পোস্টগুলি

২০তম সংখ্যা : কার্তিক ১৪২৬ অক্টোবর ২০১৯ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা : উদয় সাহা

ছবি
শরৎকালীন প্রহরমিছিল...  প্রখর গ্রীষ্মের পিঠে কে যেন আলতো হাত বুলিয়ে দিয়েছে। পাতার নীচে ছায়া পড়েছে সামান্য।আকাশ জল স্থল হঠাৎ একটু অন্যরকম। নির্ভেজাল নীল বেয়ে নেমে আসে প্রভাতী আলো। সাদা মেঘের খেলা থেমে থাকে না।বাতিল পোস্ট কার্ডে কিছু রোদ্দুর লিখে ভাসিয়ে দিই মেঘের ভরসায়। মেঘেদের রঙ বদলাতে থাকে... সকালগুলো কিছু আশ্রয় বয়ে নিয়ে আসে ---শাপলা, পদ্ম,শালুকের ঘুম ভাঙে। দশ-বারো ফুট উপরে সাঁকো থেকে দেখেছি জলশরীরে কিশোরী মেয়ের মত হাসি। জলের ওষ্ঠে হাত রাখলে আকাশের গায় ভাঁজ পড়ে। এভাবেই একদিন নূপুর বেজে ওঠে। ভারী হয় ফসলের মুখ। খেলার ইচ্ছেয় খেলা চলে... কাদার পরিমাণ কমতে থাকে।উবে যেতে থাকে শাওন গন্ধ। রেশমি হয়ে ওঠে পাতার বুক। ভেলভেট কোমলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রোদ্দুরগাছ। ছাতের কার্নিশ থেকে শুরু করে ভাষা গড়িয়ে যায় চিলেকোঠার ঘরে। তারপর ? তারপর চাদরে বালিশে লুটোপুটি করে হরেক রকম চাঁদমারি। নামযজ্ঞ হয়ে যাবার পর থেকে ফাঁকা পড়ে থাকা দুর্গামন্ডপে শুধুই ঝিমধরা ভরদুপুর। না বলা শব্দেরা সাঁতপাক খায় প্রতিমাহীন মণ্ডপ ঘিরে। ধীরে ধীরে পাখির ডানায় উড়ে আসে মেঘের আস্তরণ। নির্মিত হতে শুরু করে বিমূর্ত

সঞ্জীব সেনের কবিতা

শিয়ালকাঁটার ফুল লম্ফ কাঁপছে দেওয়ালে কাঁপছে ছায়া ছায়াগুলো বড্ড বেহায়া, আমি আঘাত আনব করেও আনতে পারিনি, তখনও আমরা প্রেমের মানে বুঝিনি!  শিয়ালকাঁটার হলুদফুল, দেখতে বেশ কাঁটা বাচিয়ে তুলেছি কতদিন আর কাঁটাফল ছুঁড়ে দিতাম ওর চুলে হাতধরে হেঁটেছি গলিপথে তখনও গলিপথের আলাদা  মানে বুঝিনি আজ সেইসব পথগুলো রাস্তা ‌কেন! এখন গলি আর রাস্তার  আলাদা মানে বুঝি তবু  লম্ফ কাঁপছে আর বেহায়া ছায়াকে আলাদা করতে পারছি না কেন? গলিপথগুলো কি এমনই ছায়া ফেলে , লম্ফ জ্বালাই যদি আজ এখনই? শিয়ালকাঁটার হলুদ ফুলে একদিন  তোকে মানাত বেশ, । ==================== সঞ্জীব সেন পানিহাটী গৌরাঙ্গ ঘাট রোড পোস্ট পানিহাটী কলকাতা114 7980188285

