পোস্টগুলি

Featured Post

অণুগল্প সংকলনের জন্য লেখা আহ্বান

ছবি
নবপ্রভাত প্রকাশনীর হাত ধরে কথাকাহিনি অনলাইন ম্যাগাজিনের উদ্যোগে প্রথম মুদ্রিত অণুগল্প সংকলন প্রকাশিত হতে চলেছে। আজিই পাঠিয়ে দিন আপনার সেরা অণুগল্পটি।  বিস্তারিত জানতে আমাদের বিজ্ঞাপন দেখুন। অথবা নীচের নম্বরে যোগাযোগ করুন। শব্দ সংখ্যা - কমবেশি - ৩৫০ লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ -  ০৩/১১/২৪  প্রকাশ ঃ আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৪ শিয়ালদা কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে, নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। মেইল করুন  kathaakaahini@gmail.com  অথবা w,app -এ পাঠান ৮৩৩৫৮৪৮৮১৪ এই নম্বরে।    আর মাত্র কয়েকটি লেখা নেওয়া হবে।    ==========   

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

ছবি
 সূচিপত্র   গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য  ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী  ব্যানার্জি   গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও

গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত

ছবি
উৎশব উৎসব বন্দনা সেনগুপ্ত  "উফ! এত দিনে এবার বোধহয় আমি রেহাই পাবো।" রাসু বামনী বলে লতু বুড়িকে। ওরা দুজনে ভুসুন্ডির মাঠের একটা আস শেওড়া গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে গল্প করছিল। লতু বুড়ি এক পুরোনো দিনের ভুত, তাতে সে অতশত বোঝেও না। সে শুধু জানে রাসু যা বলে, সেটা ঠিকই বলে। রাসু নিজের জীবনে ডাকসাইটে সুন্দরী ছিল। সে অবশ্য আজ থেকে তিনশ চারশ পাঁচশ ছশ বছর আগের কথা। কত, সেটা গুণে বলতেও পারবে না। কিন্তু, রূপের গুমরে যে পা পড়ত না, সে কথা বেশ মনে আছে। সেদিনের নিয়মে বোধহয় বছর চারেক বয়েসেই বিয়ে হয়েছিল। আরও ক' বছর পরে শ্বশুর ঘর করতে গিয়েছিলেন। যেমন আজ, তেমন সেদিনও মেয়েদের সুরক্ষা ছিল না। মেয়েরা শুধুই সুন্দর লোভনীয় মাংস, উপভোগ করার বস্তু। সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ছিল কঠিন অবরোধ প্রথা। সেটা অবশ্য ওঁদের অভ্যাস ছিল। ঘরের বাইরে বেরুবার কথা ভাবতেই পারতেন না। যদিও যেতে হত, তাহলে গরুর গাড়ি বা পালকি করে যেতে হত। সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী থাকত। তাহলেও, দুশ্চরিত্র জমিদার বা রাজা গজারা ঠিকই লোকের বাড়ির সুন্দরী বউ ঝিয়ের খোঁজ খবর রাখত। সেই রকমই একজনের হাতে পড়েছিলেন রাসু। কিন্তু, ইজ্জত রক্ষা করেছিল

মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্‌ধারা ইত্যাদি (পর্ব—ছয়) ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্‌ধারা ইত্যাদি (পর্ব—ছয়) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্‌ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০ ও নববর্ষ ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল।        নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তার বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে।        আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অবুদি — অবধি, অব্দি। কত আর জল হবে, বড়জোর বুক অবুদি। আমড়া খাই-টক খাই — আমতা আমতা করা, কী বলতে হবে ভেবে না পেয়ে কথা হাতড়ানো বা অপ্রাসঙ্গিক

প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী

ছবি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  (AI) ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ শ্যামল হুদাতী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) কী?   মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। সহজ কথায়, এটি মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি।  অপটিক্যাল অক্ষর স্বীকৃতিটি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার" উদাহরণ হিসাবে ধরা যায় না, তখন এটি একটি নিয়মিত প্রযুক্তি হয়ে ওঠে। যেমন, দাবা  খেলা এটি কৌশলগত গেম সিস্টেম , স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালান ইত্যাদি। এআই গবেষণাকে কতগুলো উপশাখায় বিভক্ত করা যেতে পারে যা নির্দিষ্ট সমস্যা, দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ সরঞ্জামের ব্যবহার বা নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলির সেরা পারফরমেন্সের দিকে নজর দেয়। জন ম্যাকার্থি, একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" ও প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্পের জনক। তিনি "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" নামক পরিভাষার প্রচলন করেন। মানব সভ্যতা যত অগ্রগতি হয়েছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান উন্নতির সাথে সাথে ততোধিক উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। যেমন প্রযুক্তি শুধু তথ্য খোঁ

