পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ।। বিপ্লব গোস্বামী

ছবি
কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক।উনবিংশ শতকের  ভারতীয় রক্ষণশীল সমাজের গোঁড়ামিকে তোয়াক্কা না করে  চিকিৎসা শাস্ত্রে শিক্ষিত হয়ে নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসেবে  প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তিনি যে শুধু  দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক তা নয়।তিনি ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রী অর্জনকারী দুজনের মধ‍্যে একজন।         কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্ম ১৮৬১ সালে বিহারের ভাগলপুরে।তাঁর পৈর্তৃক বাসস্থান বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদসি গ্ৰামে।তাঁর পিতা ব্রজকিশোর বসু ছিলেন পেশায় একজন শিক্ষক।তিনি বিহারের ভাগলপুর  বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।তিনি চাকুরী সূত্রে ভাগলপুরে থাকতেন।সেখানেই কাদম্বিনীর জন্ম।          কাদম্বিনীর বাবা ব্রজকিশোর ছিলেন নারীশিক্ষা আন্দোলনের সমর্থক।তিনি ও অভয়চরণ মল্লিক ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের জন‍্য আন্দোলন করেছেন।তারা ভগলপুরে নারীদের অধিকার আদায়ের জন‍্য মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন।তিনি চেয়েছিলেন নিজের মেয়েকে পড়িয়ে উচ্ছ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন ।এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাদম্বিনীকে স্কুলে ভর্তি করে দিন। ১৮৭৭ সালে  কাদম্বিনী এন্ট্রেন্স পরীক্ষা

কবিতা ।। চাইছি তোমায় স্বাধীনতা ।। মহুয়া বসু সিনহা

ছবি
অকাল রক্তস্রোতের শুকিয়ে  যাওয়া  দাগ বুকে, পত্পত্ করে উড়ছে একটি  স্বাধীন  পতাকা । তবুও, লঙ্কাক্ষেতের জ্বালাধরা দুটো হাত চকখড়ির স্বপ্ন  হাতড়ায়, ইঁটভাটার  পিচ্ছিল  কাদায় অলিখিত  রয়ে যায় গোল্লাছুটের স্বাধীনতা । পুরুষালি  রঙীন ঠোঁটদুটোর আকাশ  ছড়ানো  রামধনু ইচ্ছে ;ঘরের আয়না-গারদে বন্দী। সহবাস বন্দী রমণীয় শরীরে লেখা হয় না, "না"এর প্রতিশ্রুতি। নরখাদকের খাবলে নগ্ন ক্ষতগুলো আজও খুঁজে ফেরে দ্রৌপদীর বস্ত্র। হাতের নিঃসঙ্গ শিরা উপশিরায় ;একটু উষ্ণতার খোঁজ । কোন  এক স্বাধীন  দেশে গরাদবন্দী শব্দেরা, আজও তোমায় খুঁজে ফেরে "স্বাধীনতা ।"

কবিতা || অধীনতামূলক || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
পরাধীনতার সংজ্ঞা লেখার জন্য করোনাদগ্ধ শিশুমুখ দেখি ভেসে ওঠে জলবন্দি মানুষের অসহায় জীবন বেহুলার ভেলা রাস্তায় পা দিলেই ওরা বলে, এ তোমার নয়, সাবধান! খাঁচার পাখির কাছে শিখেছি স্বাধীনতার মানে আকাশ মানে মুক্তি বাতাস মানে সম্পদ সবুজ মানে প্রাণ জল মানে উদারতা আগুন মানে উদাত্ত বিবেক পাখি হতে চেয়ে শিখি ভাষার কৌশল ওরা বলে স্বপ্ন দেখা বারণ তবু মন মানে না স্বাধীনতার স্বপ্নে অজস্র ফাঁকি ফায়ারিং স্কোয়াডের ঝাঁঝরা দেহ খেরোর খাতার রক্ষাকবচ যাদের স্বেচ্ছাচারের লাইসেন্স দেয় সেইসব রাক্ষসের খিদে এখনো তো লুটে চলে খাদ্য জল সঞ্জীবনী সুখ অধীনতামূলক মিত্রতার কূটনীতি অজস্র ক্রীতদাস তৈরির কারখানা অনুমতি ছাড়া শ্বাস কাশ নিদ্রা মৈথুন সব বন্দি কিছু ধারার শিকলে দুশ্ছেদ্য শিকল ================= জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় গোপেশ্বরপল্লি,বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া - ৭২২১২২ কথা : ৭০০১৪৫৬৭২১/৯৭৩২২৩৭৬০৮ ই-মেইল : chattopadhyayjayanta59@gmail.com  