সিদ্ধার্থ সিংহের অণুগল্প

সত্যি সত্যি মুর্শিদাবাদ ঘুরতে যাচ্ছে বানেশ্বর। ট্রেনের দোলানিতে বেশ তন্দ্রা এসে গিয়েছিল। ভাবছিল, গতকালের কথা। গতকাল বিকেলবেলায় জীবনদ্বীপের উল্টো দিকে এলিয়ট পার্কে বসেছিল ওরা। ও মুর্শিদাবাদ যাচ্ছে শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ঝুম্পার। সেটা দেখে ও বলেছিল, দুটো দিনের তো ব্যাপার। যাব আর আসব। --- দু... উ... উ... উ... টো... দিন! তোমাকে দু'দিন, মানে আটচল্লিশ ঘণ্টা না দেখে থাকতে হবে! বানেশ্বর বলেছিল, তুমি আমাকে খুব ভালবাসো, না? --- হু। লজ্জা পেয়ে উপর-নীচে মৃদু মাথা দুলিয়েছিল ঝুম্পা। --- আচ্ছা, তুমি কি এ রকম ভাবে আর কাউকে ভালবেসেছ? --- ধ্যাৎ, আজেবাজে কথা বোলো না তো... --- না, বলছি, আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে? --- না। --- আচ্ছা, তা হলে গত পাঁচ বছরে? --- না। ঝুম্পা বলেছিল। --- গত আট বছরে? --- উঁহু, না। --- তা হলে বারো বছরে? ---  কোন সাল সেটা? কোন সাল! না... না... নাঃ। --- গত কুড়ি বছরেও কি এত ভালবাসিনি কাউকে? সত্যি বলছ? আমাকে ছুঁয়ে আছে কিন্তু। মিথ্যে বললে আমি মরে যাব। ঝুম্পা বলেছিল, সত্যি বলছি, বিশ্বাস করো। আমি কাউকেই তোমার মতো এত ভালবাসিনি। গতকালের সেই কথা ভ

তাপসী লাহার অণুগল্প

ঝিল্লি    প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঝিল্লির আবদারে   প্রাণ ওষ্ঠাগত মায়ের।          খুব বেশি দোষ মেয়েটাকেও দিতে পারছেনা রমলা , ঝিল্লির মা।এখন সেপ্টেম্বর   চলছে। ক্লাসের সব বন্ধুরা সেই একমাস আগে পূজোর বাজার সেরে ফেলেছ।           ঝিল্লি মা বাবার একমাত্র মেয়ে।বাবা সরকারি   অফিসে গ্রুপডি স্টাফ। নামকরা এক ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। ওর সব বন্ধু   বড়লোক।        পরীক্ষা দিয়ে   হেটেই স্কুল থেকে ফিরছিল    মনমেজাজ   তিরিক্ষে।পুজোর জামা এখনো কেনেনি তাই বন্ধুরা কথা শুনিয়েছে।হঠাৎ এক শিশুর তীক্ষন কান্না টের পায়।।ফুটপাতে একটা খুব ছোট বাচ্চা চিৎকার করে কাঁদছে।একটা মহিলা বারেবারে জল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে ওকে। ও কেন কাঁদছে। খেতে পায়নি কিছুদিন। কদিন তিনদিন। কেন পয়সা কোথায়।খাবার কিনতে পারিনি। কথাটা বলতেই ছেড়া শাড়ী পরা মহিলাটার চোখ জলে ভরে যায়। কত খাবার নষ্ট করে ঝিল্লি।টিফিন কৌটা খুলে বেচে যাওয়া চাউমিন আর দশটাকা ভদ্রমহিলাকে দেয়।   সেদিন রাতে বাবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরেরদিন পুজোর জন্য জামা কিনতে যাওয়ার কথা বলে রেডি থাকতে বলেন ঝিল্লিকে। বাব

