবে কবিতা, তুমিই পারবে তুমি ছাড়া আর যারা আছে, তারা কেউ আগুনে ঘি ঢালবে, কাঠ দিয়ে উস্কে দেবে আগুনটাকে কেউ রড আনবে মাথা ফাটানোর জন্যে, আনবে পিস্তল, অ্যাসিড, বোমা ওসব দেখে তোমাকে ভয় পেলে চলবে না এগিয়ে যেতে হবে দৃঢ় পায়ে তোমার গর্জনে পিছু হঠতে বাধ্য হবে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা অন্যায়, অত্যাচার   তুমিই পারবে কবিতা সাম্যকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ফেলা দেশকে ঠিক পথের সন্ধান দিতে, নতুন দিশা দেখাতে   ভুললে চলবে না এ দেশ তো

গল্প || বিশ্বনাথ প্রামাণিক

ছবি
ঋ তু ব দ ল                                                                                        টি টেবিলের উপর বাংলা ম্যাগাজিনটা প্রায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে রুপা বলে উঠল, না না আমি পারিনি, পারিনি এভাবে সবার সামনে চিৎকার করে বলতে ..... টেবিলের অপর প্রান্তে খবরের কাগজে মুখ ঢেকে থাকা ব্যক্তিটি খানিকটা অনুযোগের ভঙ্গিতেই মুখ তুলে আবারও পড়ায় মন নিবেশ করে। সুরুপা আপন মনে বলে যায়, -ওই বয়সে আমার সে সাহস ছিল না, কারও থাকে না। আমি মধ্যবিত্য ঘরের মেয়ে, তায় ওরা উচ্চবর্ণ বনেদি ব্রাহ্মণ। অনেক অনেক চেষ্টা করেছিলাম ----- কিন্তু----- -তবে সে জন্য আমার মনে কোন ক্ষোভ নেই। বরং আমি এখন অনেক সুখি। তুমি আমার জীবন বদলে দিয়েছ গো, এবার খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে তাকায় ঋতিক, আসলে তুমি  ভীরু, তুমি নিজের অধিকার আদায় করে নিতে পারনি, - হয়ত তাই। অসম্ভব  শান্ত দেখায় রুপাকে। -আসলে জোর করে কোন কিছু পেতে চাইনি গো, তাতে হয়ত পাওয়া হয়, কিন্তু লজ্জা লুকানোর  জায়গা থাকে  না। - একসময় তুমি প্রতিবাদ করেছিলে। -হ্যাঁ, তখন আমার বিশ্বাস ছিল, মানুষ জন্মানোর পরে  তার পরিচয় সে  নিজেই তৈরি করে, কিন্তু দেখলাম কেউ কেউ জন্মসুত্রে পাওয়া পরিচয়টি আজ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