অধিনায়ক হে... ।। জগবন্ধু হালদার

ছবি
  আজব হুন্ডি কোনো অদৃশ্য ইশারায় টিকি ধরে টেনে লাইনে ফ্যালে রোজ দুর্যোগে টাল সামলানো দায় কে রাখে হেরো দেইজির খোঁজ । প্রতিবেশী হাঁকে, হাসেও সঠিক মাপে লাগাম, লাটাই হাতে মাতব্বর ঘোরে দুয়ারে রেশন অঢেল সুখ-এক লাফে , স্বার্থক স্বাধীনতা -- পঁচাত্তরে ! ঋণ বাড়ে, সাঁঙোড় যাচ্ছে ডুবে জানি  খিদে আর জেদে অহর্নিশ ঘেমে তড়পা ধরেই তবু প্রাণপণ টানি নইলে গোহারা এই হুড়োহুড়ি গেমে । জীবন দু'বেলা পোড়া লঙ্কা দিয়ে মেড়ে কালের নামতা শেখায় অনটনে ঠুকে তবু  ত্যালতেলে বাঁকা পথ ছেড়ে  পা রাখি সোজা, মেটে রাস্তার বুকে । পেশির পাওয়ারে পিলে নিত্য চমকায়, দেশের গব্বে তবু মাটি মেখে দেহে হাভাতের পাল পাঁজরা চেপে গায়-- জনগণমন অধিনায়ক হে ।। ------------------ 

কবিতা ।। স্বাধীনতার স্বাদ ।। নীলমাধব প্রামাণিক

ছবি
  স্বাধীনতা কে কতোটা পাবেন ভাগে তার ঠিক করে দেন উদাত্ত সরকার । ঠিক করে দেন স্বাধীনতার মানে তবুও আগস্ট উন্মাদনা জাগায় মনে প্রাণে । উদযাপনের কুচকাওয়াজে যখন মাতে দেশ অনেক যাপন ছন্দ হারায় অবদান বিদ্বেষ । জনমনে দেশাত্মবোধ চাগাড় দিয়ে ওঠে স্বাধীনতার মাপকাঠিতে স্বেচ্ছাচারি ছোটে । সবাই কি পায় স্বাধীনতার স্বাদ এ মুলুকের অনেকে যায় তালিকা থেকে বাদ । যদিও স্বাধীন ভেবেই খুঁজি স্বাধীনতার সুখ লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে আছে বিষন্নতার মুখ । উপনিবেশিক মনন ছেয়ে রয়েছে চারপাশে স্বাধীনতা ধাক্কা খেয়ে হাসে । তাদের লোলুপ হাতের নিপুণ কারুকাজ দেখছে চেয়ে বিপন্ন সমাজ ।   =======০০০======   নীলমাধব প্রামাণিক মাধবনগর, ডাক -পূর্ব চাঁদপুর, মন্দির বাজার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পিন -743336 পশ্চিমবঙ্গ, ভারত মোবাইল +হোয়াটসআপ -8345992776  

কবিতা ।। বীরাঙ্গনা ।। সোমা চক্রবর্তী

ছবি
  যুদ্ধের ডাক এসেছিল। রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার শিকল টেনে নিয়ে গেছে তোমাকে। আমি আছি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহুদূরে ধানের ক্ষেতের পাশে, জোনাক-জ্বলা রাতে টিমটিমে প্রদীপ জ্বলা এক স্তব্ধ জনপদে। তোমার মা এখানে খোলা উঠোনে বসে আকাশ আর বাতাস জুড়ে  তার অনুভূতির চাদর বিছিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে বলে- " ও বৌমা, কেন যুদ্ধ করে ওরা?" এখানে যুদ্ধের দামামা এসে পৌঁছায় না। বাতাসে পোড়া বারুদের ভারী গন্ধ নেই। এখানকার বাতাস জুড়ে ভাত সেদ্ধ হবার গন্ধ। আর গভীর রাতে দমকা হাওয়ায় হয়তো বা বেলফুলের গন্ধ অথবা হাস্নুহানা... সেই যখন এমনই কোনো গভীর রাতে তুমি আমার চুলে সাজিয়ে দিতে গোলাপ! সুরভিত স্বপ্নের মাধুরীর ভিতর আমি অনুভব করতাম ইন্দ্রিয়াতীত আকিঞ্চন তোমার! আজও তেমনি আকিঞ্চনের রাত! তেমনি আমার বুকের মধ্যে.... তুমি নয়। তোমার শৈশব। তোমার স্বপ্ন... আমার হৃদয় জুড়ে। সে তার ছোট ছোট মুঠিতে চেপে ধরে আমার আঁচল। আমার বুকের থেকে সে টেনে নেয় মমতা। আমার কোলে একরাশ জুঁইফুলে গড়া যেন তোমার স্বপ্ন। তার ঠাকুমা বলে, সে তোমার মতো। আর কাকা বলে, "কক্ষনো নয়, আমার মতো।" আর আমার 'তুলসীমালা' সই- সে চুপি চুপি