অণুগল্প ।। সোমনাথ বেনিয়া

প্রুফ-রিডার প্রতুল বাবু ব‌ই পাড়ায় একটি প্রকাশনী সংস্থায় প্রফু দেখার কাজ করেন।‌ দীর্ঘ কুড়ি বছর কাজ করার পর শারীরিক সমস‍্যা বিশেষ করে দৃষ্টিজনিত অসুবিধার জন‍্য অবসর গ্রহণ করলেন। তার এই দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রুফ দেখতে গিয়ে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরণে লেখা তিনি পড়েছেন। একসময় তার মনে হয়েছে তিনি যদি লিখতে পারতেন তাহলে তিনি তার এই একাকীত্বের জীবনের ঘটনাবহুল দিকগুলি পাঠকদের সামনে তুলে ধরতেন। যদিও চোখে সমস‍্যা কিন্তু হাতে তো অফুরন্ত সময়। তাহলে আস্তে-আস্তে আত্মজীবনী লেখা যেতেই পারে। এ তো আর গল্প বা কবিতা নয়। নিজের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা সোজাসাপটা ভাষায় লিখে যাবেন।           যেমন ভাবা তেমন কাজ! তিনি চোখের যাবতীয় বাধা কাটিয়ে লিখে ফেললেন আত্মজীবনী। এরপর প্রথম প্রুফ যখন তার হাতে এলো, দেখেন অনেক ভুল। সবগুলোকে ঠিক করতে হবে কিন্তু পরের মুহূর্তেই ভাবলেন, যে জীবনে ভালোবাসা নেই, ছন্দ নেই, আনন্দ নেই, সেই জীবনের আত্মজীবনী কাকে মোহাবিষ্ট করবে। ফলত প্রুফ না দেখে ডি.টি.পির কপিটা টেবিলে ফেলে রাখলেন আর ভাবলেন তার কপালের প্রুফ যখন শ্রেষ্ঠ প্রুফ-রিডার হিসাবে ঈশ্বর চেক করেন নিই, তখন এই লেখার প্রকাশ‌ও ত্রুটিবাহু

মৌমিতা ঘোষালের অণুগল্প

সম্পর্ক ভিড় ঠেলে লোকাল ট্রেনে ওঠা এখনও ধাতে আসেনি শ্রীময়ীর। শেষ প্রান্তের কোনার দিকটা থেকে শুনতে পায় ডাকটা, 'শ্রীময়ীদি, এই যে এদিকে, চলে এসো।' একদম ঠিক, তমা ছাড়া কেউ নয়। এত ঘিঞ্জি ভিড় বাঁচিয়ে ঠিক রুমাল রেখে জায়গা রেখেছে। বহু কষ্টে পৌঁছানো গেল। শ্রীময়ী ওঠে উত্তরপাড়ায়। তমা সীট রাখে। তারপর শুরু হয় গল্প। শ্রীময়ী মন খুলে বলে, তার সংসার, অশান্তি, অভাব, শাশুড়ির গঞ্জনা, বাচ্চার দুষ্টুমি, অফিসের গাল-গল্প। তমাও ভাগ করে নেয় বাড়ির গল্প, কলেজের গল্প, পিকনিক, আড্ডা, কলেজের গেটে ফুচকা- চুড়মুড়ের গল্প। ভাগ করা সুখ দুঃখ নিয়ে রোজ তাদের দেখা হয়, একসাথে যায়, ফেরেও একসাথে। শ্রীময়ী নেমে যায় উত্তরপাড়ায়। ট্রেন তাকে ফেলে রোজ এগিয়ে যায় দূরে, আরও দূরে। সঙ্গে তমাও। রোজ স্টেশন থেকে ফিরতি পথে মনে পড়ে, 'যাহ, আজও জিজ্ঞেস করা হল না, তমা যায় কতদূর!' 

