জললিপি
রূপক চট্টোপাধ্যায়
১)
সমষ্টি থেকে অণুতে বিচ্ছিন্ন হই
ক্ষয়িষ্ণু পহাড়ের বুকে
অসুখ পাখির বাসা।
নরম ফার্নের আঙুলে তবুও
কুয়াশার আড়াল সরিয়ে দেখা
অবধারিত জলের পতন।
ছড়িয়ে পড়ি তার সাথে কণায় কণায়
বিষাদ বৈষ্ণবী আমায় নিয়ে
পালাতে চায় বাষ্পপূর্ণ মেঘের ঘরে
যেখানে আর কোন পথ বাকি থাকে না
পথিকের পায়ের কাছে!
২)
দেহ মহল্লায় ছোট্ট ছোট্ট ঘর বাড়ি
ঘরের ভেতর অসুখী দেয়াল, জ্বরঘ্ন চাঁদ
পুরাতন টালির টানা বারান্দা,
বোকাসোকা কুলুঙ্গি ঈশ্বর!
দিনগত প্রাথায় একদিন
পূর্ণ চন্দ্রকলায়
ভাসিয়ে দেওয়া যৌনতাতে
ডুবন্ত সব বিছানা বালিশ, দুচোখ ফেরিঘাট!
এসব নিয়েই জীবন চরিত
হরিণ হয়ে হারিয়ে যায় যখন,
যব খেতের শোক প্রহরী বুড়ো বিভীষণ মাহাতো
হেঁটে হেঁটে চলে যায় কুয়াশার রূপ খোলা শূন্য মহলে!
৩)
বন্ধ্যা নারীদের মিছিলের ভেতর
হারিয়ে যাওয়া শিশুটি একদিন
ঠিক খুঁজে পাবে তার জরায়ু আশ্রয়!
তখন মা পাখিও তার খড়কুটোর
বাসায় সাজাবে হিংস্র দুধ-খরিষের আদুরে খোলশ!
৪)
অশ্রু নদীর ফেরিঘাটে
রোজ দুঃখবাহী নৌকা এসে লাগে।
কোনদিন ভুল করে ফুল বোঝাই নৌকায় নোঙর
ফেললে, কোলাহল পড়ে যায়, হাঁকডাকে
পাখি আর মানুষের ভীড় জমে! হিরন্ময় পুরুষেরা
বাইপাস সার্জারি উপেক্ষা করে
একে একে হেঁটে আসেন মেরুদণ্ডে ভরদিয়ে!
বলিরেখা আঁকা পলিমাটির পৃথিবীতে
একটি বাগান যেন যুবক বয়স ফিরে পায়!
No comments:
Post a Comment