আমার চোখে স্বাধীনতা দিবস ।। দীপঙ্কর বেরা

ছবি
অন্য দিনের তুলনায় এই দিনে আমি একটা নিজস্ব মাত্রা পাই। স্কুল জীবনে এই দিনে আমি প্রথম প্রার্থনা হলে সবার সামনে 'চিত্ত যেথা ভয় উচ্চ যেথা শির' আবৃত্তি করার সুযোগ পাই। সেদিন স্বাধীনতা কি অতটা বুঝতে না পারলেও বুকে একটা আলাদা অনুভূতি টের পাই। স্কুলে আমার কিছুটা হলেও মর্যাদা বেড়ে যায়। বাড়িতেও আমি একটা নিজস্ব খুঁজে পাই। এ তো গেল সেদিনকার স্বাধীন অনুভূতি।           আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার যোগাড়ে যেখানে সারাদিন কেটে যায় সেখানে কি স্বাধীনতা, কোথায় স্বাধীনতা, কেন স্বাধীনতা এসব ভাবার অবকাশ থাকে না। দু চার দানা খাওয়ার পেলেই টান টান হয়ে যেখানে হোক শোয়া আর ঘুম। ব্যাস, আর কিছু চাই না। তার মাঝে আমি দেখেছি বাবা মা দাদা দিদি পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে আমি আমার সীমানায় যা চেয়েছি পেয়েছি, যা দিতে চেয়েছি তাও পেরেছি, যা অর্জন করার মত হওয়া উচিত তাও হয়েছি। সেই তো আমার স্বাধীনতা।      যদি নিজের ইচ্ছে, নিজের চাহিদার মাপকাঠি তৈরি করতে পারি তাহলে কোন কিছুই পাওয়া দেওয়া বা ভাগ করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয় না।      কিন্তু আমরা কি করি? আরো চাই আর আরো চাই। এই আরও চাওয়ার মাঝে নিজের

কবিতা ।। স্বাধীনতা মানে ।। দেবশ্রী সরকার বিশ্বাস

ছবি
  স্বাধীনতা মানে শুধুই এলোমেলো হওয়ায় তিরঙ্গার ওড়াউড়ি নয়! বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলে কথার ফুলঝুরিতে, কান ফাটানো কারতালির গুঞ্জন তোলা নয়! খাঁচায় বন্দি পাখিটার আকাশে ডানা মেলার- মুক্তির স্বাদই স্বাধীনতা, এক দল কিশোরের জলকেলির উন্মাদনা, পাথচলতি গাঁয়ের বধূর ঘমটার ফাঁকে- এক পলক স্বাধীনতা! রক্তের দাগ নেই যে মাটিতে তার গন্ধই স্বাধীনতা! মুক্ত বাতাসে বুক ভরা শ্বাস সব রং মিশে এক যেখানে, স্বচ্ছ-সাদার ভুবন সেখানে সেই পথে নির্ভয়ে চলা! বালক বেশে আঙ্গুল তুলে বলা - 'রাজা তোর কাপড় কোথায়?' প্রশ্নটাই স্বাধীনতা! গালির মোড়ে বসা ভিখারিটার গরম ভাতের স্বপ্নের- বাস্তব রূপই স্বাধীনতা! আশিক্ষার আঙিনায়, 'সহজ পাঠ' ই স্বাধীনতা! স্বাধীনতা শুধু একটা শব্দ নয়,  স্বাধীন মনের দরজা খোলাই স্বাধীনতা! স্বাধীনতা হল নতুন দিনের স্বপ্নবীজ বপন, মেঘমুক্ত আকাশে - বন্দেমাতরম ধ্বনি আর তিরঙ্গা পতাকার তলে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই- তুমি -আমি -সকলে, স্বাধীনতার সেই- সূর্যরাঙা সকালে। ====০০====

কবিতা ।। একটা গোটা দেশ ।। সুমিত মোদক

ছবি
  যে মেয়েটা আবর্জনার স্তুপ ঘেঁটে বার করে নেয় ভাঙাচোরা জিনিস-পত্তর টুকরো টুকরো পলিথিন ; সেই মেয়েটা সকাল হলে হাঁটা দেয়  টিকে থাকা পথে ; সূর্য তখন রেঙে ওঠে আকাশ জুড়ে ; ঘুমের ঘোর তখনও দুচোখ জুড়ে , দুচোখে বাঁচার স্বপ্ন ; লালচে হয়ে পড়া চুলের দুটো বিনুনি  জামায় তেল চিটচিটে গন্ধ  কাঁধে ফেলা চটের বস্তা ; সেই মেয়ে হেঁটে যায় রাজপথ ধরে ; সে পথে প্রভাত ফেরিতে বেরিয়েছে  তার বয়সি স্কুল পড়ুয়া ; হাতে তাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা  কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান – " ও আমার দেশের মাটি  তোমার পরে ঠেকাই মাথা …" মেয়েটা থমকে দাঁড়াল ; দেখতে চাইল – তার দেশ , তার মাটি , তার স্বাধীনতা , সে কি দেখল জানি না ; কি বুঝলো জানি না ; কেবল আমি দেখলাম – একটা গোটা দেশ মেয়েটার মধ্যে  এক ভারতবর্ষ  ।