অণুগল্প : সঞ্জয় গায়েন

ছবি
মাটি দুর্গাপ্রতিমার সোজাসুজি দেবীঘট বসাতে গেলে রে রে করে উঠলেন পূজা কমিটির কয়েকজন। ঘটগুলো সাইডে বসান। উদ্যোক্তাদের স্পষ্ট আবেদন। বয়স্ক পুরোহিত অবাক। জিজ্ঞাসু চাহনিতে বুঝতে চাইলেন নিজের ভুল। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে আয়োজকদের একজন বলেন , গতবছর ঠাকুরকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফি তোলার খুব অসুবিধা হয়েছিল। সোজাসুজি ওই সব ঘট - মট থাকার জন্য। পায়ে লেগে যাচ্ছিল। তাই এবছর সামনে ওসব ঘট রাখা যাবে না। তাছাড়া এবার আমাদের থিম , ফ্রন্টে সেলফিজোন , মাটির ভাঁড় থাকবে কোণ। পুরোহিত সবটা বুঝতে পেরে বুকে তুলে নেন ঘটখানি। তারপর দেবীমুর্ত্তির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন , মা গো তোমার পুজো এ বছর থেকে মাটি ... ।                                 ***                    সঞ্জয় গায়েন             উমেদপুর, পো-চাউলখোলা,       দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা-৭৪৩৩৭৭         Phone- 8436368860        Whatsaap-8617794673 Email- sanjoygayen19@gmail.com          

কবিতা -- ফিরোজ হক্

       নিদ্রাহীন রাত               এই যে তুমি থেকে‌ হঠাৎ তুই-এ চলে আসা আর বুকের ভিতর ছুরি মারার কোনো তফাৎ খুঁজে পাই না। ভনভন করে আগুন জ্বলতে থাকে আমার ১০৮বারের ক্ষমা প্রার্থনাও তোমার কানে প্রবেশ করে না। দুটি মিষ্ট কথার স্বাদ অনুভবের ভিক্ষা চাই  তুমি অভিমান নিয়ে গর্ব করতে থাকো,  এদিকে তোমার গর্বে আমি যে কুঁচি কুঁচি হয়ে ছিঁড়ে যাই- সেদিকে‌ দৃষ্টি থাকে না। চোখের জল,শরীরের কম্পন নিয়েও তোমার‌ কাছে নত হই। ঘুম প্রার্থনা করি, গতকাল রাত্রি দেখেছিলাম ঘুম দেখিনি... অসহ্য চোখে আমার লেখা প্রতিটি বর্ণ দেখো ভালোবাসাকে পাগলামি বলো হয়তো পাগল ঘোর পাগল তোমার ভালোবাসায়। উচিত অনুচিতের তফাৎ বুঝলেও তোমার অভিমান অনুচিতে উৎসাহ দেয় তারপর... ঘোর ক্ষতি চেনেও অভিমান আঁকড়ে বসে থাকো একসময় B for Bye বলে চলে যাও। সঙ্গ থাকে আমার নিদ্রাহীন রাত...          ------×----- ঠিকানা: ফিরোজ হক্ গ্রাম+পোস্ট-মেটেলী জেলা-জলপাইগুড়ি  পিন-৭৩৫২২৩  যোগাযোগ-8345091415/6294631353

আবদুস সালাম এর কবিতা

ছবি
  অলীক রঙের বিশ্বাস   ভালোই ছিলো মর্মরিত পৃথিবীর অভিমানী রঙ কাক রঙের ফুটপাতবাসীরা ঘুম পাড়তো নিশ্চিন্তে আদিম পুরুষ পুরুষীরা পেতো শীতসূর্য আদর  সাদা রঙের বিশ্বাসী চাঁদ এতে ক্লান্ত হয়নি কখনো  ফুটপাত রঙের উল্লাস বাসা বাঁধলো পাড়ায় ক্লান্ত বেদনারা এখন  অবিশ্বাসের অচ্ছুত স্বপ্ন দ‍্যাখে  আঁধার সম্প্রদায় অবিশ্বাস   নিয়ে খেলে রক্তহোলি  ক্ষুধার রঙে লেখা হয় মৃত্যুর পরোয়ানা সারি সারি  মৃত্যু  তখন সনাতন বাঁশি বাজায় আমাদের বিশ্বাস রক্তাক্ত হয় বেরিয়ে আসে ধূসর বর্ণের হিংস্র নখ অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া ছোটে কেঁপে  ওঠে সান্ধ্য জীবন অলীক বিশ্বাসের সিঁড়ি দিয়ে হাঁটেন অলীক ঈশ্বর পিরামিড যুগ থেকে   ঝরছে রক্ত সভ‍্যতা মুখ ঢাকছে লজ্জায় অন্ধকার পৃথিবীর রাস্তায় শুয়ে আছে ধর্মমানব বিশ্বাস রঙের সভ‍্যতার আজ কঠিন অসুখ ক্ষমাহীন অবিশ্বাস নিয়েই আমরা মরে যাবো একদিন সূর্য ঘোড়া টগবগ করে ছুটছে পিছন পিছন ধাওয়া করছে  কুয়াশা  দুরন্তঘোড়ার ক্ষুরে থেঁতলে যায় মলিন ইতিহাস   হিংস্র সাম্রাজ্য  জুড়ে আসে প্লাবন ভেসে যায় ইতিহাসের মাঠ ঘাট শহর বন্দর  ### এন