প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস

ছবি
 বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী সবিতা রায় বিশ্বাস 'আমার জীবনের লভিয়া জীবন জাগোরে সকল দেশ"| এই কথাটি বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবীর| আক্ষরিক অর্থেই তিনি বাংলার প্রথম স্বসাক্ষরা নারী| রাজবাড়ী জেলার 'ভর রামদিয়া ' গ্রামের বধূ রাসসুন্দরী দেবী ১৫৫ বছর আগে নিজেকে লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন| রাসসুন্দরী এমন এক নারী , এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি আঁটোসাঁটো ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও মানসিক শক্তির জোরেই নীল আকাশে মেলে দিয়েছিলেন তাঁর দুটি ডানা|   ১৮০৯ সালে রাসসুন্দরী জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার পোতাজিয়া গ্রামের এক জমিদার পরিবারে| রাসসুন্দরীর যখন মাত্র চার বছর বয়স তখন তাঁর বাবা পদ্মলোচন রায় মারা যান| পিতৃহীন মেয়েকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁর মা তাঁকে পাখির ছানার মত আগলে রাখতেন| রাসসুন্দরীর শৈশব শিক্ষা শুরু হয় বাড়ির বাংলা স্কুলে| রাসসুন্দরী দেবীর পৈতৃক বাড়ির বাইরের অংশে একজন মিশনারী মহিলা ছেলেদের পড়াতেন| সেখানেই শান্ত , ভীরু, লাজুক , সরল রাসসুন্দরীকে তাঁর মা বসিয়ে রাখতেন| যদিও তাঁকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য স্কুলে পাঠ

কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন

ছবি
একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ   না সি র  ও য়া দে ন মৃত্যু প্রাকৃতিক, মৃত্যুও দেখি প্রতিদিন চোখে অশ্রু ঝরে, মস্তক নতজানু সে-মৃত্যু অপূর্ব, তাতে থাকে শ্রদ্ধা এ-মৃত্যু সে-মৃ্ত্যু নয়, নারকীয় হত্যা পশু ও নিষ্ঠুরের যৌথ সহবাস প্রতিহিংসার আগুন,স্বার্থান্বেষীর জিঘাংসা কিশোরীর কচি যৌবন, সব কিছু ছিন্নভিন্ন, নামও যায় হারিয়ে তিলোত্তমা অথবা অভয়া যে নামেই ডাকো চারিদিকে জেগে ওঠে প্রতিবাদ ধ্বনি চাই বিচার -- উই ওয়ান্ট জাস্টিস,,, একগুচ্ছ জোরালো প্রতিবাদের ঝড় কাঁপিয়ে তোলে গ্রাম থেকে শহর এ-মৃত্যু, সে-মৃত্যু নয় এক জ্বলন্ত অঙ্গার বইছে ঝড়, আগুন ঝড়, প্রতিবাদের কন্ঠস্বর ঝড়ও থেমে যাবে, অন্ধকার রাত্রিকে ঢাকবে রাজপথ, ফুটপাত জন-শূন্য হবে অপশক্তির বুলেটের দাপটে -- তবু, প্রতিবাদের যে আগুন ঝটকায় তা যে তিলোত্তমার রক্তমাখা কন্ঠধ্বনি ধ্বংস হোক অশুভ শক্তি আগমনীর আগমনে ।                                 ।।............।। নাসির ওয়াদেন সৌম্য জেরক্স, কলেজ রোড পোঃ --মুরারই, পিন -- ৭৩১২১৯ জেলা --বীরভূম, পঃ বঃ,

কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা

ছবি
অন্ধকার জগৎ  সুপ্রভাত মেট্যা  রক্ত ঝরছে,  অবিরত অন্ধকার জগতে, নিশুতি রাত।  কার অঙ্গফুল ঝরে ভাসছে? কোন সে আলোর নির্দেশে তুমি চুপ হয়ে থাকো সারাবেলা? সারাশরীর সন্ত্রাস, মৃত্যুর উচ্ছ্বাস।  কোন বইয়ে দেখো লেখা আছে শ্মশান সরণি বেয়ে,  লাশোপকুলের সহস্র ধারায় লাল হয়ে আছে জল!  ও কী ফুলের স্তবক,  তুমি সম্মান হেনে, পাথর কলোনিতে তুলছ?  বেঁচে থাকা শিল্প নিয়ে, নগ্নতায় নারী যদি হয় শ্রেয়,  তবে কী লাভ অশ্লীল ভাবাতে নিজেকে ফেলে  দুষ্ট এই নিদারুণ টিকে থাকা শুধু?  এও কি তলিয়ে যাওয়ার সমাপ্তি নিরিখে  এক খণ্ড হিমের প্রবাহ নয়? ============= সুপ্রভাত মেট্যা  গ্রাম :- বলরামপুর  পোষ্ট :- জয় বলরামপুর  থানা :- তমলুক  জেলা :-পূর্ব মেদিনীপুর  পিন:- ৭২১১৩৭

গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
    গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম বিবর্ণ শালিক  এক টুকরো সর্বনাশ বদলে দেয় জীবনের গতিপথ  শূন্যতারা জলকেলিতে মগ্ন  বিপর্যয় নেমে আসে সংসারে  ভাঙার  সাঁকোর উপর গান করে বিবর্ণ শালিক করুণার জলে  স্নান সারে ডানাভাঙ্গা কোকিল  জীবন জুড়ে উপভোগ করছি শুধু পরাজয় মাখা আহ্লাদ মৃত ফুল নীরব অভিমান ছুঁড়ে দিই: বেদনাহত পাড়ায়  ওঠেনাভিশ্বাস     সংবেদনশীল বাগানে গাঁথি মৃত ফুলের মালা  মায়া শূন্যতার আফিম খেয়ে ভাসছি আকাশে নির্জীব অবকাশ মেনে বুকটা খাঁ খাঁ করে  মায়ার বাঁধনে আটকে গেছি  তোলপাড় ভালোবাসার স্টেশন  সবুজের হাতছানিতে মৃত্যু ভুলে যায়  সাদা কুয়াশা  মেখে নেয় শরীর   পাড় ভেঙে যায়  একবুক শূণ্যতায় সান্ধ্যনদী ছুটে যায় মোহনার দিকে রসদ ভালোবাসা আমাকে বাঁচিয়ে রাখে সব ঘৃণা জোগায় বাঁচার রসদ মোহগ্রস্ত পাগলামি নিয়ে কেউ বাঁচতে পারে না তাই ভুলে যেতে পরামর্শ দিই বারবার সব বিদায় নিয়ে চলে গেছে পলেস্তারা খসা কামনার দেওয়াল শুধু মৃত টবটি  দমবন্ধ আকুতি নিয়ে  জানালার পাশে ভালোবাসার রসদ জোগায় উপবাস রঙের পতাকা  কামধেনুর মতো দোহিত হচ্ছে দেশ  আমরা তাকিয়ে দেখছি শুধু       ক্ষুধার অন্ন তুলে দিচ্ছি ওদের  মজুদ ঘরে

কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা   গোপনে আত্মহত্যা করি   চলো এখন আমরা সবাই  গোপনে আত্মহত্যা করি ।সম্পর্কগুলো একসময় ভালবাসার মোড়কে পাশ ফিরে শোবার কথা ভেবেছিল,ভেবেছিল মানুষকে  পশু বানানো বাঁ হাতের খেল,আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ সবই বাসনালিপ্ত. .. ট্রাডিশনালিটির রি মেকিং. ..ফলত: পাতার পোশাকে আর আধখাওয়া আপেলে একটু স্বস্তির শ্বাস. .. ফেলবার জায়গা খুঁজছিল । আর এদিকে সোনার কাঠি ছুঁইয়ে রূপোর কাঠি ছুঁইয়ে অধুনান্তিকতায় আপডেট চলছিল ,জোরকদমে তবু শেষ রক্ষা হলো না । রূপকথার গল্প গুলো চিচিং ফাঁক ... মস্ত বড়ো ভুল হয়ে গেছে এখন আর উ পায়ে নেই । আবরণ অথবা আভরণ কোনো কিছুতেই তাদের বশ করানো যাবে না .... ভাত ছড়ালে কাক হাজির এসব বস্তাপচা বাক্যে ভবি ভুলবার ন য়,স্থলপথে জলপথে সর্বত্র সাজানো ঝুমঝুমি, সোনালি ত্রিভুজ. .. সার্কিট চেঞ্জ করতে বেশি সময়ে লাগে না  তবু পাঁচমুড়া ডোকরা বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির ঘোড়া  ফ্ল্যাটবাড়ির খোপে খোপে কী বিচিত্র আয়নায় ফুটে উঠছে, ডিনার টেবিলে বিসমিল্লাহর পাগলা সানাই । অপেক্ষা শেষ হয়ে গেছে বলে যারা গৃহত্যাগ  করেছিল একদিন হেলেঞ্চা আর কচুরিপানার সঙ্গে  তারাও ফিরছে আজ দলে দলে ... চলো এই