কবিতা ।। স্বদেশ আর ওরা ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
  দেশ বললে তথ্য আর মানচিত্রে হাজির ভুগোলের পাঠ স্বদেশ বললে হৃদস্পন্দনে সে বেজে ওঠে অনর্গল; আবেগের ভিত সেখানে গভীরে হারায় ক্রমে আত্মিকতার টানে অকারণেই চোখ ছলছল। পতাকা তুলেই যেসব নেতাদের শেষ ঠাঁটবাট তাদের প্রতি ক্ষোভ বদহজমের মত ওঠে জমে। তারপর মন বলে, ওরা তো নুড়ি-কাঁকড় মাত্র নদী আছে নদীর মত,মর্জিতে চলাই তার সম্বল... একটু রোষে উঠলে ফুঁষে ওরা পড়বে ছিটকে যত্রতত্র। ওরা শুধু জানে ভোট বেচে থাকে প্রতিশ্রুতির নামে, স্বদেশ ওদের কাছে একটু ফাঁকি,আধটু প্রতীকি,বাকিটা কোলাহল। যদি আমায় দেশ বলো, তথ্য আর মানচিত্র  নিয়ে হাজির ভুগোলের পাঠ; স্বদেশ বললে হৃদস্পন্দনে সে বেজে ওঠে অনর্গল।    =====০০০====== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235,পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। স্বাধীনতা আনলেন যাঁরা ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
  স্বাধীনতা মানে স্ব-অধীনতা দেশের মাটির বুকে,  বাতাস যেখানে মুক্ত উদার নিজের দুঃখে-সুখে।  স্বাধীনতা মানে নই পরাধীন, নেই শৃঙ্খল-বেড়ি,  স্বাধীন দেশের নাগরিক সব, সবকিছু আমাদেরই।  এই স্বাধীনতা এসেছে অনেক রক্তের বিনিময়ে,  যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন --- বিপ্লবী শয়ে-শয়ে।  নেতাজি সুভাষ, মহাত্মা গান্ধী, মাতঙ্গিনী হাজরা,  পতাকা বয়ে যাঁর বুক হয় বিদেশী গুলিতে ঝাঁঝরা।  সূর্য সেন, কানাইলাল, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী,  দেশের জন্য জীবন দিলেন তাঁদেরকে মনে রাখি।  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বিনয়-বাদল-দীনেশ,  দেশের এঁরা সুসন্তান, আত্মদান অনিঃশেষ।  অরবিন্দ, লাল বাল পাল, বাঘাযতীন, রাসবিহারী,  জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেন শত প্রণাম তাঁরই।  মনে থাকুক তাঁদের প্রতি --- হাজারো সম্মান,  স্বাধীনতা আনতে যাঁরা দিলেন তাঁদের প্রাণ। ===============================   গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ডাকসূচক - 741103

কবিতা ।। সেই স্বাধীনতা ।। কান্তিলাল দাস

ছবি
   নরম খুশির দৃশ্য আসে না যেকথা লিখতে গেলে প্রতিটি বছর ব্যথা জমে বুকে স্বাধীনতা দিন এলে । তেরঙা পতাকা তুলছি আকাশে যদিও এদিন ভাই উচ্ছ্বাসে ভরা প্রাণের স্ফূর্তি দেখি কোনোখানে নাই। বাজে বিউগল, কামানের তোপ, ট্যাবলো, মিছিল যায় স্বাধীনতা থাকে শতহাত দূরে সীমাহীন লজ্জায়। মালা-দীপে-ধূপে সেজে ওঠে যত শহীদের স্মৃতি বেদি ভারতমাতার জয়ধ্বনি ওঠে আবেগে গগণভেদি। যান্ত্রিকতায় চলে সব রীতি হৃদয়ের ছোঁয়া কই স্বাধীনতা যেন সকরুণ বলে, আমি তো এসব নই ! গেছে ইংরেজ, শাসক বদল হয়েছে তো বারবার শোষণের কল রয়েছে সচল দেখি আজও চারধার। রয়েছে গরীব সেই তিমিরেই সবার জোটে না ভাত রাজনীতি আর ধর্মের ফাঁদে জোটে নব উৎপাত। শিক্ষিত যত কর্মহীনের পড়ে যে দীর্ঘশ্বাস যৌবন যায় চুরি হয়ে চুপি কথা ওঠে ফিসফাস। অন্ন তোলে যে সকলের মুখে সে-কৃষক থাকে দীন উচিত মূল্য পায় না ফসলে দারিদ্র্য সীমাহীন। আত্মবিনাশ ঘটায় কৃষক ঋণে, ক্ষোভে, অবসাদে স্বাধীনতা-স্বাদ পায় না কৃষক কেন কোন অপরাধে ! ধুঁকছে অনেকে কৃষকের মতো আয়ের স্থিরতা নেই কলকারখানা, চায়ের বাগানে কাজহারা সে দলেই। মহার্ঘ হয় জিনিসের দাম মুনাফায় কিছু লোক শোষণের কলে ফেলেছে মানুষে যেন বা ভয়াল জোঁক ! ভেজালের

পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়

ছবি
  হে স্বাধীনতা দিবস । তোমারে সেলাম । দিনে দিনে কেটে গেলো ৭৪ টা বছর । যতবার স্বাধীনতার মানে খুঁজতে চেয়েছি ঠিক তত অধিক বার আগুনের লেলিহান শিখা প্রান্তরে প্রান্তরে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। মা যে স্বাধীনতায় বসবাস করতো সেখানে সবটুকু ছিল দেওয়ার পালা । সকাল হতো ভিজে চুলে সিঁদুর লেপে কর্তব্যের উনুনে জ্বেলে দেওয়া আগুন । সেই আগুনে ছেলে মেয়ে স্বামীর মহোময় রগরগে একটা স্বাধীনতা দিবস রচিত হতো। ঠিক তখনই মায়ের গর্ভে যন্ত্রণায় কঁ কিয়ে উঠতো ভাঙাচোরা স্বাধীনতা র কবিতা। পঁচাত্তরে পতাকার রং একটু বেশি রঙিন । শিরীষ কাগজে না লিখে অনুকবিতা লেখা হচ্ছে ব্লটিং পেপারে। দূর হতে ভেসে আস ছে স্বা ধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায় । --------------- 

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। মহাজিস মণ্ডল

ছবি
আজ চারপাশে অন্ধকারের ভিড় রক্তাক্ত করে দেয় সমস্ত বুকের স্বপ্ন তবুও জেগে থাকে অনন্ত মহিমায় আমার স্বদেশ আমার জন্মভূমি। রাতদিন চতুর্দিকে এখনও বাজে সাইরেন তাই শপথের অঙ্গীকারে সাজিয়ে রাখে আলোর প্রদীপ এবং স্বদেশের গান স্বাধীনতা যে আমাদের জন্মগত এবং স্বপ্নগত।                           -------০------- মহাজিস মণ্ডল সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪

কবিতা ।। কোনো এক স্বাধীন সকাল ।। ইউসুফ মোল্লা

ছবি
আজ নাকি কোনো স্বাধীনতার সকাল হয়েছে!  কই সূর্যটা একবারও বলে উঠলো না তো,  আমি আজ মুক্ত হলাম তোমাদের থেকে।  ওইতো রাস্তার সাফাইকর্মীটা আজও এসেছে,  কই; তার তো আজকে ঘুরতে যাওয়ার কথা।  পরিবারের ছোট্ট সদস্যটার সাথে আজ সকালে– সেই পাহাড়ের কোলে ঘাস আর পাথর নিয়ে খেলার কথা।  কাল থেকে ফুল তুলে সে ফুল মালা গেঁথে,  আজও বেচতে এলো যে মেয়েটি তার জীবনেও কি স্বাধীনতার সকাল ছিল না?  মৌমিতা নামে এক শিল্পী স্বাধীনতার পতাকা আঁকছিল।  কোনো এক শব্দে হাতটা কেঁপে উঠল,  ঢেউ খেলানো পতাকাটি আর দুলছিলো না।  বাইরে সদ্য গুলি হওয়া দেহ থেকে এখনও রক্ত ঝরছে...  মৌমিতার চোখের একফোঁটা জলে পতাকাটি মুছে গেলো!                                   ------------ 

কবিতা ।। ভিজে পটকা ।। অনিরুদ্ধ সুব্রত

ছবি
তবুও পাতি চ্যানেলের চির-নবিশ সাংবাদিক-মন তোতলামি রেখে ছুঁড়েই যায় ছ্যাবলা প্রশ্ন মালা, দেখে শুনে সমস্ত ভোল বদল অথচ জানে--- প্রেম তো কোনও আঞ্চলিক বা জাতীয় দল নয়, না জিতলে তার কিস্যু না কিন্তু রাজনীতির আপাত রেপ্লিকা বলে ভুল হয়,  জীবনের যা কিছু--- দীর্ঘমেয়াদি বর্ধিত মুদ্রাস্ফীতি থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের গ্যারান্টিহীন দৌড়, তাই নিয়ে সন্ধ্যের ধ্যাতরানো টক-শো না মারালে ভালো লাগে, এক দুপুরের যুক্তি অথবা অশালীন উক্তি--এটুকু পেলেই সার সার ওবি-ভ্যান মুহূর্তে ভিড়ে যায়, ছুঁচো মুখ কুঁচো প্রশ্ন এই হৃদয়--- দেখে শুনে যা সহজেই বুঝে যাওয়া যায় বার বার স্ব-মৈথুনের মতো তাই-ই, বরফের মতো ঠান্ডা রাত্রির স্নায়ুতে আঘাত করাতে থাকে।                       =======০০০=======                                      --- অনিরুদ্ধ সুব্রত                                       পানচিতা, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা                                                     ইমেল- biswassubrata1168@gmail.com

কবিতা ।। আত্মশুদ্ধির বয়ান ।। শান্তনু গুড়িয়া

ছবি
    দেশ আমায় কী দিয়েছে আর আমি দিয়েছি কী, দেশের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের দিকে তুলেছি কি? দেশ আমায় বানিয়েছে ডাক্তার, শিক্ষক অথবা ইঞ্জিনিয়ার| দুঃখের কথা ও কাহিনি  বলবো কী আর! মানবিক মুখ হারিয়েছে ডাক্তার, ব্রেন ড্রেন হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী হয়েছে আজ মানুষ গড়ার কারিগর... দেশসেবার নামে জার্সি বদল, ঘুষের বিনিময়ে কার্যোদ্ধার --- নৈতিক চরিত্র বিসর্জনে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার| অর্থনীতি পড়ছে ভেঙে --- তালিয়া, সমাজটা উচ্ছন্নে যাচ্ছে --- তালিয়া, দেশটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তাতেও তালিয়া আমরা আরো জোরে তালি দিতে থাকি আমরা এসেছিই  তালি দিতে!