কবিতা।। সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

।।  প্যাণ্ডোরাবক্স ।। একটা গোপন এই মাত্র খুলে দিল তার প্যাণ্ডোরাবক্স! সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সূত্রগুলো জোনাকির মতো দপ্ দপ্ করতে করতে হাওয়াই চরকি হয়ে যাচ্ছে। কৌতূহল টপ্ টপ্ করে ঝরতে ঝরতে রক্তিমাকার নেবার আগেই কাপালিকের আঙুল পুত্তলিকা এঁকে দেয়। এয়োতিরা উলু দিতে দিতে বর্তুলাকার চক্র ঘিরে বরণকুলো সাজিয়ে হাজির দু এক ফোঁটা চোখের জল নদীর ঠিকানা খুঁজে বারবার হারিয়ে যেতে চায়। আর সমুদ্র পিয়াসী নদী সমুদ্রের বিলাসিতা নিয়ে গদগদ। শোনোনা, প্যাণ্ডোরাবক্স খোলা তো হল আমাকেও কিছু গোপন খুলে দেখিও, আমিও কথা দিলাম কাউকে বলবো না, বিশ্বাস কি খোলামকুচি নাকি! এসো এবার সমস্ত গোপনকে ঔদার্য শেখাবে।।                   ============ SUDIPTA BANDYOPADHYAY. 7P/1, RAM ROAD, SARSUNA, KOLKATA-700061. """"":::::::::::::::::::::"""""

কবিতা -- অমিতাভ দাস

                        অগ্নিঋতু   কোজাগরী পূর্ণিমার দিন মা ঘরে চৌকি পাততেন, চালগুঁড়ি দিয়ে নানা নক্সা,ছোটো ছোটো পায়ের ছাপ, মা লক্ষী আসবেন,বসবেন....বসবেন কাঠের চৌকি জুড়ে। শরৎ এর মনকেমন এক বেগুনি বিকেলে পুজো শুরু হয়ে শেষ হতে হতে প্রায়ান্ধকার,তারপর প্রসাদ দেওয়া,খাওয়া কত কাজ! কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষীমন্ত স্ত্রী মা'র পাশে বসে শিখে নিত কত খুঁটিনাটি, ভবিষ্যতে হাল ধরার জন্য তৈরি হত মাঝি,আর পুঁচকে মেয়েটা আমার তার ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ছুট্টে বেড়াত সমস্ত আলপনা জুড়ে, তার পেছনে দৌড়াত গেল গেল রব। সেদিনও কোজাগরী,সেদিনও রব উঠল পাশের বাড়ি থেকে,উঠল আর্তচিৎকার,পোড়া গন্ধর সাথে  পাশের বাড়ির সদ্য বিবাহিত বৌটি দৌড়ে বের হয়ে এল জ্বলতে জ্বলতে। সেদিন কোজাগরী,অথচ সমস্ত পুজো ফেলে আমার মা,স্ত্রী হিঁচড়ে টেনে আনছে পাশের বাড়ির  পুরুষ নামের সেই কাপুরুষটিকে আর অকাল  মহালয়ায় কোথায় যেন বেজে উঠছে.... "যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা....!!" দুষ্টুমির বদলে অঙ্গারের মতো ঘৃনা ঝরে পড়ছে  আমার ছোট্ট মেয়ের দুচোখ বেয়ে....! কোজাগরী এখন আর শরৎ নয়,কোজাগরী এখন এক অগ্নি

কবিতা : জগবন্ধু হালদার

সংসার বিষয়ক           সন্ধ্যা থেকেই ইলশে গুঁড়ির তুই গহীন রাতে বন্যা হ'লি বুকে । শ্রাবণ দিনের সদ্য ফোটা জুঁই, ছাতিম হ'লি ঠিক শরতের মুখে । নৌকা তখন বোতাম খোলা শার্টে হিম-প্রভাতে গন্ধে বিভোর তোর গায়ের রং হচ্ছে হোক তামাটে, জাপটে ভীষণ ভাঙছি হাড়-গোড় । হাড়ের বাঁশি অদৃশ্য কারও ফুঁয়ে বেদম বাজে হেঁশেল থেকে বেডে প্রহর যাপন শুকনো বাঁট দুয়ে ঘোড়ার ঘাস কাটছি ভোঁতা ব্লেডে । মুদি-পেঁয়াজ-রসুন-রেশন-বাচ্চা, নিজের সাথে কথা বলাই বন্ধ ; হরহামেশা তোকে নিয়েই কেচ্ছা প্রতিদিনের গল্পে ঘামের গন্ধ । নৌকো তোকে ? নাকি গলুই ধরে তুইও নাছোড়, ছিনে জোঁকের মতো -- ভরসা এখন লিঙ্গে ও পাথরে হাভাত পেটে একশো এক ব্রত ।                 --------

কবিতা : চন্দন মিত্র

            সিদ্ধান্ত কাঁড়ের বদলে হাতখালি চাঁদ বাহাদুর একা নয় মোষপাহাড়ির জঙ্গলে এই নিয়ে বার পাঁচ ছয় তবে আর নয় সার বুঝেছে চাঁদ অঙ্গুলি বাঁকুক মোষপাহাড়ির দোয়া দুধে কারা নাদুস কার অজানা মাকুন্দদের গোঁফভূমিতে রোদ পেছলায় দুধ তো ছার পরগাছার মূল দেখতে মোষপাহাড়ির সবাই চাইছে... ======================== চন্দন মিত্র ভগবানপুর ( হরিণডাঙা ) ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক - ৭৪৩৩৩১

কবিতা ।। মঞ্জীর বাগ

ভাত পরী হরিন চোখের শ্যামল জলপরি ভাঙে অশান্তির মাঠ । তার কথা বলতে বলতে গোবর নিকানো উঠানে নিভাত ঘ্রাণ  চালের সঙে মিশে থাকা কাঁকর জানে সময় হয়নি এখনো  পৌষের নবান্নের ঢের দেরী এলো চুলে কলম লূকিয়ে রেখে,অপুষ্টকালো ধান বলে,উনুনের কাঠের আগুনে জ্বলে স্বপ্ন তবু মাঝরাতে চাঁদ ডাকে আয় আয়... খুকুমনি তোর জন্য স্বপ্ন বোনা গান! হায়! তিন পৃথিবীর  বুক চিরে উড়ন্ত সাদা কাগজ দুঃখ  আষাঢ়ের  দিনে  পিঁড়ি পেতে বোস সিঁদুর জীবনের ভাত ব্যথা ছিনে সোনামোনি এক আঁচলজ্যোৎস্নায় লিখে যাবে জীবন কাব্যব্যথা কাশফুল গান সুর যেন মায়াময় চাদর। আবিষ্ট ঢেকে থাকা জলের অতলে এমন মোহময় ডুব কেবল ডুব,ডুবতে থাকা প্রাণময় গান, এসো হে কাশফূল দুধারে ফুটে থাকা একগোছা শুভেচ্ছা নীলপাতা দ্রিমদ্রিম করে বাজতে থাকা দুর্গা দালানের ঢাক লাল গামছা মাথায় বাঁধা, ঢাকি ঢাকের তালে আমাদের  দুর্গাদালানে আরতি,ধোঁয়াধূপ শাঁখ শশ্মাণ মশান সেরে বুজে যাওয়া ঘাটে বেনে পুতুলের গান প্রতি পূূজোয় মিশে থাকে অমৃতময় কৈশোর ঘ্রাণ ================== মঞ্জীর বাগ মালঞ্চ আবাসন  কাঁথি পূর্ব মেদিনীপুর  721401 মোবাইল 