কবিতা ।। আমাদের কথাগুলো ।। সঞ্জীব সেন

ছবি
    এখন ক্রোধের সময় নয় তবুও বলতে পারি না, প্রতিবাদের ভাষা অনেক রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা তবুও বলতে পারি না এখনও কেন এত রক্ত গণতন্ত্র চলছে, নিজের কথা বলতেই পারো প্রকাশ্যে তবুও বলতে পারি না কেন আমৃত্যু জেলবন্দি কবি? আজ যদি আমি ভারত হতাম আর ভারতমাতা বুকে এসে দাঁড়াত আমার তবে কি লজ্জায়  জিভ কাটতেন! তবুও বলতে চাই স্বাধীনতা তোমায় সেলাম ।   ================= সঞ্জীব সেন পানিহাটি গৌরাঙ্গ ঘাট রোঢ পোস্ট পানিহাটি কলকাতা114

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
আমজনতার খাদ‍্য খাবার    লুটছে দেশের জননেতা বিপ্লবীরা কি চেয়েছিল     দেশের এমন স্বাধীনতা! ভাঙছে সমাজ, মাতৃভূমি   মন ভাঙছে, ভাঙছে দেশ কর্মহীনে  ধুঁকছে  যুবক    স্বাধীনতার এ কোন বেশ! বঞ্চিত  আজ আমজনতা   আন্দোলনে কৃষক সমাজ লুটেরা আজ বেজায় খুশি    স্বাধীনতার এ কোন সাজ! জাত-পাতের দ্বন্দ্ব আজও      আজও মানুষ  যাযাবরে আজ এ কেমন স্বাধীনতা!  ব‍্যাখ‍্যা কি কেউ দিতে পারে? ভর্তুকি, ঋণ শিল্প হবে    হাতিয়ে  ফেরার  শিল্পপতি  স্বাধীনতার এক  নতুন রূপ!          ধর্ম  নিয়েই  মাতামাতি। অনাহারে  আজও মানুষ              স্বাধীনতার  পঁচাত্তরে ভাষণ,তোষণ দেশনায়কের    আমরা স্বাধীন,কেমন করে! সমাজ জীবন নয় নিরাপদ       ভয় সন্ত্রাস, রোজ বিপদে নীরবেতে  স্বজন পোষণ   স্বাধীনতা! আজ নতুন স্বাদে! বাজারে আগুণ,জ্বলছে এ দেশ        ধুঁকছে  রোজই আমজনতা অর্থনীতি  বিকিয়ে গেছে           এই  আমাদের  স্বাধীনতা !                          -----------   রঞ্জন কুমার মণ্ডল সারাঙ্গাবাদ, মহেশতলা কোলকাতা :৭০০১৩৭

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। আশিস ভৌমিক

ছবি
  জমির ওপর লাঙল চালাই ফসল ফলাই হেথা কেড়ে নেবার হিম্মত দেখাস্ এমন বুকের পাটা ? চাষীর স্বাধীনতা । আমার দেশ, আমার মা, আমার জন্মভিটা উচ্ছেদের ভয় দেখাও কোন্ আবাগির বেটা ? নাগরিক স্বাধীনতা । ধর্ম আমার যা হোক্, তা হোক্,খাই রুচিতে আসে যেটা সেটার ওপর নজরদারি মানতে হবে সেটা ? খাওয়ার স্বাধীনতা । আমার মায়ের মিষ্টি ভাষা প্রথম শেখা বুলি  সেটার ওপর দখলদারি কোন্ বাপের বেটা ? ভাষার স্বাধীনতা । জঙ্গলে মুই জন্ম নিছি ক্ষুধা মিটায় এই বনটা এর অধিকার মোর আছে, তুই বলার কেটা ? বাঁচার স্বাধীনতা । সমালোচনা শুনতে বুঝি নেই বুকের পাটা  ? লাগাম টানিস্ মুখে আমার শুনতে চাসনি যেটা বলার স্বাধীনতা । -----------------  Name-Ashis Bhowmick Vill.+P.O-Brindabonchak Dist.-Purba Medinipore Pin-721641

কবিতা ।। স্বাদহীন-স্বাধীনতা ।। শুভাশিস দাশ

ছবি
      হয়নি আজো দেশের সবার অন্ন বাসস্থান। শিক্ষা স্বাস্থ্য টলমলে আজ ওষ্ঠাগত প্রাণ । দেখতে দেখতে বয়স হলো দেশের স্বাধীনতার। কেউ দিলোনা যাপন নিয়ে ভাষণ নিশ্চয়তার। স্বাদহীন এই স্বাধীনতায় লালকেল্লা  সাজবে। মনের ভিতর সত্যিকারের খুশির সে বীণ বাজবে ?   ----------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা

অণুগল্প ।। আমি একটুকরো ভারত ।। সোমা মজুমদার

ছবি
সেদিন ছিলো পনেরোই অগাস্ট,  আমার কাছে তখন পনেরো অগাস্ট মানে একটা চকোলেট চকোলেট দিন,  সারাদিন অনেক খেলাধূলা করা সকালে প্রভাত ফেরী নাচ গান, আর বিকেলে খেলা জিতে অনেক পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফেরা।  সেদিন ও এক পনেরো অগাস্টের বিকেল, আমি অনেক গুলো পুরস্কার চকোলেট দু'হাতে বুকের কাছে চেপে ধরে বাড়ি ফিরছি, হঠাৎ দেখলাম রাস্তার একপাশে সবুজ ঘাসের উপর চেপ্টা হয়ে ফুলা পাটা রোদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বসে হাঁপাচ্ছেন  আমাদের প্রতিবেশী ফুলন পিসি। পাশে একটা কলসি ভর্তি জল, সম্ভবত আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে কলসি দিয়ে জল তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন,  এই ফুলন পিসিকে  আমি খুব ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি ,  বেচারির বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী মারা যান,  বাবার বাড়িতে এসে উঠেছেন ভাইয়ের সংসারে। অসুস্থ মহিলা, বাঁ পাটি ফুলা,  ব্যথায় ভালো করে হাঁটতে পারেন না, তবুও সারাদিন কতো রকমের কাজই না করতে হয়।  রাস্তার পাশে বসে এভাবে হাঁপাতে দেখে  আমি পাশে গিয়ে জিগ্যেস করলাম, কী হয়েছে তোমার পিসি?  উনি প্রথমে কোন উত্তর দিলেন না, আবার বললাম কী হয়েছে তোমার?  এবার হাঁপাতে হাঁপাতে বলেন যন্ত্রণা,  পায়ে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি তার দিকে একটা চকোল

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। অমরেশ বিশ্বাস

ছবি
ছোট্ট মেয়ে বাসন মাজে আকাশ পানে চায় ভাবে কোথায় স্বাধীনতা থাকে সে কোন গাঁয়। মাইক বাজে পথের মোড়ে কানে আসে ভেসে কেউ পরাধীন নই করি বাস আমরা স্বাধীন দেশে। সবুজ সাদা আর গেরুয়া রঙ মেখেছে মুখে স্বাধীনতা বাস করে ওই ছোট্ট মেয়ের বুকে। বন্দেমাতরম জয় হিন্দ ধ্বনি আসে ভেসে বাসন মাজে আর সে ভাবে আছি স্বাধীন দেশে।

ছোটগল্প ।। স্বাধীনতার গান ।। পারিজাত ব্যানার্জী

ছবি
  হৃদয়কৃষ্ণ মাথা নাড়েন আনমনে। নাহ, বড্ড গোলমেলে হয়ে গেছে আজকের এই সময়কালটাই। তাল মিলিয়ে হেঁটে চলা তাঁর মতো প্রায় একশোর কোঠায় দাঁড়ানো বৃদ্ধের পক্ষে তাই হয়ে উঠেছে নিতান্তই কঠিন। কোনও কিছুতেই কোনও মানে খুঁজে পাওয়া আজ ভিত্তিহীন। অথচ যখন দাদার হাত ধরে প্রথমবারের জন্য তিনি হাজির হয়েছিলেন পাড়ার নবারুণদাদের স্বদেশী আন্দোলনের বক্তৃতা মঞ্চে, স্পষ্ট মনে আছে কি বলেছিলেন নবারুণদার স্ত্রী ও নারী নিকেতন গোষ্ঠীর তৎকালীন কর্ণধার সবলা দেবী তাঁর চিবুকখানি ধরে, "কৃষ্ণ, তোমাকেই কিন্তু মহাভারতের মতো এই সমস্ত লড়াই,যুদ্ধ, আয়োজনের মানে, উদ্দেশ্য, তাৎপর্য খুঁজে বার করে তাদের দিতে হবে যথাযথ সম্মান। তুমিই যে আগামীর প্রতিনিধি, আমাদের সব কাজ তো আসলে তোমাদের উন্নয়নের আশাতেই। এই তরণীর তোমরাই যে হলধর!"      ভোম্বল পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢোকে। দশ বছর বয়সী এই নাতিটির মুখের আদল অনেকটা হৃদয়কৃষ্ণের নিজের ছেলেবেলার মতোই। তা তাঁর চোখের ভুল না মনের দোষ, তা অবশ্য ঠিক ঠাহর করতে পারেন না তিনি আর। বাবার মোবাইল ফোনে খুটখুট করতে করতে দাদুর পাশে এসেই বসে পড়ে ভোম্বল। হৃদয়কৃষ্ণ মাথায় হাত রাখেন তার। "আজ স্কুলে যাসনি?এখনও তৈরি