কবিতা : উত্তমকুমার পুরকাইত

সে উঠানে দাঁড়ালে সে উঠানে দাঁড়ালে হলুদমাখা সন্ধ্যা নামে চ ন্দনের গন্ধ নিয়ে জ্যোৎস্না আসে চুপে, সে উঠানে দাঁড়ালে মাথার উপরে চাঁদ শুক্লাপক্ষের কুসুম শরীর প্রলয়প্রপাতে; মাথা নাড়লেই দোলনা হয় সে হাত বাড়ালেই জোয়ারের উচ্ছ্বাসে নীল দিগন্তে সে মিটিমিটি হাসে, ভোরের নৈবেদ্য নিয়ে দশহরা মাসে; সে উঠানে দাঁড়ালে মৃত্যুরা কেঁপে ওঠে জোরে কুয়াশার গর্ভে প্রাণ ধরে, সে উঠানে দাঁড়ালে রাত্রির ঠোঁটে হাসি ঝরে পূবের বারান্দায় দুটি চোখ মুখোমুখি দু'জনারে দ্যাখে।   *********************************   কবির নাম, ঠিকানা: উত্তমকুমার পুরকাইত শঙ্করপুর, পোস্ট-প্রাণবল্লভপুর, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা-৭৪৩৩৯৫ মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ-৯৫৯৩১৩২৭৬৫ ই-মেইল: upurkait1978@gmail.com

সুজন মুহাম্মদ এর কবিতা

      ।। নো ম্যানস ল্যান্ড।।     মানচিত্রের কাগজে-কলমে     ধারণা থেকে বের হয়ে এসে     একদল শরনার্থী বুঝতে পারলো     মানচিত্র মানে আসলে কাগজ নয়     মানচিত্র মানে মাটি     অতঃপর তারা মানচিত্রে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেল না।     .       ।। আমাদের বেড়ে উঠা।।     ছেলেটি কিশোর হলো     মেয়েটি কিশোরী হলো     কিশোরের কিশোরীর স্তনের প্রতি হিংসা হলো।     কিশোরটি যুবক হলো     কিশোরীটি যুবতী হলো     যুবকের যুবতীর মাতৃত্বের প্রতি হিংসা হলো।     যুবকটি পুরুষ হলো     যুবতীটি নারী হলো     পুরুষরা নারীটিকে ধর্ষণ করলো। এতে পুরুষের একবারে জন্যও হিংসা হলো না ধর্ষণ অথবা মৃত্যুর প্রতি।       ।। সন্ত্রাসের রঙ।।     ছোটবেলায় আমি পশ্চিমে মাথা রেখে ঘুমোতাম। মা বলতেন পশ্চিম খুব পবিত্র। পশ্চিমের হাওয়া প্রশান্তির।     একদিন আমি ঘুমের মধ্যে লাশের গন্ধ পেলাম। ইয়ামেনের ক্ষুধার্ত শিশুদের আর্তনাদ হাওয়ায় ভেসে আসে। পশ্চিমের সব পবিত্রতা , প্রশান্তি কেটে যায়।     তারপর আমি আর পশ্চিমে মাথা রেখে ঘুমোতে পারিনি।     এভাবে পূর্ব-উত্তর-দক্ষিণ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