কবিতা ।। সুভাষ ।। অভিষেক ঘোষ

ছবি
  বিশ্বাসে তাঁর হলফনামা রক্তে লেখা অঙ্গীকার, চলবে কদম, নিষেধ থামা কঠিন পথ সে স্বাধীনতার । তাকাও, দেখবে তর্জনী উঁচু অশ্বপৃষ্ঠে দেশ-প্রেমিক, মেনে নেওয়া মানে, মাথা নীচু সুভাষ চেনালো ঠিক-বেঠিক । ভুলোমনা জাতি লড়াই ভুলেছে সংগ্রাম আজ, চালু ফিকির ! দিশেহারা দেশ জিগির তুলেছে, ফিরুন স্বদেশে সুভাষ বীর ! ====================  Abhisek Ghosh. Swinhoe Lane,  Kasba, Kolkata - 42.

কবিতা ।। পঁচাত্তরে পা, তবুও... ।। লক্ষণ চন্দ্র নস্কর

ছবি
    স্বপ্নের হাত ধরে হে স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে নীরবে ব্যর্থতা, গ্লানি আর সংকীর্ণ স্বার্থের গন্ডিতে বাঁধা হলো তোমার পথ তাই অজান্তে তুমি ঘুমিয়ে গেলে কফিন বাক্সে । তোমার জন্যে যারা পথে পথে ঘর বেঁধেছিল তারা আজ বিপন্ন তবুও ফিকে স্বাধীনতার বোল ঘুরে ফিরে আসে দুয়ারে দুয়ারে সাহস হয়নি বলতে তোমার দুর্দশার কথা । শক্ত হাতের বাঁধন কখন যেন আলগা হতে হতে মিশেছে বন্দিদশায় হাজারো স্লোগানে পাল্টে গেছে  তোমার প্রকৃত স্বরূপ আমাদের ভালো-মন্দ এখন রঙীন সানগ্লাসে । একমুঠো সাদা ভাত মাথার উপর সামান্য আশ্রয় আর লজ্জা নিবারনের মোটা বস্ত্র জোগাতে ফুটফুটে হাসি মুখগুলো হারিয়ে গেছে ধোঁয়াশার উলঙ্গ রাজনীতিতে । বর্ণপরিচয়ের জ্ঞান -- দারিদ্রতা আর অবহেলার কঠিন জালে জর্জরিত জীবনদায়ী ঔষধে বিষ খাদ্যে মিশেছে ভেজাল আর কেলেঙ্কারিতে ভরে গেছে দেশ ঋণের দায়ে ঝরে গেছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ হয়তো তুমি কোনোদিন মুখ তুলে দেখবেনা তবুও কঠিন পাথরে বুক বেঁধে ওরা পথ চলবে আবহমান কাল ধরে ।

অন্যরকম একটা ভাবনা ।। সমীর হালদার

ছবি
    অন্যরকম   একটা   ভাবনা   ক্রমশ   মনের   মধ্যে   ডানা   মেলতে   চাইছে । ভীষণভাবে   অন্যরকম   অন্যরকম । অন্যরকম   আবহ  .... অন্যরকম   একটা   আচ্ছন্নতা । বহুদিনের   জমানো   আবেগ , অনুভূতি গুলি   ক্রমশ   পিছু   হটতে   হটতে ফিকে   হয়ে   আসছে , একটু   একটু   করে । একটু   একটু   করে   ফিকে   হয়ে   আসছে অহংকারদীপ্ত   সোনালী   ঐতিহ্যের   সুস্পষ্ট   প্রতিচ্ছবিগুলি । কারণটা   ঠিক   স্পষ্ট   নয় ।   যেমন   স্পষ্ট   নয় , কেন   এই   অসহায়তার   দিবারাত্রি ! কেন   এই   বিভেদের   আলোছায়া ! বিভেদের   আলোছায়া   আজ   প্রতি   মুহূর্তে   আমাদের   অস্তিত্বকে   বিদ্রুপ   করে ! আকাশে   বাতাসে   ভেসে   আসে অসহায়   নিপীড়িত   মানুষের   হাহাকার , বুভুক্ষ   মানুষের   চিৎকার ।   আজ   অন্ধকার   ক্রমশ   গাঢ়   হয়ে   উঠছে   ঘনিয়ে   আসা   মেঘে । বেমালুম   লুট   হয়ে   যাচ্ছে   অসংখ্য   জীবন   ও   জীবিকা ।   সংস্কৃতি   চর্চার   মুক্তাঙ্গন   কলঙ্কিত   আজ ।   অন্ধকারের   বুক   চিরে   একটা   চাপা   কান্না   বেরিয়ে   আসতে   চাইছে ।   স্মৃতিগুলো   ক্রমশ   ধূসর   হতে   হতে   তলিয়ে   যাচ্ছে বিস্মৃতির   কোনো   এক   অ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